Health

susten 30 এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া – সাসটেন ৩০ এর দাম কত

susten 30 এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া – আমরা অনেকেই হয়তো এই susten 30 ট্যাবলেট আমরা সেবন করে থাকি। কিন্তু এই ওষুধ সেবনে আমাদের দেহে কি কি ক্ষতি হতে পারে বা আমাদের দেহে কি কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে সেই সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষেরই অজানা। তাই আমরা আজকের এই আর্টিকেলে এই ট্যাবলেট সম্পর্কে বিস্তারিত যাবতীয় তথ্য আলোচনা করব। 

আপনি যদি susten 30 এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং সাসটেন ৩০ এর দাম কত তা জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে এসে থাকেন তাহলে আজকের এই ব্লগটি আপনার জন্য উপকার হতে চলেছে। তাহলে চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে susten 30 কিসের ওষুধ তা প্রথমে জেনে নেই।

susten 30 কিসের ওষুধ

সাসটেন ট্যাবলেট হচ্ছে মূলত স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি এর একটি ওষুধ। যার মূল কাজ হল স্নায়ুতন্ত্রের সেরোটনিক মাত্রা বাড়ানো। সাসটেন ট্যাবলেট এ ডেপক্সিটিন হাইড্রোক্লোরাইড নামক মূল উপাদান বিদ্যমান রয়েছে যা পুরুষদের বীর্যপাত হতে সময় লাগে এবং বীর্যপাতের উপর নিয়ন্ত্রণ হয়। 

সাসটেন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ (১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়স) যাদের নিম্নোক্ত সমস্যাগুলো আছেঃ

  • ন্যূনতম উত্তেজনায় রোগীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনিয়ন্ত্রিত বীর্যপাত ঘটলে।
  • শারীরিক কার্যকলাপের আগেই কিংবা মিলনের সাথে সাথে বীর্যপাত হলে।
  • দ্রুত বীর্যপাতের কারণে সৃষ্ট হতাশা।

সাসটেন ৩০ এর কাজ কি

মূলত এটি এমন একটি ঔষধ যাদের প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে অকাল বীর্যপাত চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। তাই সকল পুরুষদের জন্য এই ওষুধটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনারা যারা এই ওষুধটি নিয়মিত খেতে যাচ্ছেন তারা অত্যন্ত সতর্ক হয়ে ওষুধটি খাবেন। 

সাসটেন ৩০ এর কাজ কি

তার কারণ হচ্ছে এই ওষুধের যথেষ্ট পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেটা পরবর্তীতে আপনার বৈবাহিক জীবনের সমস্যায় ফেলতে পারে তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত এই ঔষধ কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না। সাধারনত এই মেডিসিনোটি একটি সিলেক্টিভ সেরোটনিকর্যুপ টেকইনহিবিটর যার কাজ হল স্নায়ুতন্ত্রের সেরোটনিক মাত্রা বাড়ায় এতে করে পুরুষের দেহের বীর্যপাত হতে সময় লাগে । 

📌আরো পড়ুন 👇

বিশেষ করে যে সকল পুরুষদের বীর্যপাত নিয়ন্ত্রণ করা যায় না এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে বীর্যপাত হয়ে যায় তাদের প্রাথমিক অবস্থাতে চিকিৎসার জন্য এই ঔষধ সেবন করতে হবে। তবে অবশ্যই এই ওষুধ সেবনের নির্ধারিত সময় রয়েছে এবং সেই সময় মেনে আপনাকে ওষুধ সেবন করতে হবে।

মূলত শারীরিক দুর্বলতা এবং বিভিন্ন ধরনের মানসিক চিন্তার কারণে অনেক সময় দেখা যায় যে বীর্যপাত অনেক আগেই হয়ে যায় যার ফলে জীবন সঙ্গিনীর কাছে সে নিজেকে অনেক ছোট মনে করে। এইভাবে চলতেই থাকে যার কারণে সে শারীরিক দিক দিয়ে তো আগে থেকেই হেরে যায় এবং নতুন ভাবে শুরু হয় তার মানসিক দিক দিয়ে হেরে যাওয়া এবং আসতে আসতে সে মানসিক দিক দিয়ে হেরে গেলে তার বীর্যপাতের সময় আরো কমে আসবে।

কিন্তু শারীরিক কার্যকলাপের বা যৌন ও কার্যকলাপের ১-৩ ঘণ্টা আগে আপনি যদি এই ওষুধটি সেবন করেন তাহলে অবশ্যই এটা আপনার বীর্যপাতকে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং আপনার শরীরে অনেক আনন্দদায়ক অনুভূতি নিয়ে আসবে।

এই ওষুধ সেবন সম্পর্কে সতর্কতা হলো দিনে একটি ঔষধের বেশি আপনি সেবন করতে পারবেন না অর্থাৎ ২৪ ঘন্টার বেশি আপনি এই ওষুধ সেবন করলে আপনার এই ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ক্ষতি করবে আপনার শরীরে।

সাসটেন ৩০ খাওয়ার নিয়ম

ওষুধ খাওয়ার নিয়মের ক্ষেত্রে আমি বারংবার বলতে চাই যে সঠিক নিয়ম জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এই ওষুধ প্রাথমিক ডোজ হিসেবে শারীরিক কার্যকলাপের বা যৌন ও কার্যকলাপের ১-৩ ঘণ্টা আগে আপনি যদি এই ওষুধটি সেবন করেন তাহলে অবশ্যই এটা আপনার বীর্যপাতকে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং শরীরে আনন্দদায়ক অনুভূতি নিয়ে আসবে।

সমস্ত রোগীদের জন্য ডেপক্সিটিন হাইড্রোক্লোরাইড ট্যাবলেটের প্রস্তাবিত প্রাথমিক ডোজ ৩০ মিলিগ্রাম , যৌ*ন ক্রি*য়াকলাপের প্রায় ১ থেকে ৩ ঘন্টা আগে প্রয়োজন হিসাবে নেওয়া হয় । সর্বাধিক প্রস্তাবিত ডোজিং ফ্রিকোয়েন্সি প্রতি ২৪ ঘন্টার মধ্যে একবার । 

আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য নিচে আলাদা ভাবে উল্লেখ করে দেয়া হলঃ

  • শারীরিক কার্যকলাপের ১-৩ ঘন্টা পূর্বে ৩০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট সেবন করতে হবে।
  • সর্বোচ্চ নির্দেশিত মাত্রা হচ্ছে ৬০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট।
  • সর্বোচ্চ দিনে ১ বার সেবনযোগ্য।

সকল পুরুষদের জন্য এই ওষুধটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনারা যারা এই ওষুধটি নিয়মিত খেতে যাচ্ছেন তারা অত্যন্ত সতর্ক হয়ে ওষুধটি খাবেন। তার কারণ হচ্ছে এই ওষুধের যথেষ্ট পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেটা পরবর্তীতে আপনার বৈবাহিক জীবনের সমস্যায় ফেলতে পারে তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত এই ঔষধ কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না। তাহলে আমরা এবার এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া জানবো।

Susten 30 এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

এই ওষুধটি যদি চিকিৎসাতে ব্যবহার না করে যারা রেগুলার ইউজে ব্যবহার করেন তাদেরকে বলব এই ঔষধ রেগুলার ব্যবহারের জন্য নয় শুধুমাত্র চিকিৎসার জন্য আপনি নিয়মমাফিক এবং নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এই ওষুধ ব্যবহার করতে পারবেন। 

তা না হলে আপনি যখন দ্রুত বীর্যপাত বন্ধ করতে নিয়মিত এই ওষুধ ব্যবহার করবেন তখন আপনি এই ওষুধের উপর অভ্যস্ত হয়ে যাবেন যেটা পরবর্তীতে আপনি ঔষধ বাদ দিলে আপনার শরীর কোনভাবেই শারীরিক সম্পর্ক করতে পারবে না। তাই এই বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে লক্ষ্য করে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন।

Susten 30 সেবনে আমাদের দেহে যেসকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তা নিম্নে তুলে ধরা হলঃ

  • উদ্বিগ্নতা 
  • খিটখিটে মেজাজ
  • অস্থিরতা
  • অনিদ্রা
  • অস্বাভাবিক স্বপ্ন
  • সে*ক্স ড্রাইভ কমিয়ে দেয়
  • ন*পুংসকতা
  • ক্লান্ত বা ঘুমন্ত বোধ হয়
  • ঝাপসা দৃষ্টি
  • আমাশয
  • বমি
  • কোষ্ঠকাঠিন্য
  • মাংসপেশিতে ব্যথা ও অস্বস্তি 
  • বদহজম ও শুষ্ক মুখ 
  • অতিরিক্ত ঘাম 
  • উচ্চ রক্তচাপ 
  • মাথাঘোরা 
  • মাথাব্যথা কিংবা ঝিমুনি হতে পারে ইত্যাদি।

উপরের উল্লেখিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর প্রভাবগুলো ব্যতিত আপনি যদি আপয়ান্র শরীরে আরও জটিল ক্ষতিকর প্রভাব লক্ষ্য করেন তাহলে এই ওষুধ সেবন করা একেবারে বন্ধ করে নিকটস্থ ডাক্তারকে এ বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব অবগত করুন। কেননা এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর প্রভাব গুলো বিভিন্ন জটিল রোগের উপসর্গ হিসেবে আপনার দেহে দেখা দিতে পারে।

তাই আপনাকে এই ওষুধ সেবনের আগে এর ক্ষতিকর প্রভাবের কথা চিন্তা মাথায় রাখতে হবে। এতে করে আপনারই মঙ্গলজনক হবে। তবে আপনি যদি একজন অভিজ্ঞ ভাল ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে সঠিক নিয়ম মোতাবেক ওষুধ গ্রহণ করেন তাহলে কোন রকমের ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দিবে না। বরং আপনার সমস্যা থেকে দ্রুত রেহায় পাবেন। আশা করছি এ বীষয়ে যথারীতি সচেতনতা অবলম্বন করবেন

কখন এড়িয়ে চলবেন:

  • লিভার বা হার্টের রোগ থাকলে
  • প্রোজেস্টেরন-সংবেদনশীল ক্যান্সার (ব্রেস্ট/জরায়ু) থাকলে
  • রক্তজমাট বা থ্রম্বোসিসের ইতিহাস থাকলে

সাসটেন ৩০ এর দাম কত

susten 30 ট্যাবলেট এর মূল্য যেকোন সময় পরিবর্তিত বা কমবেশি হয়ে থাকে এজন্য এইগুলো মেডিসিনের দাম সঠিকতা যাচাই করে করে ক্রয় করা উচিত। বর্তমান বাজারে susten 30 মিগ্রা প্রতি পিচ ট্যাবলেট মাত্র ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। 

📌আরো পড়ুন 👇

আপনি যেকোন ফার্মেসির দোকান হতে অতি সহজে কিনতে পারবেন কেননা এটি সাধারনত স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি এর ওষুধ। তাই এখন প্রতিটি অঞ্চলে এই কোম্পানির ঔষধ পাওয়া যায়। তবে যেকোন ঔষধ কেনার আগে আপনাকে অবশ্যই ঔষধের মেয়াদ রয়েছে কিনা তা ভালোমতো যাচাই করা।

কারণ বর্তমানে অনেক অসাধু ব্যবসায়ীরা ফার্মেসিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করে থাকে। তাই আমাদের এ বিষয়ে নজরদারি রাখাটা জরুরি। সবশেষে বলব যে, ওষুধ নিয়ে কোনোরকম হেয়ালি করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। আশা করছি পুরো বিষয়টি বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।

লেখকের শেষ মতামত

পরিশেষে- এই ওষুধ সাধারনত প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অকাল বীর্যপাত চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। তাই সকল পুরুষদের জন্য এই ওষুধটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই ওষুধটি যেসব পুরুষেরা নিয়মিত সেবন করার চিন্তা করছেন তারা সতর্ক হয়ে ওষুধটি খাবেন। 

তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন আপনি যে কোন ধরনের মেডিসিন সেবন করবেন সেই মেডিসিন এর ভালো মন্দ বুঝে তারপরে অবশ্যই একজন নিবন্ধিত ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। এরপরে এই মেডিসিন সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন তাহলে আশা করা যায় এর সঠিক কার্যকারিতা উপভোগ করা সম্ভব হবে।

Atif Abdullah

Atif Abdullah is a passionate writer and expert in technology, Information and News. With years of experience in Information, he enjoys sharing insightful and well-researched content that helps readers stay informed. Atif has a keen interest in digital trends and his writing reflects his deep understanding and analytical approach.
Back to top button