Health

সাফি সিরাপ এর উপকারিতা – সাফি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম

সাফি সিরাপ এর উপকারিতা – আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে সাফি সিরাপ সেবন করে থাকি। বিভিন্ন অসুখে এই সিরাপটি ডাক্তাররা খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকে। তবে কেন এই সিরাপ খাওয়া হয় আপনি কি জানেন। আমরা আজকের এই নিবন্ধনের মাধ্যমে সাফি সিরাপ এর সমস্ত উপকারিতা গুলো জানার চেষ্টা করব। 

সাফি সিরাপ খেলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। যদি আপনি উপকারিতা জানতে পারেন তাহলে অবশ্যই হয়তো আপনার শরীরের অবস্থা বিবেচনা করে ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিয়ে সাফি সিরাপ সেবন করতে পারেন। সাফি সিরাপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি রিডিং পড়তে থাকুন।

এই সাফি সিরাপটি মূলত চর্মরোগ, ত্বকে ফুসকুড়ি, ব্রণ ও রক্ত দূষণ ইত্যাদি চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন সাফি সিরাপ খেলে কি ওজন কমে না বাড়ে, সাফি সিরাপ এর উপকারিতা কি এবং সাফি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম এ সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন এই আর্টিকেলে।

সাফি সিরাপ এর উপাদান 

সাফি সিরাপটি বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। যেমনঃ

  • সোনাপাতা -১৭.০০ মিগ্রা
  • রেউচিনি- ১৩.০০ মিগ্রা
  • কালকাসুন্দে- ১২.৫০ মিগ্রা
  • তুলসী -২.৫০ মিগ্রা
  • তেউরী মূল -২.০০ মিগ্রা
  • গোলাপ ফুল -২.০০ মিগ্রা
  • মুন্ডীরী ফুল -২.০০ মিগ্রা
  • Gentiana kurroo -২.০০ মিগ্রা
  • Fumaria parviflora -২.০০ মিগ্রা
  • অপরাজিতা -২.০০ মিগ্রা
  • নাগদনা -২.০০ মিগ্রা
  • শাপলা ফুল -১.২৫ মিগ্রা
  • শিশু পাতা -১.২৫ মিগ্রা
  • রক্তচন্দন -১.২৫ মিগ্রা
  • গুলঞ্চ -১.২৫ মিগ্রা
  • হরীতকী -১.২৫ মিগ্রা
  • Zingiber zerumbet -১.২৫ মিগ্রা
  • চিরতা- ১.২৫ মিগ্রা
  • রক্তকাঞ্চন- ১.২৫ মিগ্রা
  • নিম -১.২৫ মিগ্রা
  • হলুদ- ১.২৫ মিগ্রা

সাফি সিরাপ এর উপকারিতা

সাফি সিরাপ এর উপকারিতা গুলো এখন আলোচনা করার চেষ্টা করব। সাফি সিরাপ আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা প্রদান করে থাকে। নিম্নে উপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলোঃ

  • সাফি সিরাপ সেবনে চর্মরোগ দূর হয়ে থাকে, তাই যারা যারা চর্মরোগে ভুগছেন তারা হামদার্দ সাফি সিরাপ সেবন করতে পারেন। 
  • আমাদের অনেকেরই দেখা যায় যে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করে, আর এই  প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া নিরাময় করতে হামদার্দ সাফি সিরাপ সেবনে বেশ উপকারি ভূমিকা পালন করে থাকে। 
  • অনেক সময় আমাদের শরীরে খোস,পাঁচড়া দেখা যায়। বিশেষ করে শরীরের বিভিন্ন অংশে ঘা হয়ে থাকে। শরীরের এই খোস,পাঁচড়া ও ঘা দূর করতে সাফি সিরাপ গ্রহণ করতে পারেন।
  • আমাদের বিভিন্ন সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয়ে থাকে। এই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করনে সাফি সিরাপ অধিক কার্যকরী। এর জন্য আপনারা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভোগে থাকলে সাফি সিরাপ গ্রহণ করতে পারেন।
  • আবার সাফি সিরাপ সেবনে আমাদের ত্বক ফর্সা হতে পারে যদিও এ সম্পর্কে যথাযথ প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বেশ কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে এই সিরাপে সেবনে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারে।
  • সাফি সিরাপ সেবন করার ফলে ত্বকের ব্রণ দূর করা যায়। ত্বকের ব্রণ দূর করতে সাফি সিরাপ ভালো কাজ করে থাকে।
  • এছাড়া যারা একজিমা রোগে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে এই সিরাপটি উপকারি ভূমিকা পালন করবে।
  • আমাদের দেহে বিভিন্ন কারণে রক্ত দূষণ হয়ে যেতে পারে। এই সাফি সিরাপ গ্রহণ করার ফলে রক্ত দূষণ কমে যায় এবং রক্ত দূষণমুক্ত হয়।
  • যাদের নাকে রক্তক্ষরণ হতে দেখা যায় তারা যদি নিয়ম মোতাবেক সাফি সিরাপ সেবন করে তাহলে রক্তক্ষরণ হতে পারে। 
  • বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে পারে, বিশেষ করে হাম রোগ প্রতিরোধ করে। তাছাড়াও ত্বকের বিবর্ণতা দূর করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

উপরোক্ত উপকারিতা গুলো সাফি সিরাপ দিয়ে থাকে। পাশাপাশি আরো অনেক উপকারিতা পেতে পারেন যা আপনি সেবন করার পর বুঝতে পারবেন। সাফি সিরাপ এর উপকারিতা জেনে নেওয়ার পাশাপাশি পেভিসন ক্রিম এর উপকারিতা আমাদের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।

সাফি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম

সাফি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম নির্ভর করে আপনি কি উদ্দেশ্যে সাফি সিরাপ খাচ্ছেন তার ওপরে। আপনি যদি সাফি সিরাপ এর উপকারিতা জানার পরে সাফি সিরাপ খাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তাহলে সিরাপটি খাওয়ার আগে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া জেনে নিতে হবে কেননা আমরা অনেকেই শুধু উপকারিতা পাব ভেবে খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

সাফি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম

তবে আর্টিকেলের এই অংশে সাফি সিরাপ খাওয়ার সাধারণ কিছু নিয়ম উল্লেখ করা হলো যাতে আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত নিয়ম গুলো অনুসরণ করে সাফি সিরাপ খেতে পারেন।

সাফি সিরাপ এর সঠিক উপকারিতা পেতে আপনাদের অবশ্যই সাফি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ সঠিক নিয়ম ছাড়া এই সিরাম গ্রহণ করে ভালো উপকারিতা পাওয়া যাবে না। তাই এখন আপনারা সাফি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম গুলো জেনে নিন। নিয়ম গুলো হলঃ

  • ০ থেকে ৬ বছরের নিচের বাচ্চাদের খাওয়াতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে
  • ৬ থেকে ১২ বছরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ভরা পেটে দিনে ২ বার ১ চামচ করে সেবন করতে হয়
  • ১২ থেকে ১৮ বছরের ক্ষেত্রে ভরা পেটে দিনে ২ বার ২ চামচ করে সেবন করতে হয়
  • ১৮ থেকে ৪০ বছরের মানুষদের জন্য ভরা পেটে ২ চামচ করে দিনে ৩ বার সেবন করতে হয়
  • ৪০ বছরের উপরের ক্ষেত্রে ভরা পেটে দিনে ৩ বার থেকে ৪ বার ২ থেকে ৩ চামচ করে সেবন করতে হয়

সাফি সিরাপ সেবন করার আগে আপনাকে বোতলটি অবশ্যই ভালোভাবে ঝাকিয়ে নিতে হবে কেননা সিরাপের মধ্যে এমন অনেক উপাদান রয়েছে যেগুলো বোতলের নিচের অংশের দিকে থাকে তাই ঝাকিয়ে নিলে নিচে থাকা উপাদান গুলো ভালোভাবে মিশ্রিত হয়। তাই খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ভালোভাবে বোতলটি ঝাঁকিয়ে নিবেন।

তবে কখনোই বিনা প্রয়োজনে সাফি সিরাপ খাওয়া যাবে না। যেকোন ঔষধ তৈরি করা হয়েছে নির্দিষ্ট রোগ প্রতিরোধের জন্য। আর আপনি যখন সুস্থই আছেন তাহলে কেন অপ্রয়োজনে ওষুধ খাবেন। এমন  অনেক মানুষ আছে যারা হাসপাতালের বিছানা রয়েছে, তাদের কাছে সুস্থ শরীর একটি স্বপ্ন। 

তাই কখনোই অপ্রয়োজনে ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। আর আপনি যদি গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী হয়ে থাকেন তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। সাফি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম জেনে নেওয়ার পাশাপাশি ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম আমাদের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।

সাফি সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সাফি সিরাপ সেবন করলে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে এই সিরাপ সঠিক মাথায় গ্রহন করা উচিত। অধিক মাত্রা গ্রহণ করলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সাফি সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ 

  • পেট খারাপ
  • বমি বমি ভাব
  • মাথা ব্যথা

তাছাড়া তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই যদি আপনি সঠিক মাত্রায় সেবন করেন। তবে এই সিরাপ খাওয়ার আগে কোন ধরনের মসলা জাতীয় খাবার ও মাদকদ্রব্য এবং ফাস্টফুড খাওয়া যাবে না। 

তবে এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো সচরাচর দেখা যায় না। তবে আপনি যদি নির্দেশিত সাফি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম অনুসরণ না করেন অর্থাৎ এক বোতল সিরাপ আপনি একদিনে কিংবা দুই দিনেই সম্পূর্ণ খেয়ে নিলেন তাহলে এই পার্শ্বপ্রতিকরাগুলো দেখা যাবে।

সাফি সিরাপ খেলে কি ওজন কমে

আমরা অনেকেই জানতে চাই যে সাফি সিরাপ খেলে কি ওজন কমে কিনা?। এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় হ্যাঁ, সাফি সিরাপ খেলে ওজন কমে যায়। কারণ এই সিরাপের রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ যা আপনার শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। 

এর ফলে খাবার গ্রহণ করার সময় খাবার থেকে পুষ্টি উপাদান শোষণ কমে যায় এবং আমাদের দেহের ক্যালরি বেশি খরচ হয়।এর ফলে শরীরে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পায় না। তাছাড়াও সাফি সিরাপ সেবনের ফলে আমাদের দেহের অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেয় না। 

এই সিরাপ হচ্ছে মূলত ইউনানী জাতীয় ওষুধ যা  আমাদের দেহ সুস্থ রাখে এবং এর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে অল্প পরিমাণে ক্যালরি, রেউ চিনি  নিম ও তুলসী যা আমাদের শরীরে ওজন কমাতে সহায়তা করে।

সাফি সিরাপ কতদিন খেতে হয়

সাফি সিরাপ এর উপকারিতা জানার পরে আপনাদের মধ্যে হয়তো অনেকেই এই সিরাপটি খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিন্তু আপনাদের মনে হয়তো প্রশ্ন জেগেছে সাফি সিরাপ কতদিন খেতে হয়? কত দিন খেলে উল্লেখিত উপকারিতা গুলো পাব? কারণ যেকোন ঔষধ তো আর সারাজীবন খাওয়া যায় না।

আপনি যদি সাফি সিরাপ সেবন করে স্থায়ীভাবে এর উপকারিতা পেতে চান, তাহলে সর্বনিম্ন ৩ মাস এবং সর্বোচ্চ ৬ মাস পর্যন্ত নিয়ম মোতাবেক সেবন করতে হবে। কেননা এই সিরাপটি ধীরে ধীরে কাজ করে তবুও নিয়মিত সেবনের ফলে স্থায়ীভাবে উপকার করে।

সাফি সিরাপ খাওয়ার অনেক ডোজ রয়েছে। চিকিৎসকেরা নির্দিষ্ট রোগের জন্য নির্ধারিত ডোজ প্রদান করে থাকে। তাই আপনি যদি আপনার রোগ অনুসারে সঠিক ডোজ গ্রহণ করতে চান তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের নির্দেশনা নিতে হবে। তখন আপনার চিকিৎসকই বলে দেবে সাফি সিরাপ কতদিন খেতে হয়।

তবে ৩ মাস থেকে ৬ মাস খাবার পরেও যদি আপনি কোন উপকার না পান সেক্ষেত্রে আপনি যার নির্দেশনায় সিরাপটি খেয়েছিলেন কিংবা একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। কারণ দীর্ঘদিন যাবত কোন ঔষধই খাওয়া উচিত নয়। তবে আপনি যদি চিকিৎসক নির্দেশিত সাফি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম অনুসরণ করেন তাহলে ৩ মাস থেকে ৬ মাসের মধ্যে উপকারিতা পাবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন সাফি সিরাপ কতদিন খেতে হয়।

সাফি সিরাপ খেলে কি মোটা হয়?

যেহেতু এতক্ষন আপনারা জেনেছেন সাফি সিরাপ খেলে কি ওজন কমে নাকি আশা করি বুঝতে পেরেছেন সাফি সিরাপ খেলে কি মোটা হয় নাকি। তারপরও পরিষ্কার ভাষায় আপনাদের বলতে চাই, সাফি সিরাপ খেলে কোন ভাবেই ওজন বাড়ে না বরং ধীরে ধীরে ওজন কমতে থাকে। সাফি সিরাপ ওজন কখনোই ওজন বাড়ানোর জন্য সেবন করা উচিত নয়।

আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে পুষ্টিকর ও চর্বিযুক্ত খাবার খেতে হবে। চর্বিযুক্ত খাবার খেলেই আপনি অল্প সময়ের মধ্যে মোটা হতে পারবেন। আবার মোটা হওয়ার জন্য অনেক ট্যাবলেট রয়েছে আপনি চাইলে সেগুলোও খেতে পারেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন সাফি সিরাপ খেলে কি মোটা হয় এই সম্পর্কে।

সাফি সিরাপ এর দাম কত

এই সিরাপটি আপনারা বিভিন্ন ফার্মেসির দোকানে পেয়ে যাবেন। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার করতে পারবেন। চলুন এবার দাম জেনে নেওয়া যাক। 

  • ১০০ মিলি সাফি সিরাপ এর দাম ৯০ টাকা। 
  • ৪৫০ মিলি সাফি সিরাপের দাম ২৩০ টাকা।  
  • ২২৫ মিলি বোতলের সাফি সিরাপের দাম ১৬০ টাকা

সাফি সিরাপ এর দাম কত জেনে নেওয়ার পাশাপাশি ডক্সিসাইক্লিন ১০০ এর দাম কত তা আমাদের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।

লেখকের শেষ মতামত

এই সাফি সিরাপ খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন কারণ প্রতিটি ওষুধেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তাই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।

Atif Abdullah

Atif Abdullah is a passionate writer and expert in technology, Information and News. With years of experience in Information, he enjoys sharing insightful and well-researched content that helps readers stay informed. Atif has a keen interest in digital trends and his writing reflects his deep understanding and analytical approach.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button