ব্রেস্ট টিউমার হলে করনীয় – ব্রেস্ট টিউমার মানেই কি ক্যান্সার

ব্রেস্ট টিউমার হলে করনীয় – আজকাল মেয়েদের একটি কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্রেস্টে টিউমার। যা অনেক সময় ক্যান্সারের আকার ও ধারণ করে থাকে। আপনি যদি এটি নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে প্রথমে আপনাকে ব্রেস্ট টিউমার হলে করনীয় কি সেই সম্পর্কে জানতে হবে। আর আপনি যদি ব্রেস্ট টিউমার মানেই কি ক্যান্সার কিনা জানতে চান তাহলে আমার লেখা ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায় এই আর্টিকেলটি পড়ুন।
আবার, ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায় সম্পর্কে সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিত স্ব-পরীক্ষা, চিকিৎসকের পরামর্শ, এবং আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এই টিউমার প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করা সম্ভব। স্তনে পিণ্ড বা চাকার মতো অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখলেই তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
এই নিবন্ধে ব্রেস্ট টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ, স্ব-পরীক্ষার পদ্ধতি, এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সচেতন থাকুন, কারণ প্রাথমিক জ্ঞান এবং সঠিক পদক্ষেপ আপনার জীবন বাঁচাতে পারে। তাহলে চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
ব্রেস্ট টিউমার কত প্রকার
ব্রেস্ট টিউমার দুই ধরনের হতে পারে—বিনাইন (অক্ষতিকারক) এবং ম্যালিগন্যান্ট (ক্যান্সারজনিত)। এর মধ্যে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
ব্রেস্ট টিউমারের প্রকারভেদ সমূহ নিচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলঃ
১। বিনাইন (নন-ক্যান্সারাস) টিউমার
- ফাইব্রোএডিনোমা: সবচেয়ে কমন বিনাইন টিউমার, বিশেষ করে তরুণী ও মধ্যবয়সী নারীদের মধ্যে।
- সিস্ট: তরলপূর্ণ থলে, যা সাধারণত হারমোনাল পরিবর্তনের কারণে হয়।
- ফাইব্রোসিস্টিক পরিবর্তন: মাসিক চক্রের সময় স্তনে ব্যথা ও পিণ্ডের অনুভূতি হতে পারে।
- ইন্ট্রাডাক্টাল প্যাপিলোমা: দুধের নালিতে ছোট টিউমার, যা সাধারণত বিনাইন কিন্তু কখনও কখনও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
২। ম্যালিগন্যান্ট (ক্যান্সারাস) টিউমার
- ইনভেসিভ ডাক্টাল কার্সিনোমা (IDC): সবচেয়ে কমন ব্রেস্ট ক্যান্সার (৮০% ক্ষেত্রে), যা দুধের নালি থেকে শুরু হয়ে আশপাশের টিস্যুতে ছড়ায়।
- ইনভেসিভ লোবুলার কার্সিনোমা (ILC): লোবিউল (দুধ উৎপাদনের অংশ) থেকে শুরু হয়।
অন্যান্য ধরন: ট্রিপল নেগেটিভ, HER2 পজিটিভ, ইত্যাদি।
ব্রেস্ট টিউমার হলে করনীয়
যখন ডাক্তারদের আর কিছুই করার থাকেনা। তাই আমি আমাদের মা বোনদের সচেতন করতে চাই যদি আপনাদের স্তনে ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি আরো কিছু লক্ষণ প্রকাশ পাই তাহলে সেই বিষয়ে দেরি না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। যদি কোন মহিলার ব্রেস্টে টিউমার হয় তাহলে তিনি কি করবেন সেই নিয়ে এখন আমি আপনাদের সামনে আলোচনা করব।
আমাদের দেশে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার বেশ প্রচলন রয়েছে। অনেক মানুষ রয়েছে যারা যেকোনো সমস্যার জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা অনেক বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। যেকোনো সমস্যা হলে ডাক্তারের কাছে না গিয়ে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন।
কিন্তু বাংলাদেশ ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের ডাক্তার পারভীন চৌধুরী বলেছেন যে ব্রেস্ট টিউমার এর ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নেওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ হোমিওপ্যাথি ওষুধ শুধুমাত্র এই রোগটিকে কিছুদিনের জন্য দমিয়ে রাখতে পারে। একেবারেই ভালো করতে পারে না। আর টিউমার এর ক্ষেত্রে যদি আপনি দ্রুত ব্যবস্থা না নিয়ে বেশি দেরি করেন তাহলে সেটি ক্যান্সারের রূপ নিবে।
তাই ব্রেস্ট টিউমার যত দ্রুত সম্ভব ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে তারা প্রতিটি রোগীর ক্ষেত্রে প্রায় একই রকম ঔষধ প্রয়োগ করে থাকে।
যার ফলে কখনো কখনো হিতে বিপরীত হতে পারে। আমি এটা বলছি না যে হোমিওপ্যাথি ঔষধ খারাপ কিন্তু তারা যেহেতু রোগীর অবস্থা ঠিকভাবে না বুঝে সবাইকে একই রকম ঔষধ প্রয়োগ করে তাই এই ঔষধ খাওয়ার পূর্বে একটু বুঝে শুনে খেতে হবে।
স্তনে কোনো পিণ্ড বা অস্বাভাবিকতা ধারণ করলে আতঙ্কিত না হয়ে ধাপে ধাপে নিচের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করুন:
১. দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
- ব্রেস্ট স্পেশালিস্ট (সার্জন/অঙ্কোলজিস্ট) বা গাইনোকোলজিস্ট-এর কাছে যান।
- আপনার লক্ষণ, পারিবারিক ইতিহাস এবং ঋতুস্রাবের বিবরণ জানান।
২. ডায়াগনস্টিক টেস্ট করান
চিকিৎসক নিচের পরীক্ষাগুলো করার পরামর্শ দিতে পারেন:
পরীক্ষার নাম | কেন করা হয় |
১। ম্যামোগ্রাফি | ১। টিউমারের অবস্থান ও ক্যালসিফিকেশন দেখতে |
২। আল্ট্রাসাউন্ড | ২। সিস্ট (তরল) ও সলিড টিউমার পার্থক্য করতে |
৩। MRI | ৩। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের জন্য বিস্তারিত ইমেজিং |
৪। বায়োপসি | ৪। টিউমার ক্যান্সারাস কি না নিশ্চিত হতে |
৩. চিকিৎসার অপশন সমূহ
টিউমারের ধরন (বিনাইন/ম্যালিগন্যান্ট) ও পর্যায় অনুযায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি ভিন্ন হয়:
- ক. বিনাইন (নন-ক্যান্সারাস) টিউমারের চিকিৎসা
-
- মনিটরিং: ছোট ফাইব্রোএডিনোমা বা সিস্ট হলে নিয়মিত ফলো-আপ।
- সার্জারি: টিউমার বড় বা অস্বস্তিকর হলে অপসারণ (লাম্পেক্টমি)।
- সিস্ট ড্রেনেজ: তরলপূর্ণ সিস্ট হলে সুই দিয়ে তরল বের করে দেওয়া।
- খ. ম্যালিগন্যান্ট (ক্যান্সারাস) টিউমারের চিকিৎসা
- সার্জারি:
- লাম্পেক্টমি: শুধু টিউমার অপসারণ।
- মাস্টেক্টমি: সম্পূর্ণ স্তন অপসারণ (প্রয়োজনে)।
- রেডিয়েশন থেরাপি: ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে।
- কেমোথেরাপি/হরমোন থেরাপি: শরীরে ছড়ানো ক্যান্সার কোষ মারতে।
৪. মানসিক স্বাস্থ্য ও সহায়তা
- কাউন্সেলিং: ক্যান্সার ডায়াগনোসিস হলে মানসিক সহায়তা নিন।
- সাপোর্ট গ্রুপ: অন্যান্য রোগীর অভিজ্ঞতা শুনুন (যেমন: ব্রেস্ট ক্যান্সার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ)।
৫. জীবনযাত্রায় পরিবর্তন
- পুষ্টিকর খাবার: শাকসবজি, ফল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খান।
- ব্যায়াম: সপ্তাহে ৫ দিন ৩০ মিনিট হাঁটা বা যোগব্যায়াম করুন।
- ধূমপান/অ্যালকোহল ত্যাগ করুন।
৬. নিয়মিত ফলো-আপ
- চিকিৎসার পর ৬ মাস বা ১ বছর পরপর ম্যামোগ্রাম/আল্ট্রাসাউন্ড করুন।
- নতুন কোনো লক্ষণ (ব্যথা, ফোলা) দেখা দলে অবহেলা করবেন না।
কখন জরুরি হাসপাতালে যাবেন?
- টিউমার দ্রুত বড় হলে বা তীব্র ব্যথা হলে।
- নিপল থেকে রক্তপাত বা স্তনের ত্বকে ঘা হলে।
- ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে ৯৫% ক্ষেত্রে নিরাময় সম্ভব। তাই দেরি না করে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন।
দ্রষ্টব্যঃ আমি শুধুমাত্র আপনাদের জানানোর জন্য টিউমারের চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করছি। অবশ্যই টিউমার নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে হলে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ব্রেস্ট টিউমার হলে করনীয় জেনে নেওয়ার পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় তরমুজ খাওয়া যাবে কি না তা আমাদের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।
ব্রেস্ট টিউমার মানেই কি ক্যান্সার
না, ব্রেস্ট টিউমার (স্তনের টিউমার) মানেই ক্যান্সার নয়। বেশিরভাগ ব্রেস্ট টিউমার বিনাইন (নন-ক্যান্সারাস) হয়, তবে কিছু টিউমার ম্যালিগন্যান্ট (ক্যান্সারাস) হতে পারে। সঠিক ডায়াগনোসিসের জন্য মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষা জরুরি।
১। ডায়াগনোসিস (নির্ণয়)
- ক্লিনিক্যাল ব্রেস্ট এক্সাম: ডাক্তার দ্বারা শারীরিক পরীক্ষা।
২। ইমেজিং টেস্ট:
- ম্যামোগ্রাফি (এক্স-রে)।
- আল্ট্রাসাউন্ড (সিস্ট ও সলিড টিউমার পার্থক্য করতে)।
- MRI (উচ্চ রিস্ক রোগীদের জন্য)।
৩। বায়োপসি:
- টিস্যুর নমুনা পরীক্ষা করে ক্যান্সার নিশ্চিত করা।
ব্রেস্ট টিউমারের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্যান্সার হয় না, তবে দ্রুত ডায়াগনোসিস ও চিকিৎসা জীবন বাঁচাতে পারে। কোনো সন্দেহ থাকলে অবিলম্বে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার কারণ
ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার পেছনে একাধিক জৈবিক, পরিবেশগত ও জীবনযাপন-সংক্রান্ত কারণ কাজ করে। টিউমার বিনাইন (নন-ক্যান্সারাস) বা ম্যালিগন্যান্ট (ক্যান্সারাস) উভয়ই হতে পারে। নিচে প্রধান কারণগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:
১. হরমোনাল প্রভাব
- এই হরমোনগুলির মাত্রা বৃদ্ধি (প্রাকৃতিক বা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি) ব্রেস্ট টিস্যুকে উদ্দীপিত করে, যা টিউমার তৈরি করতে পারে।
- ফাইব্রোএডিনোমা (বিনাইন টিউমার) সাধারণত প্রজনন বয়সের নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
- হরমোনাল গর্ভনিরোধক দীর্ঘদিন ব্যবহারের সাথে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
- যেসব নারী মেনোপজের পর এস্ট্রোজেন+প্রোজেস্টিন থেরাপি নেন, তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কিছুটা বেড়ে যায়।
২. জিনেটিক বা বংশগত কারণ
- BRCA1 ও BRCA2 জিন মিউটেশন: এই জিনগুলির পরিবর্তন ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি ৫০-৮০% পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়।
- পারিবারিক ইতিহাস: মা, বোন বা কাছাকাছি আত্মীয়ের ব্রেস্ট ক্যান্সার থাকলে ঝুঁকি বাড়ে।
- অন্যান্য জিনেটিক সিনড্রোম: Li-Fraumeni syndrome, PTEN জিন মিউটেশন ইত্যাদি।
৩. বয়স ও লিঙ্গ
- বয়স: ৫০ বছর নারীদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি।
- লিঙ্গ: নারীদের ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার ঝুঁকি পুরুষদের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি, তবে পুরুষরাও ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে।
৪. জীবনযাপন ও পরিবেশগত কারণ
- অ্যালকোহল: নিয়মিত অ্যালকোহল সেবন (দিনে ১ গ্লাসের বেশি) ঝুঁকি বাড়ায়।
- ধূমপান: দীর্ঘদিন ধূমপান করলে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন টিউমারের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
- স্থূলতা: মেনোপজ নারীদের শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট টিস্যু এস্ট্রোজেন উৎপাদন করে, যা টিউমার তৈরি করতে সাহায্য করে।
- শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা: ব্যায়াম না করলে হরমোনাল ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়।
৫. বিকিরণ (Radiation) এক্সপোজার
- বাচ্চাবেলায় বা তরুণ বয়সে বুকে রেডিয়েশন থেরাপি (যেমন: Hodgkin’s lymphoma-এর চিকিৎসায়) পরবর্তীতে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
৬. প্রজনন সংক্রান্ত কারণ
- সন্তান না নেওয়া বা ৩০ বছর বয়সের পর প্রথম গর্ভধারণ: এস্ট্রোজেনের দীর্ঘসময় প্রভাব টিউমার তৈরি করতে পারে।
- বুকের দুধ না খাওয়ানো: গবেষণায় দেখা গেছে, ১ বছরের বেশি বুকের দুধ খাওয়ালে ঝুঁকি কিছুটা কমে।
৭. অন্যান্য মেডিকেল অবস্থা
- ডেনস ব্রেস্ট টিস্যু: ম্যামোগ্রাফিতে সাদা দেখা যায়, টিউমার শনাক্ত করা কঠিন করে এবং ঝুঁকি বাড়ায়।
- প্রি-ক্যান্সারাস অবস্থা: যেমন ডাক্টাল কার্সিনোমা ইন সিটু (DCIS) বা লোবুলার কার্সিনোমা ইন সিটু (LCIS)।
৮. খাদ্যাভ্যাস
- প্রক্রিয়াজাত খাবার, লাল মাংসের অতিরিক্ত সেবন এবং ফাইবারের অভাব ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- ভিটামিন ডি-এর অভাব: কিছু গবেষণায় এটি ব্রেস্ট ক্যান্সারের সাথে যুক্ত পাওয়া গেছে।
মনে রাখবেন: বেশিরভাগ ব্রেস্ট টিউমারই ক্যান্সার নয়, তবে কোনো অস্বাভাবিকতা লক্ষ করলে দ্রুত ব্রেস্ট স্পেশালিস্ট-এর পরামর্শ নিন। প্রারম্ভিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে চিকিৎসার সাফল্যের হার অনেক বেশি।
ব্রেস্টে ব্যথা হওয়ার কারণ
বিভিন্ন সময়ে আমরা অনেকে মহালারা লক্ষ করি যে ব্রেস্টে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা হচ্ছে। আর এই ব্যথা লজ্জার কারণে তারা সহজেই কারও সাথে আলোচনা করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেনা। আর এমতবস্থায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে সকল মহিলার ব্রেস্টে ব্যথা হচ্ছে তারা তাদের ব্যথার কথা নিজেদের ভেতর রেখে দিচ্ছে।
আবার অনেক সময় দেখা যায় ব্রেস্টে টিউমারের কারণে ব্যথা হচ্ছে আর তা কারো সামনে আলোচনা না করে দিনের পর দিন চুপ করে থাকছে। আর যার ফলে এর পরিনিতি হচ্ছে ক্যান্সার। এই সময়ে চুপচাপ বসে না থেকে আমাদেরকে ভালোভাবে আগে কারণগুলো আইডেন্টিফাই করে নিতে হবে।
কারণঃ
১। ব্রেস্ট ব্যথা হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে হরমোনের পরিবর্তন। অনেক মহিলার ঋতুস্রাবের পূর্বে ও পরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ব্রেস্ট ব্যাথা হতে পারে। এই ব্যথা ঋতুস্রাব চলাকালীন হয় এবং যখন ঋতুস্রাব ভালো হয়ে যায় তখন ব্যথা কমে যায়। এতে ভয় পাওয়ার কিংবা চিন্তা করার কিছু নেই।
২। একটি মহিলার স্তন সিস্ট দ্বারা আক্রান্ত হলে যখন স্তনের গ্রন্থে বৃদ্ধি পায় তখন তার সাথে সাথে এই সিস্ট ও বৃদ্ধি পায়। আর এই সিস্ট বৃদ্ধি পেলে একজন মহিলা হাত দিয়েই অনুভব করতে পারবেন। তখন অবশ্যই তাকে দ্রুত চিকিৎসকের নিকট গিয়ে পরামর্শ নিতে হবে।
৩। কোন মহিলা যদি প্রথমবার গর্ভধারণ করে তাহলে গর্ভধারণ করার পর তিন মাস পর থেকে সেই মহিলা স্তনে ব্যথা অনুভব করে থাকে। কারণ এই সময় মহিলাদের ব্রেস্টের আকার বড় হয় এবং ব্রেস্টের ওপর নীল আকৃতির রাশি দেখা দিয়ে থাকে। আর সেই কারণে সেই গর্ভবতী মহিলার ব্রেস্টে ব্যথা হতে পারে।
৪। কোন মহিলা যখন একটি শিশু জন্ম দেয় তখন সেই শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হয়। আর সেই কারণেও একটি মহিলার ব্রেস্টে ব্যথা হয়ে থাকে। এটা চিন্তার কোন বিষয় নয়। কিছুদিন পর আস্তে আস্তে এই ব্যথা কমে যাই।
৫। কিছু কিছু ওষুধ রয়েছে যে সকল ওষুধ খাওয়ার ফলে সাইড ইফেক্ট হিসাবে ব্রেস্টে ব্যথা হতে পারে। এ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছুই নেই। সে সকল ঔষধ খাওয়া বন্ধ করলে আস্তে আস্তে সেই ধরনের ব্যথা দূর হয়ে যাই।
তাই আপনার যদি ব্রেস্টে ব্যথা করে তাহলে প্রথমে নিশ্চিত হতে হবে কোনরকম ঔষধের সাইড ইফেক্ট এর কারণে ব্যথা হচ্ছে কিনা। যেমনঃ জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, মেথাইলডোপাও, ক্লোরপ্রোমাজিন ইত্যাদি ঔষধের কারণে ব্রেস্টে ব্যথা হতে পারে। ব্রেস্টে ব্যথা হওয়ার কারণ জেনে নেওয়ার পাশাপাশি কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো তা আমাদের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।
ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায়
আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা প্রতিনিয়ত ব্রেস্ট এ ব্যথা অনুভব করেন যা ফলে হয় এটা নিয়ে তারা অনেক বেশি চিন্তিত থাকেন। মনে মনে ভাবতে থাকেন যে তার ব্রেস্টে টিউমার হয়েছে কিনা। আর এই ভাবনা নিয়ে এতটাই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কোন কাজে মন বসাতে পারছে না। আপনি দোটানোর মধ্যে আছেন আসলেই কি আপনার বেস্ট টিউমার হয়েছে নাকি অন্য কিছু।
মানবদেহের অন্যান্য অঙ্গের মতো কোষেরও একটা স্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু কিছু সময় স্তনের কিছু কোষ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এই অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন একপর্যায়ে মাংসের পিণ্ড বা চাকায় পরিণত হয়। এই চাকা বা পিণ্ডই ব্রেস্ট টিউমার।
ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায় নিচে উল্লেখ করা হলঃ
- স্তন টিউমারের অন্যতম চেনার উপায় হল শক্ত পিণ্ডের মতো অনুভূত হওয়া । অর্থাৎ সহজ ভাষায় বলতে গেলে রোগীরা নিজে থেকেই তাদের স্তনে অস্বাভাবিক শক্তভাব অনুভব করবেন।
- স্তনের বোঁটায় অস্বাভাবিকতা দেখা দেওয়া। যেমন কালো হয়ে শক্ত হওয়া বা ভেতরে ঢুকে যাওয়া।
- স্তনের নির্দিষ্ট স্থানের চামড়ায় চুলকানি হওয়া বা স্তনের নির্দিষ্ট স্থানের চামড়ার রং বদলে যাওয়া।
- এ ছাড়া ভিন্ন ভিন্ন রোগীর ক্ষেত্রে লক্ষণ ভিন্ন হতে পারে। যেমন স্তন ব্যথা করা, স্তনের বোঁটায় ঘা হওয়া, অত্যধিক চুলকানো ইত্যাদি।
স্তনে কোনো পিণ্ড বা অস্বাভাবিকতা লক্ষ করলে আতঙ্কিত না হয়ে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা জরুরি। ব্রেস্ট টিউমার বিনাইন (নন-ক্যান্সারাস) বা ম্যালিগন্যান্ট (ক্যান্সারাস) হতে পারে। নিচের উপায়গুলোতে আপনি প্রাথমিকভাবে টিউমার শনাক্ত করতে পারবেন:
১। স্ব-পরীক্ষা পদ্ধতি:
ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায় নিয়ে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি নিজেই কিছু ধাপ অনুসরণ করে স্তনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা সম্ভব। স্ব-পরীক্ষা এমন একটি কার্যক্রম, যা আপনাকে প্রাথমিক অবস্থায় অস্বাভাবিক লক্ষণগুলো শনাক্ত করতে সাহায্য করবে। এই পরীক্ষা নিয়মিত করলে আপনি নিজেই দ্রুত পরিবর্তনগুলো বুঝতে পারবেন।
আয়নার সামনে পর্যবেক্ষণ করুন
প্রথমে আয়নার সামনে দাঁড়ান এবং দুই হাত আপনার কোমরে রাখুন। স্তনের আকৃতি, আকার, এবং চামড়ার পরিবর্তন লক্ষ্য করুন। চামড়ায় কোনো অংশে ভাঁজ পড়া, ফোলাভাব, বা লালচে ভাব আছে কি না তা পরীক্ষা করুন। এরপর দুই হাত মাথার ওপরে তুলে একইভাবে স্তনের অবস্থার পরিবর্তন খেয়াল করুন।
হাত দিয়ে পরীক্ষা করুন:
বিছানায় শুয়ে পড়ে এক হাত মাথার নিচে রাখুন। অন্য হাত দিয়ে স্তনের চারপাশে মৃদু চাপ দিন। আঙ্গুলের মাথাগুলো ব্যবহার করে বৃত্তাকারে পুরো স্তনের পৃষ্ঠটি পরীক্ষা করুন। কোনো পিণ্ড বা অস্বাভাবিক শক্ত অংশ অনুভব হলে সেটি লক্ষ্য করুন।
গোসল করার সময় পরীক্ষা করুন:
গোসলের সময় সাবান লাগানো অবস্থায় হাত দিয়ে স্তন পরীক্ষা করা সহজ হয়। এই সময়ে চামড়া মসৃণ থাকে, যা আপনাকে অস্বাভাবিক পিণ্ড বুঝতে সাহায্য করবে।
স্ব-পরীক্ষা করতে প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নিন, বিশেষত মাসিক চক্রের শেষের দিকে, যখন স্তন নরম থাকে। তবে, যদি কোনো পরিবর্তন বা অস্বাভাবিকতা অনুভব করেন, দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২। চিকিৎসক দ্বারা ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা
বছরে অন্তত একবার গাইনোকোলজিস্ট বা সার্জন দ্বারা ক্লিনিক্যাল ব্রেস্ট এক্সাম করান, বিশেষ করে যদি:
- পরিবারে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ইতিহাস থাকে।
- ৩৫ বছরের বেশি বয়স হয়।
৩। ইমেজিং টেস্ট (মেডিকেল স্ক্রিনিং)
- A. ম্যামোগ্রাফি (Mammogram):
-
- ৪০ বছর বয়সের পর বছরে একবার স্ক্রিনিং করা উচিত (উচ্চ ঝুঁকিতে থাকলে আগেও)।
- টিউমারের অবস্থান, আকার ও প্রকৃতি (ক্যালসিফিকেশন) নির্ণয় করে।
- B. আল্ট্রাসাউন্ড (Ultrasound):
-
- ৩০ বছরের কম বয়সী নারীদের জন্য প্রাথমিক টেস্ট (স্তন টিস্যু ঘন হলে ম্যামোগ্রাফির চেয়ে কার্যকর)।
- সিস্ট (তরলপূর্ণ) ও সলিড টিউমার পার্থক্য করতে সাহায্য করে।
- C. MRI:
- উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের (BRCA জিন মিউটেশন থাকলে) বা ম্যামোগ্রাফিতে সন্দেহজনক ফলাফল এলে।
৪। বায়োপসি (Biopsy)
- টিউমার ক্যান্সারাস কি না নিশ্চিত হতে টিস্যুর নমুনা ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। প্রকারভেদ:
- ফাইন নিডল অ্যাসপিরেশন (FNA): সূক্ষ্ম সুই দিয়ে তরল বা কোষ সংগ্রহ।
- কোর নিডল বায়োপসি: টিস্যুর ছোট স্যাম্পল নেওয়া।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায় সম্পর্কে স্ব-পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, কিছু লক্ষণ দেখা দিলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাধ্যতামূলক। প্রাথমিক পর্যায়ে যেকোনো অস্বাভাবিকতা শনাক্ত করা রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে।
পিণ্ড বা চাকা শনাক্ত হলে:
যদি স্তনে কোনো শক্ত পিণ্ড বা চাকা অনুভব করেন, তা যতই ছোট হোক না কেন, দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। বিশেষত যদি এটি ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে, তাহলে এটি অবহেলা করবেন না।
স্তনের বোঁটায় অস্বাভাবিক পরিবর্তন:
স্তনের বোঁটা ভেতরে ঢুকে যাওয়া, কালো বা লালচে হয়ে যাওয়া, কিংবা বোঁটা থেকে পুঁজ বা রক্তক্ষরণ হলে এটি হতে পারে একটি গুরুতর লক্ষণ। এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
চামড়ার পরিবর্তন ও ফোলাভাব:
স্তনের চামড়া যদি ফোলা, লালচে, বা কমলালেবুর চামড়ার মতো ঝুঁকেপূর্ণ হয়ে যায়, এটি ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের ইঙ্গিত হতে পারে। এই লক্ষণগুলিকে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করুন।
ব্যথা বা অস্বস্তি:
যদি স্তনে নিয়মিত ব্যথা থাকে বা অস্বস্তি অনুভব করেন, বিশেষত যদি এটি কোনো নির্দিষ্ট স্থানে সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি।
প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে টিউমার বিনাইন নাকি ম্যালিগন্যান্ট, তা নির্ণয় করবেন। এর মধ্যে ম্যামোগ্রাফি, আল্ট্রাসাউন্ড বা বায়োপসির মতো আধুনিক পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
সচেতন থাকা এবং সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া আপনাকে বড় ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে পারে।
সতর্কতা
- বিনাইন টিউমার সাধারণত মসৃণ, গোলাকার ও নড়াচড়া করা যায়।
- ক্যান্সারাস টিউমার প্রায়ই অমসৃণ, অনিয়মিত আকারের ও স্থির মনে হয়।
- তবে শুধু লক্ষণ দেখে ক্যান্সার নিশ্চিত করা অসম্ভব—ডায়াগনোসিস জরুরি!
ব্রেস্ট টিউমারের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র উপরের লক্ষণ গুলো প্রকাশ পাবে তা কিন্তু নয়। অনেকের অন্যান্য লক্ষণ ও প্রকাশ পেতে পারে। তাই উপরের লক্ষণ গুলোর কয়েকটি প্রকাশ পেলে দ্রুত চিকিৎসকের নিকট যেতে হবে।
ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ
ব্রেস্ট টিউমার শনাক্ত করার প্রথম ধাপ হলো এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, স্তনে শক্ত পিণ্ড বা চাকা অনুভব করাই সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। এটি সাধারণত পিঁপড়ের ডিমের মতো ছোট হতে পারে, আবার কখনো কখনো এটি বড় ও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ ধরনের পিণ্ড সাধারণত ব্যথাহীন হলেও, কিছু ক্ষেত্রে এটি ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
স্তনের বোঁটার অস্বাভাবিকতা প্রাথমিক লক্ষণের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য দিক। যদি স্তনের বোঁটা কালো হয়ে শক্ত হয়ে যায়, চামড়া ভেতরের দিকে ঢুকে যায়, বা অন্য কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা যায়, তাৎক্ষণিকভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এছাড়াও, স্তনের নির্দিষ্ট অংশে তীব্র চুলকানি, লালচে চামড়া, বা রং পরিবর্তনের মতো উপসর্গগুলো ব্রেস্ট টিউমারের ইঙ্গিত হতে পারে।
অন্যদিকে, কিছু মহিলার ক্ষেত্রে স্তনের বোঁটায় পুঁজ বা রক্তক্ষরণের মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এগুলো সামান্য মনে হলেও এগুলো উপেক্ষা করা উচিত নয়। প্রাথমিক লক্ষণগুলো দ্রুত শনাক্ত করতে পারলে চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা যায়, যা রোগ নিরাময়ের সম্ভাবনাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
বিনাইন ও ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের পার্থক্য
ব্রেস্ট টিউমার শনাক্ত করার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এটি বিনাইন নাকি ম্যালিগন্যান্ট, তা বোঝা। বিনাইন টিউমার (অক্ষতিকারক টিউমার) সাধারণত নরম এবং ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। এই ধরনের টিউমার শরীরের অন্য কোথাও ছড়িয়ে পড়ে না এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি বিপজ্জনক নয়।
তবে, এটি সময়মতো সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসা না করালে কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অন্যদিকে, ম্যালিগন্যান্ট টিউমার (ক্যান্সারজনিত টিউমার) দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং এটি বেশ শক্ত হয়ে থাকে। সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হলো এটি শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রাখে।
এই প্রক্রিয়াকে মেডিকেল ভাষায় “মেটাস্টেসিস” বলা হয়। ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে এটি শনাক্ত করা গেলে রোগ নিরাময়ের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। এছাড়াও, বিনাইন টিউমারের ক্ষেত্রে ব্যথা সাধারণত কম হয়, কিন্তু ম্যালিগন্যান্ট টিউমার থেকে ব্যথা বা অস্বস্তি হতে পারে। তবে, শুধু ব্যথার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।
সঠিক চিকিৎসক ও আধুনিক পরীক্ষার মাধ্যমে এটি নির্ণয় করা গুরুত্বপূর্ণ। ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায় সম্পর্কে সচেতন হওয়ার মাধ্যমে আপনি সময়মতো রোগের ধরণ বুঝতে পারবেন এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারবেন।