ফেমিকন কিসের ঔষধ – ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম

ফেমিকন কিসের ঔষধ – ফেমিকন হলো যে স্বল্পমাত্রায় জন্ম নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষ করে এটি বিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রে অনেক প্রয়োজন হয়ে থাকে। বিবাহিত যেকোনো নারী একবার না একবার এই পিলটি খেয়েছে। এই ফেমিকন পিল যদি কোন নারী খায় তাহলে তাদের জন্ম হার একেবারে কমে আসবে, অর্থাৎ তাদের গর্ভে কোন সন্তান আসবে না, যতদিন এই পিল খাবে।
এই ফেমিকনের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে, যা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো ।ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম রয়েছে, এই নিয়ম মেনে ফেমিকন খেলে তেমন কোন ধরনের সমস্যা হবে না। এই ফেমিকন স্বল্পমাত্রায় জন্ম বিরতি কারণ করে থাকে।
ফেমিকন কিসের ঔষধ
আপনারা অনেকেই জানেন যে ফেমিকন পিল মূলত জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করা হয়। যারা বিবাহিত রয়েছেন তারা এ পিল টি ব্যবহার করে থাকেন। কারণ এপিলের মাধ্যমে অনিয়ন্ত্রিতভাবে কোন বাচ্চা আসতে পারে না । এমনকি এই ফেমিকন পিল খাওয়ার ফলে মাসিকের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
যেমন, মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা এবং প্রচন্ড পরিমাণে সাদা স্রাব হয়, এসব সমস্যা দূর হয়ে যায়। এই ফেমিকন পিলের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি মানব দেহের জন্য অনেক জায়গার উপকার করে থাকে। বিশেষ করে শরীরের জন্য বেশ উপকারী এই ফেমিকন পিল।
ফেমিকন এর কাজ কি
ফেমিকন একটি বিশেষ পিল ওষুধ। এটি সাধারনত জন্ম নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে। মানে এই ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে মহিলারা জন্ম ধারন থেকে দূরে থাকতে সক্ষম। এটি মহিলাদের হরমোনাল কন্ট্রাসেপ্টিভ করে মাসিক চক্রের মাধ্যমে গর্ভধারন নিয়ন্ত্রন করে থাকে। আর এই চক্রটি প্রায় সকল পিল ই একরকম কাজ করে। মূল কথা হচ্ছে ফেমিকন হচ্ছে এক ধরণের পিল যার প্রধান ব্যবহার হয় গর্ভধারন রোধে।
অর্থাৎ আপনি যদি সহবাসের পরে এই ট্যাবলেটি সেবন করেন তাহলে আপনি যতোই সহবাস করেন না কেন কোনভাবেই সন্তান হবে না। এছাড়াও এর আরো বেশ কিছু কার্যকারিতা রয়েছে যেগুলো আমাদের জন্য অনেক উপকারী এবং প্রয়োজনীয় বলে আমি মনে করি।
আসল কাহিনী হচ্ছে, আমাদের শুক্রাণু এবং মেয়েদের ডিম্বাণু মিলিত হয়ে জাইগোট হয় আর এই জাইগোট হলেই সন্তান ধারনের প্রাথমিক কাজ সমাপ্ত হয়। কিন্তু আপনি যদি এই ফেমিকন পিল সেবন করনে তাহলে এই শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুর জাইগোট হতে দেয় না।
এছাড়া এই কাজগুলোতে এসব হরমোন সক্রিয়ভাবে কাজ করে সেসব হরমোন কে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে এ কারণে কোনভাবেই সন্তান ধারণ হয় না আপনি যতোই সহবাস করেন না কেন। গর্ভধারণ থেকে বিরত রাখা ছাড়াও খাবর পিল অনেক ক্ষেত্রে শরীরের অনেক উপকার করে। ফেমিকন এর কাজ কি তা জেনে নেওয়ার পাশাপাশি ডক্সিসাইক্লিন ১০০ এর কাজ কি আমাদের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।
ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম
আমরা যেসব খাবার গ্রহণ করে থাকি সেসব খাবারের কিন্তু একটি নিয়ম থাকে। যদি আমরা সেই নিয়ম অনুযায়ী খাই তাহলে আমাদের তেমন কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু যদি আমরা নিয়ম না মেনে খায় তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে বিশেষ করে ওষুধ, যদি ওষুধটা নিয়ম অনুযায়ী না খায় তাহলে উপকারে থেকে অপকারিতায় বেশি দেখা দিবে। তাই আমরা এখন ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম জানব।
১। ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম হলো যে মাসিক শেষ হওয়ার পর থেকে আপনাকে পিল খাওয়া শুরু করতে হবে।
২। ফেমিকন প্রতিদিন আপনাকে একই সময় খেতে হবে, অর্থাৎ যদি আপনি দুপুরে খান তাহলে প্রতিদিন দুপুরে খেতে হবে, এবং যদি আপনি সকালে খান তাহলে প্রতিদিন সকালেই পিল খেতে হবে।
৩। একটি পাতায় ২৮ টি ফেমিকন পিল থাকে। তার তার মতো সাতটি থাকে লাল পিল, এবং ২১ টি থাকে সাদা পিল। এই সাদা পিলটি আপনাকে খাওয়া শুরু করতে হবে, এবং ২১ দিনের মাথায় আপনার মাসিক শুরু হয়ে যাবে।
৪। এরপর যদি আপনার মাসিক শুরু হয়ে যায় তাহলে লাল পিলটি খাওয়া শুরু করবেন, এবং মাসিক চলা পর্যন্ত এই লাল পিলটি খেতে হবে।
৫। ফেমিকন পিল যদি লালটি শেষ হয়ে যায় তাহলে মাসিকের পর থেকে আবার আপনাকে সেই সাদা পিলটি খাওয়া শুরু করতে হবে।
৬। ফেমিকন পিল খাওয়া কোনভাবে বাদ দেওয়া যাবে না।
ফেমিকন পিল কখন খাওয়া উচিত
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমি আলোচনা করব ফেমিকন পিল কখন খাওয়া উচিত এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। অনেকে আমরা ফেমিকন পিল খায় কিন্তু ফেমিকন পিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানি না।আমরা অনেকে ফেমিকন পিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম না জানার কারণে অনেকেই সমস্যার মধ্যে পড়ে থাকি। ফেমিকন পিলটি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পিল।
এই পিলটি প্রায় অনেকেই খেয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রায় ৬০ থেকে ৭০% মহিলা স্বল্পমাত্রার জন্মনিয়ন্ত্রণ পীর হিসেবে এই ফেমিকন পিল কেই বেছে নেন। কারণ এই ফেমিকন পিল বাংলাদেশের সাফল্য তার সাথে চলে আসছে।কিন্তু আমরা অনেক সময় আমাদের গাফিলতার কারণে এই ফেমিকন পিলটিকে সঠিকভাবে না খাওয়ার কারণনে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
একটি ফেমিকনের পাতায় ২১ টি সাদা ট্যাবলেট এবং ৭ লাল ট্যাবলেট থাকে।চলুন আলোচনার মূল টপিকসে চলে যাই। ফেমিকন পিল কখন খাওয়া উচিত।
মাসিক হওয়ার প্রথম কিংবা দ্বিতীয় দিন থেকে ফেমিকন পিল খাওয়া শুরু করতে পারেন। অনেকেই প্রশ্ন করেন মাসিক হওয়া ৮ থেকে ১০ দিন হয়ে গেছে এমন তো অবস্থায় পিল খাওয়া যাবে কিনা। এমন সময় একদম খাওয়া যাবেনা। কারণ মাসিক হওয়ার প্রথম বা দ্বিতীয় দিন থেকে এই পিন খেতে হয়।
এবং প্রতিদিন একটি করে পিল খেতে হবে। রাতে খাবারের পর সত্যি করে পিল খেতে হবে।মোট ২৮ দিনে ২৮ টি পিল খেতে হয়।পরপর ২১ দিন সাদা পিল এবং ৭ দিন লালবিল খেতে হয়।
ফেমিকন খেলে কি ক্ষতি হয়
ফেমিকন নিয়মিত না খেলে সাধারণ নিয়মে গর্ভধারণ হয়ে যায়।একেক ধরনের খাবার পিল একেক ধরনের মহিলার শরীরের সাথে মানিয়ে যায়।তবে কিছু কিছু মহিলার প্রাথমিক অবস্থায় এই পিল খেলে কিছু অসুবিধা দেখা দিতে পারে।যেমন মাথা ঘোরা,মাথা ব্যথা।বমি বমি ভাব।
তাই নিয়মিত পিল খেতে থাকলে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই সমস্ত প্রসর্গ স্বাভাবিক হয়ে যায়।এবং এ সকল উপসর্গ দূর হয়ে যায়।যে সকল মহিলাদের ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন মাস পরেও এ সমস্যা থেকে যায় তাদেরকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী মাসিক শুরু হওয়ার সময় থেকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অন্য কোন পদ্ধতি নিতে হবে।
ফেমিকন এমন একটি ওষুধ যা এটি প্রত্যেকটি বিবাহিত নারী একবার না, একবার গ্রহণ করেছে। কারণ এটি বিশেষ করে বিবাহিত নারীর ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ এই ফেমিকন পিলের মাধ্যমে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু এর কয়েকটি ক্ষতিকর দিক রয়েছে, এবং কয়েকটি উপকারিতা রয়েছে। যদি আপনি এটি সঠিকভাবে না খেতে পারেন তাহলে এটি স্বাস্থ্যঝুঁকির মত সমস্যা তৈরি করতে পারে।
ফেমিকন পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়
ফেমিকন পিলের প্যাকেটের ভিতরে ২১ টি ট্যাবলেট রয়েছে এছাড়াও ৭টি আয়রন ট্যাবলেট রয়েছে। এই ট্যাবলেটটি একটানা ২১ দিন খেতে হবে প্রতিদিন একটি করে। আপনি যদি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকেন তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন আর যদি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী না থাকেন তাহলে ২১ টি ট্যাবলেট শেষ করার পর শেষের সাতটি আয়রন ট্যাবলেট খেতে শুরু করুন
সাধারণত ফেমিকন পিল এর ২১ টি ট্যাবলেট শেষ করার পর ৭ দিনের ভিতরেই মাসিক হয়ে যাই। শেষের আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার সময়কালীন মাসিক হোক বা না হোক পরের দিন নতুন আরেকটি ফেমিকন পিল শুরু করতে হবে সেই একই নিয়মে আশা করি ফেমিকন পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় জানতে পেরেছেন। ফেমিকন পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় তা জেনে নেওয়ার পাশাপাশি নরমেন্স খেলে কি মাসিক বন্ধ হয় কিনা তা আমাদের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।
ফেমিকন পিল খেতে ভুলে গেলে করণীয় কি?
অনেকেই রয়েছে যারা বিভিন্ন কারণে কাজের ব্যস্ততা কিংবা ভুলে গিয়ে ফেমিকন পিল খেতে ভুলে যায় সেজন্য ফেমিকন খেতে ভুলে গেলে করণীয় কি সেটাই আপনাদের এখন জানাবো। ফেমিকন পিল খেতে ভুলে গেলে কি করা উচিত? কোন কারণবশত পিল খেতে ভুলে গেলে করণীয় হচ্ছে যান যখনই মনে পড়বে তখনই খেয়ে নিতে হবে।
অর্থাৎ ঐদিন আপনাকে দুইটা পিল খেতে হবে। যদি কোন কারণে পরপর ২ দিন পিল খেতে ভুলে যান তাহলে মনে পড়ার সাথে সাথে দুটি পিল এবং পরের দিন আবার দুটি পিল খেতে হবে এবং একই পিলের পাতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত পিলের সাথে অন্য একটি পদ্ধতি যেমন ক*নডম ব্যবহার করতে হবে তবে মাসিক নিয়মিত রাখার জন্য অবশিষ্ট পিল গুলো প্রতিদিন একটি করে যথা নিয়মে খেতে হবে।
এবং পরবর্তী মাসিকের প্রথম দিন থেকে নতুন একটি প্যাকেটের উপরের সারির সাদা প্রথম পিল দিয়ে খাওয়া আবার শুরু করতে হবে। কিছু কিছু ওষুধ পিলের কার্যক্ষমতায় বাধা দান করে থাকে আপনি যদি এন্টিবায়োটিক রিফাম পিসিন এবং বেদনাদায়ক কোন ওষুধ সেবন করেন তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। এই সময়ে আপনাকে কোন অন্য ধরনের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।
ফেমিকন লাল পিল খেলে কি হয়?
অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন ফেমিকন লাল পিল খেলে কি হয় অর্থাৎ ফেমিকন প্যাকেটের নিচে যে ৭টি লাল বাদামি রঙের ট্যাবলেট থাকে সেটি খেলে কি হয়। ফেমিকন লাল পিল খেলে শরীরের রক্ত বৃদ্ধি পাই যার কারণে ট্যাবলেটের রং লাল। চলুন তাহলে এবার ফেমিকন লাল পিল খেলে কি মাসিক হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
অনেকেই মাসিক হওয়ার জন্য এই লাল ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন মূলত ২৮ টি ট্যাবলেটের প্রথম ২১ টি সাদা ট্যাবলেট হচ্ছে হরমোন ট্যাবলেট যেটা জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আর অন্যদিকে বাকি ৭টি ট্যাবলেট হচ্ছে আয়রন ট্যাবলেট। আয়রন ট্যাবলেট খেলে শরীরের রক্ত বৃদ্ধি পায় এই কারণে মূলত ৭টি ট্যাবলেটের রং লাল। এই ট্যাবলেট খেলে মাসিক হবে এটি আপনার ভুল ধারণা।
ফেমিকন খাওয়ার কত দিন পর সহবাস করা যায়?
ফেমিকন খাবার পর আপনারা প্রতিদিন সহবাস করতে পারেন। কিন্তু একটি কথা মনে রাখতে হবে যে ফেমিকন পিল কখনোই বাদ দেওয়া যাবে না। কারণ যদি আপনারা একদিন বাদ দেন এবং সে একদিনে পিল যদি না খান তাহলে অনিয়ন্ত্রিত বাচ্চা চলে আসতে পারে।
ফেমিকন খাওয়ার পরই আপনারা সহবাস করতে পারেন। এতে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে না। কিন্তু একটি কথা মনে রাখতে হবে যে মাসিকের সময় কোনভাবে সহবাস করা যাবে না। এটি ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে হারাম বলে গণ্য করা হয়েছে। এবং মেডিকেল সাইন্স থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বাজারে অনেক ধরনের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল রয়েছে তবে তার মধ্যে থেকে ফেমিকন পিল সবথেকে ভালো যা অনেকেই জন্ম নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকে। যারা ফেমিকন পিল ব্যবহার করে থাকে তাদের মধ্যে অনেকে ফেমিকন পিল খাওয়ার কতদিন পর সহবাস করা যায় তা জানতে চেয়ে থাকে। ফেমিকন পিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে যেদিন থেকে মাসিক শুরু হবে সেদিন থেকেই খাওয়া শুরু করা।
যেহেতু মাসিক চলাকালীন অবস্থায় স*হবাস করা ইসলামিক কিংবা মেডিকেল সাইন্সে নিষিদ্ধ তাই মাসিক শেষ হলে আপনি স*হবাস করতে পারেন তাতে কোন অসুবিধা নেই। আপনি যদি ফেমিকন পিল খাওয়া অবস্থায় ধূমপানে আসক্ত না হয়ে থাকেন তাহলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে না। তবে পিল খাওয়া শুরু করার পর আপনার মধ্যে যদি কোন অসুবিধা দেখা দেয় যেমনঃ
- দৃষ্টি শক্তি পরিবর্তন
- বাকশক্তি পরিবর্তন
- শ্বাসকষ্ট
- চামড়াই হলুদ বর্ণ
- বুকে তীব্র ব্যথা
- রক্ত চাপ বেড়ে যাওয়া
- পা ফুলে যাওয়া
- পা ব্যথা করা
এই সকল উপসর্গগুলো যদি আপনার মধ্যে দেখা যায় তাহলে আপনি পিল খাওয়া বন্ধ করে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিবেন অথবা নিকটস্থ কোন ক্লিনিকে যোগাযোগ করবেন।
ফেমিকন পিলটি স্বল্প মেয়াদি নিয়মিত পিল যদি আপনি সঠিক মতন না খান প্রতিনিয়ত তাহলে স*হবাসের মাঝখানে যদি এই পিলটি খান তাহলে কোন কাজে দিবে না তাই সতর্ক থাকা উচিত। সেজন্য স*হবাসের ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই ইমারজেন্সি পিল খেতে হবে।
ফেমিকন কি খালি পেটে খাওয়া যায়
ফেমিকন পিলে কিংবা বাংলাদেশের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বেশিরভাগ পিলগুলোতে ২৮ টি করে ট্যাবলেট থাকে কোন কোন ক্ষেত্রে ২১টি পিল থাকে তো এখন আমরা ২৮ টি ট্যাবলেট এর পিল এর সঠিক খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। এই ২৮ টি পিলের ২১ টি হয় সাদা রঙের এবং ৭টি হয় খয়রি রঙের।
আপনি যখন পিল খাওয়া শুরু করবেন তখন অবশ্যই সাদা পিল দিয়ে শুরু করবেন এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কখন পিল খাওয়া শুরু করবেন এবং খালি পেটে খাবেন নাকি ভরা পেটে? মাসিকের প্রথম দিন থেকেই আপনি পিল খাওয়া শুরু করবেন। শুরু করবেন সাদা রঙের পিল দিয়ে।
২৮ টি পাতায় সমৃদ্ধ যে পিল পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে সাদা রঙের পিল দিয়ে আপনি শুরু করলেন মাসিকের প্রথম দিন থেকে এভাবে চলতে থাকবে এবং ২১তম দিন পর্যন্ত চলবে। আর খয়রি রঙের পিল যেটি হচ্ছে আয়ন সমৃদ্ধ সেই পিলটি আপনাকে ২২ তম দিন থেকে সেবন করতে হবে।
মনে রাখতে হবে পিল প্রতিদিনই আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সময় খেতে হবে সবথেকে ভালো হয় রাতে শোয়ার আগে অথবা রাতে খাবার পর যদি আপনি পিলটি গ্রহণ করে থাকেন। আর সব থেকে ভালো হয় যদি আপনারা এই ফেমিকন পিলটি ভরা পেটে রাতে শোয়ার আগে খান।
ফেমিকন দাম কত
বর্তমানে আমরা বিভিন্ন সময় ফেমিকন কিনতে যে সমস্যায় পড়ি এবং কোন কোন অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা আমাদেরকে প্রতিনিয়ত ঠকাতে থাকে। তাই আজ আমরা বলব ফেমিকন এর দাম কত ? মূলত একটি ফেমিকন পাতায় ২৮ টি বড়ি থাকে। তার মধ্যে একুষ্টি টি সাদা বড়ি এবং ৭টি লাল বড়ী থাকে। সেই ফেমিকন পাতার মূল্য ধরা হয় ৩০ টাকা । ফেমিকন দাম কত তা জেনে নেওয়ার পাশাপাশি mycofree 250 এর দাম কত তা আমাদের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।
ফেমিকন পিলের কার্যকারিতা কত ঘন্টা
অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন ফেমিকন পিলের কার্যকারিতা কত ঘন্টা? চলুন তাহলে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। সাধারণত স*হবাসের পরই ৭২ থেকে ১২০ ঘন্টার মধ্যে ফেমিকন পিল গ্রহণ করতে হয় তাছাড়া আপনি যদি স*হবাসে ১২০ ঘন্টা পার হয়ে যাওয়ার পর যদি ফেমিকন পিল গ্রহণ করেন ফলে তেমন একটা কার্যকরী ফলাফল পাবেন না। তাই আপনাকে ফেমিকন পিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
লেখকের শেষ মতামত
এই আর্টিকেলটি পড়ে এতক্ষণে ফেমিকন কিসের ঔষধ এবং ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম জানতে পেরে গেছেন এছাড়াও আপনাদেরকে জানিয়েছি ফেমিকন কিসের ঔষধ এবং ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আশা করি আপনি সবকিছু সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছেন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনার যদি ফেমিকন পিল খেলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং সেটা যদি তিন মাসে দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
এবং স*হবাসের পরে ৭২ ঘণ্টার ভিতর আপনাকে ফেমিকন পিলটি গ্রহণ করতে হবে তাছাড়া কোন কাজে দিবে না। ফেমিকন পিল সংক্রান্ত আপনার যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন।