Health

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো – ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম

আমরা আজকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো তা জেনে নিব। আমাদের শরীরের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে ই ক্যাপ এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।ই ক্যাপকে সাধারণত ভিটামিন ই ক্যাপসুল বলা হয়ে থাকে। এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল আপনারা ভিটামিনের জন্য ব্যবহার করতে পারেন আবার শরীরে যে কোন অংশে উপকারের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এই ই ক্যাপ আমাদের চুলের যত্নে সাহায্য করে থাকে।

ই ক্যাপ কেন খায়

ই ক্যাপ মূলত ভিটামিন ই ক্যাপসুল যা আমাদের শরীরের ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ করার জন্য আমরা খেতে পারি। এছাড়াও এটি শরীরের দুর্বলতা দূর করার জন্য আপনারা খেতে পারেন। বিশেষ করে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এটি অধিক কার্যকরী। গবেষণায় দেখা গেছে ই ক্যাপ খেলে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি সহ যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।

তাই আপনারা যাদের যৌন সমস্যা রয়েছে অথবা সেক্সে সমস্যা রয়েছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অথবা সেক্সে ই ক্যাপ খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম জেনে খাবেন। আপনারা সবাই জানেন সেক্সে রসুনের উপকারিতা কি তবে আপনারা রসুনের পাশাপাশি সেক্স বৃদ্ধিতে ই ক্যাপ খেতে পারেন। এতে অবশ্যই পেশাদার এক্সপার্ট এর কাছে পরামর্শ নিবেন।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়

ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে থাকে। আমাদের দেহের বিভিন্ন ধরনের বিশেষ বিশেষ কার্যাবলী সম্পাদন করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ভূমিকা ব্যাপক।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় তা নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ

  • চেহারা থেকে বয়সের ছাপ দূর করে
  • ত্বকের ভেতর থেকে গ্লো এবং মসৃণ করে
  • ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে
  • চুলের গোড়া মজবুত করে
  • চুল আরো সিল্কি হয়
  • চুলের আগা বা গোড়া ফাটা রোধ করে

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো

আমাদের বাংলাদেশে যতগুলো ভিটামিন এ ক্যাপসুল পাওয়া যায় মোটামুটি সবই ভালো। তবে আমরা সকলেই চাই যে ভালো এবং অরজিনালি ক্যাপসুল খাব। 

কেননা কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা আছে যারা বিভিন্ন ধরনের নকল ওষুধ তৈরি করে থাকেন বিধায় আমাদের অরজিনাল ই ক্যাপ চিনে তারপর কিনে সেবন করতে হবে। তবে  সাধারণত বাংলাদেশ জনপ্রিয় কয়েকটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল হল  ই-ক্যাপ ৪০০, ই-ভিট,ই ক্যাপ ২০০ IU এবং ই-জেল ইত্যাদি।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা

গবেষণায় দেখা গেছে ই ক্যাপ ক্যাপসুল এরা অনেক উপকারিতা রয়েছে যা আপনি ব্যবহার করলে বুঝতে পারবেন। আর এই সম্পর্কে আমরা এখন আলোচনা করব। প্রত্যেক ঔষধ অথবা উপাদানেরই উপকারিতা ও অপকারিতা দুটো দিক রয়েছে। আমরা এই দুটো দিক গুলো নিয়ে আলোচনা করব। চলুন আমরা এবার জেনে নিই ই ক্যাপ এর বিভিন্ন উপকারিতা গুলোঃ

১। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে

ই ক্যাপে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মূলত ত্বককে সতেজ রাখতে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়া মুখের ব্রণের দাগ দূর করতে এটি ব্যবহার করতে পারেন। আমরা অনেক সময় ঘরের বাইরের রোদে কাজ করতে যাই ফলে আমাদের মুখের ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলি।

এই উজ্জলতা ফিরিয়ে আনতে আপনারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে লাগিয়ে অথবা ফেসবুক বানিয়ে মুখের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে পারেন। এছাড়া প্রতিদিন অথবা সপ্তাহে তিন থেকে পাঁচ দিন আপনারা রাতে ই ক্যাপ এ থাকা জেল এর ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখের ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখতে পারেন। দেখবেন আপনার মুখে ব্রণ ধীরে ধীরে দূর হয়ে যাচ্ছে।

২। চুলের যত্নে ই ক্যাপ

চুলের যত্নে ই ক্যাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চুল পড়া বন্ধ করতে আপনার ই ক্যাপ অর্থাৎ ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে চুলের গোড়া মজবুত করতে ও চুল সিল্কি রাখতে ই ক্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। আপনার এটি নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহারের তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন নারিকেল তেল অথবা যে কোন চুলে ব্যবহারকৃত তেলের সাথে ই কাপের জেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিবেন।

এভাবে এক মাস অথবা দুই মাস ব্যবহার করুন। ধীরে ধীরে দেখবেন আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং আপনার চুল সুন্দর হচ্ছে অর্থাৎ আপনার চুল মজবুত হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া আপনারা বাহ্যিক ব্যবহারে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন।

৩। ক্রিম হিসেবে ই ক্যাপ

আপনারা যারা রাত্রে নাইট ক্রিম ব্যবহার করেন তাদের জন্য ই ক্যাপ মিশিয়ে নাইট ক্রিম ব্যবহার করা সবচেয়ে উপকারী। কারণে এই ই ক্যাপ ত্বক মশ্চারাইজিং করতে সহায়তা করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে। আপনি যদি নিয়মিত নাইট ক্রিমের সাথে এটি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার শুষ্ক ত্বক মশ্চারাইজিং হবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে।

৪। ক্ষত সারাতে ই ক্যাপ

ই ক্যাপ ত্বকের কোন স্থানে ক্ষত হয়ে গেলে তা নিরাময় করতে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন একটি করে ই ক্যাপসুল খেতে পারেন। ফলে আপনার ক্ষতস্থান দ্রুত সেরে উঠবে এবং আপনি ক্ষত থেকে নিরাময় পাবেন।

৫। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে

আমরা সকলে জানি ভিটামিন ই ক্যাপ আমাদের শরীরের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখে। আমাদের শরীরে যখন ভিটামিনের অভাব দেখা যায় তখন শরীরে বিভিন্ন ধরনের অসুখ দেখা দেয়। যা হওয়ার অন্যতম কারণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

৬। নখের ভঙ্গুরতা রুখতে ই ক্যাপ

আপনারা যারা প্রতিদিন বাইরে অথবা ঘরে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে গিয়ে নখের ভঙ্গুরতা দেখা দেয় তাদের জন্য ই ক্যাপসুল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি আপনারা আপনার ভঙ্গুর নখের উপর তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন। তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন। প্রতিদিন এই ভিটামিন ই ক্যাপ তেল ভেঙে যাওয়া নখে মালিশ করলে ভালো ফলাফল পাবেন।

৭। দীর্ঘস্থায়ী ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ই ক্যাপ

আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা প্রতিনিয়ত ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ভোগেন তারা যদি একজন নিবন্ধিত ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী ই ক্যাপ সেবন করে তাহলে বেশ ভালো উপকার পাবে। এই সমস্যাটি বেশিরভাগ বয়স্কদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। 

৮। রোদের ক্রিম হিসেবে ই ক্যাপ

ই ক্যাপে থাকা মশ্চারাইজিং ক্ষমতা থাক্র ফলে খুব সহজেই রোদে পোড়া কালো দাগ থেকে দূরে থাকা যায়। আপনি এটি আপনার ব্যবহৃত যে কোন ক্রিমের সাথে মিশিয়ে রোদে কাজ করতে পারেন। যা আপনার মুখ ও ত্বককে রোদের পোড়া থেকে রক্ষা করবে।

৯। ভিটামিন ই এর অভাব

যাদের শরীরে ভিটামিন ই এর অভাব হয়েছে তারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন। অবশ্যই ভিটামিন ই খাবারের পাশাপাশি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা। কারণ এটি একটি ওষুধ জাতীয় ক্যাপসুল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা জেনে নেওয়া পাশাপাশি পেভিসন ক্রিম এর উপকারিতা আমাদের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।

ই ক্যাপ এর অপকারিতা

আমারে হয়তো এতক্ষণে ই ক্যাপের উপকারিতায় জেনে এসেছি। তবে এটি অতিরিক্ত খাওয়া হলে কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে অপকারিতা অথবা সাইড ইফেক্ট এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। চলুন আমরা জেনে নেই।

  • ই ক্যাপ বেশি সেবনে এলার্জি হতে পারে।
  • ই ক্যাপ পরিমানে বেশি সেবন করলে অনেকের আমাশয় হতে পারে।
  • অতিমাত্রায় সেবনে মাথা ব্যথা হতে পারে।
  • এটি অধিক সেবনে অনেকের বমি বমি ভাব হতে পারে। 
  • গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে ই ক্যাপ সেবন না করাই উত্তম। 
  • এছাড়াও অধিক সেবন করলে ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে।

ই ক্যাপের তেমন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অথবা অপকারিতা নেই বলতে গেলে। যদি না আপনারা অধিক পরিমাণে খান। অধিক পরিমাণে গ্রহন করলে কি সমস্যা হবে তা আপনারা দেখতে পেলেন। তবে অপকারের চেয়ে উপকারিতায় বেশি।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম

আপনার অনেকেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তবে এটি খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে যাতে আপনারা ভালো উপকার পাবেন। চলুন সেই নিয়মগুলো জেনে নেই।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম

গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া একদম উচিত নয়। অবশ্য ১৮ বছরের বেশি গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে এটি খাওয়া যেতে পারে বিশেষ করে গর্ভঅবস্থায় শেষের দিকে প্রতিদিন ১০০০ m.g করে খেতে পারেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

  • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ই ক্যাপসুল প্রতিদিন সকালে খাবারের পরে এবং রাতে খাবারের পরে গ্রহণ করা যায়।
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাবার খাওয়ার পরে অন্তত আধা ঘন্টা অপেক্ষা করে গ্রহণ করবেন।
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল সেবনে আপনি যদি সঠিক উপকার পেতে চান তাহলে খাবার গ্রহণের অন্তত আধা ঘন্টা খাবেন।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম জেনে নেওয়া পাশাপাশি সাফি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম আমাদের সাইটের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।

ই ক্যাপ কখন খেতে হয়

ই ক্যাপ সেবনের নির্দিষ্ট তেমন সময় নেই। আপনি সাধারন নিয়ম অনুযায়ী সেবন করতে পারবেন এতে কোন সমস্য হবে না। আবার এটি কোন কারণ ছাড়াই সেবন করা যাবে না। আপনি চাইলে এটি আপনার দেহের বাহ্যিক স্বাস্থ্যের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। 

যেমন চুলের স্বাস্থ্যের ও মুখের ব্রণ দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া যখন দেখবেন আপনার শরীরে ভিটামিন ই এর অভাব দেখা দিছে তখন আপনারা ভিটামিন ই ক্যাপ খেতে পারেন। এছাড়া এর কোন আলাদা সময় নেই।

ই ক্যাপসুল খেলে কি মোটা হয়

আমাদের শরীরের জন্য এই ক্যাপসুল ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ করে থাকে। আমরা অনেকেই জানার আগ্রহ হয় যে এটি খেলে কি ওজন বাড়ে অথবা মোটা হয় কিনা। না, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে মোটা হয় না বরং শরীরে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি হয়। এবং শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে।

পাশাপাশি শরীরের চাহিদা পূরণ করে শরীর সুস্থ রাখে। যেহেতু শরীর ভালো রাখে তাহলে হলেও একটু শরীর মোটা হয়ে যেতে পারে। তবে এর কোন সঠিক তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আমাদের মতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে আপনারা সরাসরি মোটা হতে পারবেন না। কারণ এটি কোন মোটা হওয়ার ওষুধ নয়।

মুখে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম

নাইট ক্রিমঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল আপনি যদি নাইট ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করতে চান, তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর মধ্যে এলোভেরা জেল মিশিয়ে একটি ক্রিম তৈরি করে ফেলুন এরপরে রাতে ঘুমানোর আগে মুখে ভালো ভাবে মেখে নিন। তারপরে সকা্লে ঘুম থেকে উঠে ভালো ভাবে মুখ পরস্কার করে ধুয়ে ফেলুন।

তাহলে অনেক ভালো কাজ করবে। তবে আপনি চাইলে ভালো ব্র্যান্ডের কোম্পানির ক্রিমের সাথে এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে একটি ক্রিম তৈরি করে আপনি সেটি ব্যবহার করতে পারেন।

লিপ বামঃ আপনি এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল লিপজেল বা ভ্যাসলিনের সাথে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল আপনার ঠোঁটের ব্যবহারের ফলে আপনার ঠোঁট মসৃণ এবং কমল ও গোলাপি ঠোঁট হয়ে উঠতে সহায়তা করবে।

ডার্ক সার্কেল দূর করতেঃ আপনার চোখে নিচে যদি কোন রকমের কালো দাগ থেকে থাকে তাহলে সেটি দূর করতে ভালো কাজে আসে এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার জন্য আপনাকে আমন্ড অয়েলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে আপনার চেহারার ত্বকে ব্যবহার করে দেখুন অত্যন্ত ভালো ফল পাবেন।

স্কিন সীরামঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল আপনি স্কিন সিরাম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ভেতরে যে তেল রয়েছে সেটি সরাসরি আপনার মুখের মধ্যে হালকা ভাবে মেসেজ করুন যেন সেটি ড্রাই এবং নরমাল স্কিনের জন্য আদ্রতা ধরে রাখতে খুব ভালো কাজে দিবে। আপনার চেহারার ত্বকের ওপর এই তেল ব্যবহার করার পরে কিছুক্ষণ আপনার ভিটামিন ই ক্যাপসুল চেপে চেপে বসিয়ে নিন।

চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম

চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম হচ্ছে প্রথমে একটি পাত্রেঅর্ধেক কাপ দই ও দুই চামচ মধু নিয়ে নিবেন। এরপরে ৪ টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে তেল বের করে নিয়ে সেই মিশ্রণের সাথে ভালো ভাবে মিশিয়ে চুলে লাগাবেন। আধঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিবেন।

আপনি যদি সপ্তাহে ২ দিন নিয়ম মোতাবেক ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার চুল থেকে খুশকির সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এছাড়া এই ক্যপসুল ফ্রি রেডিক্যাল ধ্বংস করে এবং চুলের আদ্রতা ধরে রাখে। ফলে আপনার চুল থাকে ঝলমলেও সুন্দর। এছাড়াও স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ও ভিটামিন ই এর জুরি মেলা ভার।

চুল গজানোর ক্ষেত্রে আপনার বাড়িতে  চাল ধোয়া জলের সাথে ব্যবহার করুন চালের জল চুল মজবুত করার বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত চুলের বৃদ্ধির ট্রিটমেন্ট তৈরি করতে এই ক্যাপসুল চালের পানিতে মিশিয়ে নিতে হবে তারপরে সেই মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বকে লাগিয়ে অন্তত ২০ মিনিটের মত রেখে দিন। তারপরে আপনার চুল ভালো করে পরিস্কার করে ধুয়ে নিবেন।

ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা

ই ক্যাপ ৪০০ এর তেমন বিশেষ উপকারিতা নেই। তবে কিছু উপকারিতা রয়েছে যা আমার এখন বিস্তারিত আলোচনা করব।

  • চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ই ক্যাপ 400 ব্যবহার করা যায়। 
  • চুল পড়া রোধ করতে ব্যবহার করতে পারেন।
  • শরীরে এনার্জির পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • শরীরের রক্তচাপ ও হাটের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
  • ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহ্যাত করে
  • ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে থাকে
  • ই ক্যাপ 400 সেবন করলে চোখ সুস্থ থাকে।
  • নার্ভের সমস্যার রোগীদের ক্ষেত্রে ই ক্যাপ 400 এর উপকারি ভূমিকা অধিক।

ই ক্যাপ এর দাম কত

আপনারা অনেকেই ই ক্যাপ এর দাম কত এ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমরা এখন তা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। বর্তমানে প্রতি পিস ই ক্যাপ ২০০UI ট্যাবলেট এর দাম ৫ টাকা। আর আরেকটি পাওয়া যায় যার প্রতি পিস ই ক্যাপ এর দাম সাধারণত ১০ টাকা করে। এছাড়া ৪০০UI ই ক্যাপ এর দাম ৭ টাকা করে। 

লেখকের শেষ মতামত

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়মসম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এই ক্যাপসুল এ এ উপকারিতায় বেশি। তবে একটা কথা মনে রাখা উচিত বেশি খেলে কিন্তু বেশি উপকার পাওয়া যায় না। সঠিক পরিমাণ খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। হ্যাঁ আর অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন। 

Atif Abdullah

Atif Abdullah is a passionate writer and expert in technology, Information and News. With years of experience in Information, he enjoys sharing insightful and well-researched content that helps readers stay informed. Atif has a keen interest in digital trends and his writing reflects his deep understanding and analytical approach.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button