পিকচার এডিট করার সেরা ১০টি সফটওয়্যার ২০২৫

পিকচার এডিট করার সেরা সফটওয়্যার – অনেকে ছবি টি এডিট করে থাকে আবার বেশিরভাগ মানুষ মোবাইলেই ছবি এডিট করা বেশি স্বাচ্ছন্দ মনে করে। কেননা পিসির চেয়ে মোবাইলে ছবি এডিট করা অনেকটাই সহজ। তাই আমরা আমাদের মোবাইল ফোনে তোলা ছবিটিকে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য ফটো এডিটিং করে থাকি। আমরা আজকে এমন কিছু অসাধারণ মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট করা অ্যাপ সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
তাই আপনাদের জন্য আমরা বাছাই করে মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট করার সেরা কিছু অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে আলোচনা করেছি। এখান থেকে আপনারা খুব সহজেই আপনার পছন্দের এডিটর অ্যাপটি আমাদের পোস্টে দেওয়া লিঙ্ক থেকে ইন্সটল করে ব্যবহার করতে পারেন।
পিকচার এডিট করার সফটওয়্যার
ছবি এডিট করার অনেক জনপ্রিয় সফটওয়্যার রয়েছে, যেই সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে সহজেই ছবি এডিট করা যায়। যারা ভালো উন্নত মানের ছবি এডিটর সফটওয়্যার খুঁজে বেড়াচ্ছেন, তাদের জন্য এই অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তাছাড়া যারা প্রফেশনাল ভাবে ফটো এডিট করে থাকেন, তারাও চাইলে আমাদের দেখানো জনপ্রিয় ছবি এডিট করার সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করতে পারেন। আমরা মোবাইল ও কম্পিউটার উভয় ডিভাইসের জন্য ফটো এডিট করার সফটওয়্যার সম্পর্কে জানাবো।
আজকে ১২ টি ফ্রি সফটওয়্যার এর ঠিকানা জানাব আপনাদের। সবগুলো সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে পারবেন একবারে ফ্রিতে।নিম্নে ছবি এডিট করার জনপ্রিয় সফটওয়্যার এর তালিকা তুলে ধরা হলোঃ
১। অ্যাফিনিটি ফটো
এই সফটওয়্যারটির বিশেষ কিছু টুয়েল রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে সহজেই ফটো এডিট করা যায়। এই সফটওয়্যারটি একবার ক্রয় করে সারা জীবন অর্থাৎ আনলিমিটেড সময় ব্যবহার করা যাবে। তাছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজটি এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে করতে পারবেন। সফটওয়্যার এর বিশেষ কিছু টুল যেমনঃ
- RAW File Support
- Retouching Tools
- Advanced Brushes
- Color Grading
- PSD File Support
- Panorama Stitching
যারা প্রফেশনাল এডিটর রয়েছেন তারা চাইলে ক্রয় করে এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন। ছবি এডিট করার এই সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করার জন্য তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
২। অ্যাডোবি লাইটরম
Adobe Lightroom মোবাইল অ্যাপের কিছু আকর্ষণীয় ফিচার:
- Premium Presets
- Healing
- Color Grading
- Geometry Correct
- Light Adjustment
- Cloud Storage
লাইটরুম সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করার জন্য গুগল প্লে স্টোরে সফটওয়্যারটির নাম লিখে সার্চ করুন। এই সফটওয়্যারটি দুইটি ভাষণ রয়েছে। আপনি মোবাইলেও সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারবেন। গুগল প্লে স্টোরে সার্চ করলেই পাওয়া যাবে। লাইটরুম লিখে গুগল প্লে স্টোরে সার্চ করুন। সরাসরি ডাউনলোড করতে পারবেন।
৩। ফটোস্কেপ
অনেকগুলো ফটো এডিটর এর মাঝে এই ফটো এডিটরটা আমার সবচেয়ে ভাল লাগে। এই সফটওয়্যার এর অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হল, এটিতে বেশ কিছু দারুন কাজের টুলস আছে। যেমন, ভিউয়ার, এডিটর, ব্যাচ প্রসেসর, ফট কনভার্টার, ফটো রিনেম টুলস, প্রিন্ট লেয়াউট টুলস, স্ক্রিন ক্যাপচার টুলস, কালার পিক টুলসসহ দারুন কিছু টুলস।
৪। গিম্প
লিনাক্স এ এডোবী ফটোশপের বিকল্প সফটওয়্যার হিসেবে গিম্পকে তুলনা করা যায় যদিও এটি ফটোশপের মত এত ফিচার সমৃদ্ধ নয়। তারপরেও তুলনামূলক ফ্রি এবং ওপেনসোর্স হিসেবে এটিতে অনেক ফিচারেই আছে। লিনাক্স এর পাশাপাশি উইন্ডজের জন্য এর আলাদা ভার্সন রয়েছে।
৫। পেইন্ট.নেট
ছোটখাট ফটো এডীটিং এর জন্য এই সফটওয়্যারটি অত্যান্ত কার্যকরী একটা সফটওয়্যার। এই সফটওয়ারটি বানায় ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি মাইক্রোসফট এর সহায়তায়। প্রথমে উইন্ডোজ এক্সপির জন্য রিলিজ হলেও বর্তমানে এর অনেকগুলো ভার্সনেই পাওয়া যায়।
৬। ল্যাজপেইন্ট
ল্যাজপেইন্ট সম্পুর্ণ ফ্রি এবং ওপেনসোর্স ইমেজ এডেটিং সফট যেটা গিম্প এর চেয়ে অনেক বেশী সহজভাবে চালানো যায়। যারা খুব বেশী উঁচুমানের ফটো এডিটিং এ যেতে চান না তাদের জন্য ল্যাজপেইন্ট হতে পারে মোক্ষম একটি সফটওয়্যার।
৭। সেরিফ ফটো প্লাস
ফটো এডিটিং সফট ফটো প্লাস সেরিফ কোম্পানীর যেটি কিছুদিন আগেও কিনে ব্যবহার করা লাগত কিন্তু বর্তমান ভার্সন তারা সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে বিনামুল্যে ব্যবহারের জন্য। যদি এটি লিমিটেড ভার্সন তবুও এর এক্সপোর্ট অপ্টিমাইজার, টেক্সট এডিটর, লেয়ার ইফেক্ট , স্পেশাল ইফেক্ট, রেড আই রিমুভার সহ অনেক টুলসই অনেক কার্যকরী ফটো এডিট এর জন্য।
৮। পিকাসা
পিকাসা অ্যাপস ফ্রি ইমেজ এডিটর হিসেবে পরিচিত যা ব্যবহার করে আপনি আপনার ছবি অনেক সুন্দরভাবে এডিট করতে পারবেন। আপনি যদি একজন নতুন ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে এটি আপনার জন্য দারুন অভিজ্ঞতা হতে পারে।
৯। পিক্সিয়া
পিক্সিয়া অনেক জনপ্রিয় একটি জাপানী সফটওয়্যার যেটি সাহায্যে ছবি আঁকা এবং ছবি রিটাচিং করা যায়। এর অনবদ্য কিছু ফিচারের মধ্যে ব্রাশ, মাল্টিপল লেয়ার, মাস্কিং, লাইট এডজাষ্টমেন্ট অন্যতম। এগুলো ছাড়া আরো বেশ কিছু টুলস আছে যেগুলো দিয়ে দারুন সব কাজ করা যায়।
১০। ভিকম্যান’স ফটো এডিটর
পুরুষ্কারপ্রাপ্ত এই ফ্রি ভিকম্যান’স ফটো এডিটর সফটওয়ারটি দিতে পেইন্টিং এবং চমৎকার ফটো এডিট করা যায়। টেক্সট এডিটিং , স্পেশাল ইফেক্ট, কালার রিপ্লেসমেন্ট সহ দারুন কিছু কাজ করা যায় এই সফটওয়্যারটি দিয়ে।
পিকচার এডিট করার সফটওয়্যার সম্পর্কে জেনে নেওয়ার পাশাপাশি মাতৃত্বকালীন ভাতা কিভাবে পাওয়া যায় তা আমাদের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।
মোবাইলে ছবি এডিট করার সফটওয়্যার
১। Picsart
এই অ্যাপটি ফ্রিতে ব্যবহার করা যায়। তবে বেশিরভাগ জনপ্রিয় টুল ফ্রি ভার্সনে পাবেন না। এসব প্রিমিয়াম টুল ব্যবহার করতে এর সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে।
মোবাইল দিয়ে ফটো এডিট করার কমপ্লিট সল্যুশন খুঁজলে আপনাকে এই অ্যাপটি ব্যবহারের পরামর্শ দিবো। এটাতে আপনি অন্যান্য অনেক অ্যাপের কাজ করতে পারবেন।
Picsart অ্যাপটির মাধ্যমে আপনারা নিজেদের Avatar তৈরি করতে পারবেন, ছবি এডিট এর পাশাপাশি এই অ্যাপটি দিয়ে ভিডিও এডিট করতে পারবেন। এই অ্যাপটি ব্যবহার করা যেমন সহজ এর সাথে সাথে অ্যাপ টি তে রয়েছে অসাধারণ সব ইডিটিং ফিচার। এই অ্যাপটি আপনারা প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন।
PicsArt অ্যাপের আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হলো:
- AI Background Removal
- AI Objective Removal
- Color Correction
- Beautify Tools
- Cutout Tools
- Magic Tools
- Photo Collage Maker
- Cartoon Maker
২। Snapseed
স্ন্যাপসিড গুগলেরই তৈরি একটা অ্যাপ তাহলে একটু ভাবলেই ব্যাপারটা আশ্চর্যজনক লাগবে। এই অ্যাপ হাই কুয়ালিটির।
নিচের ফিচারগুলো পড়ার আগে বলে রাখি এই অ্যাপে ২৯ টি টুল আর ফিল্টার রয়েছে। মূল ফিচারগুলো নিম্নে দিচ্ছিঃ
- Geometry Adjustment
- Photo Retouching
- Healing
- Details Adjustment
- Brush Tools
- Tune Image
- Lens Blur
গুগল কোম্পানি দ্বারা নির্মিত একটি অসাধারণ ফটো এডিট অ্যাপ্লিকেশন হচ্ছে Snapseed। গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপটির রেটিং 4.3 এবং অ্যাপটি টোটাল ডাউনলোড হয়েছে 100M+, আপনার তোলা ছবিটিকে এডিট করে পারফেক্ট করে তোলার সকল এডিটিং অপশন এই অ্যাপটিতে পেয়ে যাবেন। যেহেতু Snapseed অ্যাপ্লিকেশনটি গুগল দ্বারা নির্মিত তাহলে বুঝতেই পারছেন অ্যাপটি কতটা ভালো হতে পারে।
আপনার ছবিটিকে অসাধারণ করে তোলার জন্য সব রকম টুলস এবং ফিচারস এটিতে রয়েছে। এই অ্যাপটি আপনারা গুগল প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন।
৩। Photoshop Express Photo Editor
উক্ত মোবাইল এপস অনেক জনপ্রিয় ছবি এডিটিং সফটওয়্যার। যার মোবাইল ভার্সনে অনেক ফিচার আছে। আর ফটোশপ ব্যবহারকারী’রা বেশি ভাগ সময় উক্ত সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পছন্দ করে। স্মার্ট মোবাইলে ফটোশপ এর বিপরীতে এই সফটওয়্যার ছবি এডিটিং কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়।
এই অ্যাপের সাহায্যে আপনি খুব সহজেই সাধারণ ছবি থেকে প্রফেশনাল ধরনের ছবি তৈরি করতে পারবেন। এতে অনেক ধরনের এডিটিং টুলস রয়েছে যা দিয়ে আপনি ছবির রং ঠিক করতে এবং ছবিকে আরও আকর্ষণীয় করতে পারবেন।
৪। BeautyCam-AI Photo Editor
বিউটি ক্যামেরাঃ অল-ইন-অয়ান ক্যামেরা, নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এই অ্যাপের ক্যামেরায় সবকিছুই আছে। তবে এটি শুধু ক্যামেরায়ই প্রভাব ফেলে না, আপনি যদি ছবি এডিট করতে চান, তা-ও এই অ্যাপের মাধ্যমে করা যায়। বিউটি ক্যামেরার বৈশিষ্ট্য কেবল এক দুইটি নয়, বরং অনেক।
এই অ্যাপের উল্লেখযোগ্য ফিচারগুলো হলোঃ
- একটি আকর্ষণীয় প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো আপনি এই অ্যাপের মেকআপ থিম আর স্টাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই স্টার লুক পেতে পারেন।
- আবার আরেকটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য মুখের আকার-আকৃতি, মসৃণ করা, দাগ মুছে ফেলা– এক কথায় রিটাচ আর স্কিন টিউন পরিবর্তন করতে পারেন।
- এছাড়াও ফিল্টার, স্টিকার, সুন্দর হওয়ার টুল আর মেকআপ দিয়ে ছবির সৌন্দর্য দ্বিগুণ বৃদ্ধি করতে পারেন।
- সব বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য বন্ধুর মতো অ্যাপটি। এত ফিচার থাকা সত্ত্বেও ফ্রী ফ্রী তে সেবা দিয়ে আচ্ছে অ্যাপটি। সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্মে আধুনিকতার সাথে টিকে থাকতে অ্যাপটি আপনি নিজের পছন্দের বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন।
নিচে এই অ্যাপ ডাউনলোডের লিংক দিয়ে দেওয়া হলো আপনাদের সুধার্থে। যদিও গুগল প্লেস্টরে পাওয়া যায়, তবুও আপনাদের যাতে চিনতে সমস্যা না হয় এবং তাড়াতাড়ি ডাউনলোড করতে পারেন এ জন্য এই লিংক দেওয়া হয়েছে।
৫। Polish
মোবাইলে ছবি এডিট করার জন্য দারুণ কাজের একটা টুল এটি। এটি দিয়ে সহজেই সাদা-মাটা একটা ছবিকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা যায়।
বর্তমানে গুগল প্লে স্টোরে ছবি এডিট করার জন্য যত অ্যাপ পাওয়া যায় তার মধ্যে সর্বাধিক ইনস্টলকৃত অ্যাপ এটি।
আপনি চাইলে ফোন দিয়ে raw ফরম্যাটে ছবি তুলে সেটিকেই এই সফটওয়্যার দিয়ে এডিট করতে পারবেন। তবে এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন না।
এর কিছু প্রিমিয়াম ফিচার ব্যবহার করতে আপনাকে নির্দিষ্ট টাকা খরচ করতে সাবক্রিপশন কিনতে হবে। তাহলে এটির সম্পূর্ণ অ্যাকসেস পেয়ে যাবেন।
Photo Editor অ্যাপের কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য:
- Cartoon Maker
- Premium Effects
- Body Shape Adjustment
- Cutout
- Drawing
- Object Removal
- Beautify Tool
৬। Inshot
ফটো এডিটিং এর জনপ্রিয় সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে নতুন একটি মাইল ফলক অর্জন করেছে এই সফটওয়্যারটি। এবং ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্রেও এই সফটওয়্যারটি বেশজনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আপনি google ফন্ট এড করতে পারবেন
এবং বাংলা বিভিন্ন স্টাইলিশ লেখার ফন্টগুলোকে যুক্ত করে আপনার পোস্টার ও ছবি যেই লেখাগুলো প্রয়োজন সেগুলোকে আরো উন্নত করতে পারবেন এবং বরাবরের মতো উপরোক্ত সফটওয়্যার গুলোর মতই এই সফটওয়্যারে বিভিন্ন ADJUST TOOLS গুলো পেয়ে থাকবেন।
Inshot ব্যবহারকারীরা সহজেই বিভিন্ন প্রফেশনাল লুক দেওয়ার জন্য এতে থাকা বিভিন্ন ফিচার এবং টুলস ব্যবহার করতে পারেন। এটি শুধু ফটো নয় ভিডিও এডিটিং এর জন্যও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
৭। Instasize
Instasize শুধু ছবি রিসাইজ করার কাজই করে না বরং এর সঙ্গে আরও অনেক ফিচার রয়েছে। এতে আপনি ফিল্টার ব্যবহার করে ছবি আরও সুন্দর করে তুলতে পারবেন। টেক্সট যুক্ত করার সুবিধা, বিউটিফিকেশন টুলস এবং কোলাজ তৈরির অপশনও রয়েছে।
Instasize-এর অন্যতম বড় সুবিধা হলো এটি শুধু ছবি নয় ভিডিও এডিট করতেও আপনাকে সহায়তা করে। তাই আপনি যদি ভিডিওতে ফিল্টার বা টেক্সট যোগ করতে চান অথবা সাধারণ কোনো এডজাস্টমেন্ট করতে চান সেটিও করতে পারবেন।
৮। AirBrush
AirBrush একটি চমৎকার অ্যাপ এতে আপনি সহজেই ছবি এডিট করে আপনি পেয়ে যাবেন প্রফেশনাল মানের ছবি এডিট ক্রতে পারবেন। এছাড়াও এখানে বিভিন্ন ফিল্টার রয়েছে যা ব্যবহার করে আপনি একদম অনন্য এবং সুন্দর ছবি তৈরি করতে পারবেন। যদি আপনি ইন্সটাগ্রামে ছবি পোস্ট করার জন্য প্রস্তুত ছবি তুলতে চান তবে এই অ্যাপটি আপনার জন্য সেরা।
এই অ্যাপে কিছু বিশেষ ফিচারও আছে যার মধ্যে প্রিজম এবং রিলাইট অন্যতম। রিলাইট ফিচারের মাধ্যমে আপনি ছবির আলোর সেটিংস পরিবর্তন করতে পারবেন যা আপনার ছবিকে আরও নিখুঁত করে তুলবে।
৯। Photo Director
আপনি ছবি এডিট করার মোবাইল সফটওয়্যারের যে সুবিধা গুলো পাবেনঃ
- এআই টেকনোলজি।
- ফটো এবং বিউটি রিটাচ টুল।
- ইনবিল্ট স্টক লাইব্রেরি।
- এআই স্কাই রিপ্লেসমেন্ট এবং লাইট রে টুলস।
- কুইক এপ্লাই ফিল্টার এবঙ এফেক্ট।
- লাইট এন্ড কালার এডজাস্টমেন্ট টুলস।
- এনিমেশন টুল এবং এনিমেটেড ওভারলে।
১০। Canva
কেনভা মূলত একটি গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার। কিন্তু আপনি জানলে আবাক হবেন যে, কেনভা দিয়ে ছবি এডিট করা যায়। অন্যান্য অ্যাপ থেকে কেনভা একটু বেশি গুরুত্ব পাবে কারণ এখানে শুধু ডিজাইন না বরং দিজাইনের সাথে একটি ছবিকে আকর্ষণীয় করতে সকল টুলস পেয়ে যাবেন। তবে কেনভাতে কিছু সিমাবদ্ধ রয়েছে যেমন আপনি চাইলেই কেনভার সকল ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন না এর জন্য কেনভা প্রিমিয়াম নিতে হবে।
উক্ত মোবাইল অ্যাপসটি হলো ফ্রি ছবি এবং ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যারটি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর জন্য হলেও। এখানে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, ভিডিও, ফটো কোলাজ এর মতো বিভিন্ন ধরণের এডিটিং করতে পারবেন।
এই মোবাইল অ্যাপস আপনার ছবি এডিটি করার জন্য অনেক টেমপ্লেট এর অপশন পেয়ে যাবেন। ছবি এডিটিং ফিচার গুলো অনেক সহজেই ছবি ক্রপ, ফ্লিপ এবং এডজাস্ট করে থাকে।
উক্ত গ্রাফিক্স ডিজাইনের টুকিটাকি কাজ করার জন্য এই সফটওয়্যার সাধারণের জন্য তৈরি করা হয়োছে। তাই আপনি এখানে প্রফেশনাল ছবি এডিটিং করার মতো ফিচার পাবেন না।
১১। YouCam Perfect
আপনার হাতে থাকা যে, কোন এন্ড্রোয়েড মোবাইল দিয়ে ছবি এডিটর সফটওয়্যার ব্যবহার করে, কাজ করতে পারবেন। উক্ত সফটওয়্যার এর সাহায্যে, বিভিন্ন ধরণের ইফেক্ট, এনিমেশন আরো অনেক এডভান্স এডিটিং করার সুযোগ পাবেন।
উক্ত ছবি এডিট করার মোবাইল সফটওয়্যার এর সুবিধা সমূহ যেমন-
- সাধারণ ছবিকে এনিমেটেড ছবিতে রুপান্তরিত করতে পারবেন।
- সেল্ফি বিউটিফাই করার জনপ্রিয় ফিচার আছে।
- অনেক রেডিও টু ইউস এডিটিং কনটেন্ট পাবেন।
- ওয়ান ট্যাপ এআই অবজেক্ট রিমুভাল।
- ইন্টিউটিভ মাল্টি লেয়ার ফটো এডিটিং।
- জনপ্রিয় এডিটিং এর জন্য কাট আউট টুল পাবেন।
মোবাইলে ছবি এডিট করার সফটওয়্যার সম্পর্কে জেনে নেওয়ার পাশাপাশি গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা গুলো তা আমাদের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।
ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps download
ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড apps সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান। উপরের অংশে ছবি এডিট করার সফটওয়্যার ডাউনলোড সেরা ১২ টি সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন। আমাদের সাথে মাঝে মাঝেই এমন হয় যে ব্যাকগ্রাউন্ডে এমন কোনো জিনিসের ছবি উঠে গেছে যা উদ্ভট, ছবির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় অথবা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়।
আবার আপনি যেই বস্তুকে আপনার ছবিতে রাখতে চাচ্ছেন সেই বস্তুর ছবিই উঠেনি, আবার এরকমও হতে পারে যে ব্যকগ্রাউন্ড সুন্দর হয়নি আথবা ছবি বাঁকা হয়েছে। এরকম সমস্যা সমাধান করার জন্য আছে ফটো এডিটর ফানকি।
ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ সম্পর্কে আর্টিকেলের এই পর্যায়ে আপনাদের জানাবো। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করার অ্যাপ সম্পর্কে আমরা সবচেয়ে বেশি সার্চ দিয়ে থাকি। এরই প্রেক্ষিতে যে কোন ছবির যেকোনো ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করার জন্য বর্তমানে যে ১০ টি অ্যাপস সবচেয়ে জনপ্রিয়, সেই এপ্স এর নাম গুলো দেখে নিন:
- Photo Editor Lumi
- Remove Background
- Photo Collage maker & Editor
- After Focus
- Pixlr
- Photo Editor Polish
- Picsart- AI Photo Video Editor
- Apowersoft Background Eraser
- Retouch- Remove Objects
- Photo Mixer- Photo Blender
ছবি এডিট করার ভালো সফটওয়্যার
ইন্টারনেটে ফ্রিতে ছবি এডিট করার অনেক সফটওয়্যার রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করে সহজেই ছবি এডিট করতে পারেন। তাছাড়া ফ্রী এডিটিং সফটওয়্যার গুলোর ইন্টারফেস অনেকটা সহজ হয়ে থাকে। যার ফলে অনেকেই এই ধরনের ফ্রি সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে।
মোবাইল এবং কম্পিউটার উভয় ডিভাইসের জন্য ফ্রি ফটো এডিটিং সফটওয়্যার রয়েছে। তাই আপনারা উভয় ডিপোসেই ছবি এডিট করার সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করতে পারবেন। নিম্নে ছবি এডিট করার ফ্রি সফটওয়্যার গুলোর তালিকা তুলে ধরা হলোঃ
- GIMP (GNU Image Manipulation Program)
- Canva
- PhotoScape X
- Pixlr
- Fotor
ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড ডাউনলোড
ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড ডাউনলোড করতে চাইলে সরাসরি গুগল সার্চ করুন। হাজার হাজার ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ফ্রিতে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ড পিকচার পেয়ে যাবেন। যেই পিকচার গুলো ব্যবহার করে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করতে পারেন।
ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড ডাউনলোড করার জন্য আনপ্লাস সাইটে ভিজিট করে দেখতে পারেন, এখানে অসংখ্য ব্যাকগ্রাউন্ড পিকচার রয়েছে যেগুলো ফ্রিতে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়।
ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড লাইট
অনেকে আপনারা ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড এডিট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের লাইটিং ব্যাকগ্রাউন্ড খুলে থাকেন। তবে কোথাও সঠিক ভাবে খুঁজে পান না। তাদের জন্য আমার এই অংশে ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড লাইটিং পিকচার তুলে ধরব।
ইন্টারনেটে সার্চ করলেই হাজার হাজার লাইটিং ব্যাকগ্রাউন্ড এর পিকচার পেয়ে যাবেন। যেগুলো ফ্রিতে ডাউনলোড করে আপনার পছন্দের ছবিটি ব্যাকগ্রাউন্ডে যুক্ত করতে পারবেন। ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড লাইটিং পিকচার ফ্রিতে ডাউনলোড করার জন্য pexels সাইটে ভিজিট করুন।
লেখকের শেষ মতামত
ছবি এডিট করার সফটওয়্যার সম্পর্কে আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়াও কিভাবে ফটো এডিট করার সফটওয়্যার ডাউনলোড করবেন তা দেখিয়ে দিয়েছি। এখন আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কাছে কোন সফটওয়্যারটি ভাল মনে হয়েছে আমাদের তা জানাতে পারেন।
তাহলে বন্ধুরা আপনি কি ছবি এডিট করার সফটওয়্যার সম্পর্কে ভালোভাবে জেনেছেন। যদি জেনে থাকেন তাহলে আপনার পছন্দের সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করুন এবং খুব সহজেই ছবি এডিট করে আকর্ষণীয় ফটো তৈরি করুন।