স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা ভেঙ্গে যায় – স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ

স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা ভেঙ্গে যায় – আমাদের অনেকের মনে এই প্রশ্নটি থাকে যে স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা ভেঙ্গে যায়? এই বিষয়ে হাদিস কি বলে আজকে আমরা সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আপনারা যারা জানতে চান যে রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা হবে নাকি তারা এই পোস্টটি সম্পন্ন করতে থাকুন কারণ আজকের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য উপকার হতে চলেছে।
স্বপ্নদোষ এই শব্দটির সাথে প্রতিটা ছেলেই পরিচিত। এটি মূলত প্রতিটা ছেলেরই হয়ে থাকে এবং এটি আসলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে হয় অর্থাৎ মোটকথা বলতে গেলে একটি ছেলের চাওয়া পাওয়ার সাথে এটির কোন সম্পর্ক নেই। আর এটি ঘুমের মাঝে হয় যার কারণে এটির নাম দেওয়া হয়েছে সপ্নদোষ। বিশেষ করে ছেলেদের উঠতি বয়সে অর্থাৎ বয়সন্ধিকালে ছেলেদের স্বপ্নদোষ বেশি হয় এবং এটি সম্পূর্ণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হয়।
যেহেতু রমজানে রোজা রাখা আমাদের প্রত্যেকের উপর ফরজ করা হয়েছে আর রমজান মাসে আমাদের প্রত্যেকের উচিত রোজা রাখা সেক্ষেত্রে আমাদেরকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে যে সেহরি খাওয়ার পর স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা হবে নাকি।
স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা ভেঙ্গে যায়
স্বপ্নদোষ হওয়ার পরে কেউ যদি মনে করে যে আমার রোজা ভেঙ্গে গেছে আর তথন যদি আপনি কিছু খেয়ে নেন তাহলে কিন্তু আপনাকে কাফফারা করতে হবে অর্থাৎ আপনাকে এই একটা রোজার জন্য আরও ৬০ টি রোজা করতে হবে।
রোজা রেখে আমাদের অনেকেরই স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে। আবার অনেকের দুপুরবেলা ঘুমালে স্বপ্নদোষ হয় তাহলে সেক্ষেত্রে এইটা ভাবলে চলবে না যে আমার রোজা ভেঙ্গে গেছে। দুপুরবেলা ঘুমের মধ্যে স্বপ্নদোষ হলে সেটার কারণে রোজা নষ্ট হয় না তবে স্বপ্নদোষ হলে গোসল করা ফরজ হয়ে যায়।
হযরত মুহাম্মদ( সাঃ) এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসুল! আল্লাহ তায়ালা ছিলেন সত্যের বিষয়ে নিঃসঙ্কোচ। তিনি জিজ্ঞেস করেছেন যে যদি কারও স্বপ্নদোষ হয় তাহলে কি তার ওপর গোসল ফরজ হবে?
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বলেছিলেন, “হ্যাঁ” তবে সে যদি পানি বা ভেজা দেখতে পান। (সহিহ বুখারী ১/৪২)এটা থেকে আপনারা বুঝতেই পারছেন যে এই হাদিসে বোঝা যায়, যে মেয়েদের ও ছেলেদের মত স্বপ্নদোষ হয় আর স্বপ্নদোষ হলে উভয়েরই ছেলে ও মেয়ে গোসল করা ফরজ হয়ে যাবে।
স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা ভেঙ্গে যায় এই বিষয়ে জেনে নেওয়ার পাশাপাশি আপনারা চাইলে দ্রুত সুস্থ হওয়ার দোয়া জেনে নিতে পারেন আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে।
রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে গোসলের নিয়ম
প্রিয় পাঠক ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে স্বপ্নদোষ হলে আমাদের রোজা ভেঙ্গে যায় না তবে এই অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। এবার আমরা আলোচনা করব রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে গোসলের নিয়ম কি। কারণ অনেক সময় দেখা যায় আমাদের ঘুমের মধ্যে স্বপ্নদোষ হয় এ ক্ষেত্রে গোসলের নিয়ম কি?
১। প্রথমে কুলি করতে হবে
রোজা থাকাকালীন আপনার যদি স্বপ্নদোষ হয়ে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে প্রথমে গড়গড়া করে কুলি করতে হবে। তবে হ্যাঁ গড়গড়া করার সময় যেন আপনার গলার মধ্যে পানি প্রবেশ না করে সেদিকে সচেতন থেকে গড়গড়া করতে হবে। তবে আপনি চাইলে রোজা থাকা অবস্থায় গড়গড় কুলি থেকে বিরত থাকতে পারেন। আপনি ওযুর সময় যেভাবে কুলি করেন সেভাবে তিনবার কুলি করবেন।
২। নাকে পানি দিতে হবে
কুলি করার পরে মূলত আপনাকে ভালোভাবে করা পানি দিতে হবে। নাকে আপনাকে অন্তত তিনবার পানি দিতে হবে তবে নাকে পানি দেওয়ার সময় খেয়াল করবেন যাতে নাকের ভেতরের নরম অংশ পর্যন্ত পানি পৌঁছায়। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে পানি প্রবেশ করান সে ক্ষেত্রে পানিটি আপনার গলা পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারে। এই জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে পানি ব্যবহার করা যাবে না। নাকে হালকাভাবে তিনবার পানি দিবেন।
৩। শরীরে পানি দিতে হবে
নাকে ভালভাবে পানি দেওয়ার পরে আপনার শরীরে পানি দিতে হবে। প্রথমে ডান কাঁধে ৩ বার পানি দিবেন তারপর বাম কাঁধে ৩ বার পানি দিতে হবে। লক্ষ্য রাখবেন শরীরের প্রতিটি অংশ যেন সম্পূর্ণরূপে ভিজে যায় কোন অংশ যেন বাদ না পরে।
আমাদের অনেক সময় রোজা থাকা অবস্থাতে স্বপ্নদোষ হয় এক্ষেত্রে আমরা বুঝতে পারি না কি করব এবং আমরা চিন্তায় থাকি যে আমাদের রোজা ভেঙে গেল নাকি। তবে ওপর এর আলোচনার মাধ্যমে আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে স্বপ্ন দেশের সাথে রোজা ভাঙ্গার কোন সম্পর্ক নেই।
স্বপ্নদোষ এটি সম্পূর্ণ একটি স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া অর্থাৎ এটি আমাদের ইচ্ছার বাইরে হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় যখন আমরা এমন কিছু কল্পনা করতে থাকি কিংবা বারবার ভেবে থাকি তখন স্বপ্নদোষ ঘটে। এই জন্য রোজা থাকা অবস্থায় কখনো এমন কিছু কল্পনা করা যাবে না কিংবা ভাবা যাবে না এতে আপনার রোজা ভেঙে যেতে পারে।
পাঠক আশা করছি ওপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে গোসলের নিয়ম কি। আপনার যদি ঘুমের মাঝে কখনো স্বপ্নদোষ হয় সে ক্ষেত্রে উপরের এই নিয়মের মাধ্যমে গোসল সম্পন্ন করতে হবে এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে ।
আর বেশি বেশি দোয়া পড়তে হবে রমজান মাসটি আমাদের প্রত্যেকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পেশাল। এই মাসটির উসিলাতে আমরা আমাদের পিছের সমস্ত গুনাহকে মুছে ফেলতে পারব। তাই আমাদের উচিত এই মাসটিতে বেশি বেশি দোয়া পাঠ করা এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ
আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ নাকি। স্বপ্নদোষ এটি সম্পূর্ণ একটি স্বয়ংক্রীয় প্রক্রিয়া। অর্থাৎ এটি আমাদের হাতে থাকে না। যেকোনো সময় যে কোন মুহূর্তে আমাদের ঘুমের মাঝে হতে পারে। তবে অনেক সময় দেখা যায় রোজা থাকা অবস্থাতে ঘুমের মাঝে স্বপ্নদোষ হয়।
এক্ষেত্রে কি রোজা হবে? এই বিষয়ে হাদীস কি বলে? জানতে এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়তে থাকুন আমরা আজকের এই পোষ্টের স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ নাকি সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আবার কিছু কিছু মানুষ মনে করেন যে রোজা থাকাকালীন সময়ে স্বপ্নদোষ হলে নাকি রোজা ভেঙে যাবে কিন্তু আসলে এই ধারণাটি একেবারেই ভুল।
যেহেতু স্বপ্নদোষ এটি আমাদের ইচ্ছার বাইরে হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনার যদি ঘুমের মাঝে রোযা থাকা অবস্থাতে স্বপ্নদোষ হয় সেক্ষেত্রে রোজা ভাঙবে না। তবে এই সময় অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন এবং বেশি বেশি দোয়া পাঠ করবেন। আর হ্যাঁ আপনি যদি রোজা থাকা অবস্থায় স্বপ্নদোষের মত কোন চিত্র অথবা ছবি কল্পনা করেন কিংবা ভাবেন তাহলে এই অবস্থাতে আপনার রোজা ভেঙে যাবে।
তাই রোজা রেখে স্বপ্ন দোষের মত কোন চিত্র কিংবা ছবি কল্পনা করা যাবে না। তবে নিজের ইচ্ছার বাইরে ঘুমের মাঝে স্বপ্নদোষ হয়ে গেলে তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার রোজা ভাঙবে না এইটা আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন। কারণ রোজা ভাঙার সাথে স্বপ্নদোষের কোন সম্পর্ক নেই।
তবে আপনি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কোন কিছু কল্পনা করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার রোজা ভেঙে যাবে। তবে হ্যাঁ ঘুমের মাঝে স্বপ্নদোষ হলে অবশ্যই আপনাকে স্বপ্ন দেশের পর গোসল করতে হবে।
প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ নাকি। রোজা ভাঙার সাথে স্বপ্ন দোষের কোন কারণ নেই এমনকি সেহেরির পর রোজা থাকা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলেও রোজা ভাঙবে না এই বিষয়ে আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।
রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি
আপনি যদি নিজের এই কারণগুলোকে এড়িয়ে চলতে পারেন তাহলে আপনার রোজা সম্পূর্ণরূপে সঠিক হবে। তাহলে চলুন ঝটপট জেনে নেই রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি।
১। মিথ্যা কথা এবং গীবত করা
বেঁচে থাকা অবস্থায় আপনি যদি মিথ্যা কথা বলেন এবং কারণ আমি গীবত করেন তাহলে সেখানে আপনার রোজাটি ভেঙ্গে যাবে এই জন্য রোজা থাকা অবস্থাতে কখনই মিথ্যা কথা বলবেন না এবং কারো নামে কখনো গীবত করবেন না এই দুটো জিনিস খুবই খারাপ আল্লাহ তায়ালা গীবত কারিকে কখনো পছন্দ করেন না সাথেই মিথ্যাবাদীদের অপছন্দ করেন। আর শুধু রোজা বাঁচানোর জন্যই নয় বরং সবসময় চেষ্টা করবেন মিথ্যা কথা এবং জীবন থেকে এড়িয়ে চলার।
কিন্তু বর্তমান সময়ে দেখা যায় আমরা বিভিন্ন কারণে অকারণে এবং প্রয়োজনে একে অপরকে মিথ্যা কথা বলে থাকি এবং আর একজনের অনুপস্থিতিতে তার নামে গীবত করি। ইসলামের শরীরে বিধি-বিধানের দেওয়া রয়েছে যে ব্যাক্তি রোজা তো অবস্থাতে মিথ্যা কথা বলবে এবং কারো নামে গীবত করবে তার রোজা সেখানেই ভঙ্গ হবে সাথেই তার পাপ হবে আর যেহেতু এটি রমজান মাস এক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন রমজান মাসে এই দুটি জিনিস এগিয়ে চলার। রমজান মাস অর্থাৎ রহমতের মাস।
নিশ্চয়ই এই মাসটি অন্যান্য সমস্ত মাসে তুলনায় অনেক বেশি বরকতপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ তাই আমাদেরকে রমজান মাসে বেশি বেশি আমল করতে হবে রোজা রাখতে হবে নামাজ কায়েম করতে হবে কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া চাইতে হবে।
২। ধূমপান করা
রোজা রেখে ধূমপান করলে অথবা মদ্যপানে লিপ্ত হলে আপনার রোজাটি নষ্ট হবে। এজন্য রোজা রেখে আপনাকে সবসময় ধূমপান থেকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। আমরা প্রত্যেকেই ধূমপানের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানি ধূমপান আমাদের স্বাস্থ্য জনক কতটা ক্ষতিকর ধূমপান করার ফলে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে আমরা এত কিছু জানার পরেও আজ ধূমপানে আকৃষ্ট। আমরা নিজেদের ভবিষ্যৎকে নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত করছি।
৩। শারীরিক মিলন
রোজা রেখে শারীরিক মিলন করলে রোজা ভেঙ্গে যায়। তাই রোজা থাকাকালীন শারীরিক মিলন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। হাদিসের সম্পূর্ণ পষ্ট ভাবে বলা রয়েছে রোজা থাকা অবস্থাতে যদি কেউ শারীরিক মিলন অথবা যৌন মিলনের লিপ্ত হয় এক্ষেত্রে তার রোজাটি ভেঙ্গে যাবে।
৪। নাকে অথবা কানে ড্রপ ব্যবহার
নাক এবং কানের নালীর সাথে একেবারে গলার নালীর সম্পর্ক রয়েছে যার ফলে নাকে অথবা কানের ড্রপ ব্যবহার করলে গলা পর্যন্ত প্রবেশ করবে। তাই হাদিসে স্পষ্ট দেওয়া রয়েছে যে, রোজা থাকা অবস্থাতে নাকে অথবা কানের ড্রপ ব্যবহার করা যাবে না এতে রোজা ভেঙে যাবে কারণ রোজা থাকা অবস্থাতে নাকে অথবা কানের ড্রপ কিংবা তরল পদার্থ ব্যবহার করলে তা আপনার গলা পর্যন্ত প্রবেশ করবে।
আপনি যদি সম্পূর্ণরূপে সুন্দর ভাবে রোজা সম্পন্ন করতে চান সে ক্ষেত্রে উপরের এই কারণগুলোকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। প্রিয় পাঠক ইসলাম খুবই সহজ তবে ইসলামের নিয়ম নীতিগুলো একটু মেনে চললে একদিকে যেমন আপনার ইহকাল সুন্দর হবে আরেকদিকে পরকালেও সুন্দর হবে।
রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি এই বিষয়ে জেনে নেওয়ার পাশাপাশি আপনারা চাইলে ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম ১০০ বার পড়লে কি হয় জেনে নিতে পারেন আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে।
স্বপ্নদোষ কি মেয়েদের হয়
আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে ফিলিংস অথবা অনুভূতি কাজ করে এক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকেরই সপ্নদোষ হয়। তবে ছেলেদের ক্ষেত্রে একটু বেশি আর মেয়েদের ক্ষেত্রে একটু কম। আমরা প্রত্যেকেই স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন দোষ অনেক সময় অনেক কিছু ঘটে থাকে। তবে ছেলেদের স্বপ্নদোষের ফলে যেমন বীর্য নির্গত হয় কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে এমন কোন কিছু লক্ষণীয় নয়।
যার কারণে একে স্বপ্নদোষ বলা যায় না। কিন্তু অনেক সময় অনেক মেয়েরা স্বপ্নতে এমন প্রকার চিত্র কিংবা ছবি দেখে থাকে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন স্বপ্নদোষ কি মেয়েদের হয় নাকি। এই তো আমাদের প্রত্যেকেরই অনুভূতি আছে। সেহেতু বয়সন্ধি কালের পর আমরা প্রত্যেকেই এমন কিছু চিত্র অথবা ছবি স্বপ্নতে দেখে থাকি। তবে যেমন ছেলেদের স্বপ্নদোষ এর ফলে বীর্য নির্গত হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে এমন কোন কিছু হয় না। যার কারণে একে স্বপ্নদোষ বলা যায় না।
রমজানে সহবাস করা যাবে কিনা
রমজান মাস সিয়াম সাধনার মাস তবে এই মাসেও কিন্তু অনেকেই জানতে চাই। রমজানে সহবাস করা যাবে কিনা সিয়ামের রাতে তোমাদের স্ত্রী তোমাদের জন্য গমন হালাল করেছেন। তোমরা তাদের জন্য পরিচ্ছেদ এবং তারাও তোমাদের জন্য পরিচ্ছেদ। আল্লাহতায়ালা জেনেছেন তোমরা নিজেদের নিকট খেয়াল করেছিলে অতঃপর তোমাদের তাওবা তিনি কবুল করেছেন এবং তোমাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন।
সুতরাং তোমরা এখন তাদের সাথে মিলিত হওয়া এবং আল্লাহ যা লিখে দিয়েছেন তোমাদের জন্য তার খোঁজ করো। (বাকারা ১৮৭)আল্লাহ তাআলা বলেছেন রমজানে ইফতারের পর থেকে সেহেরির আগ মুহূর্ত পর্যন্ত স্ত্রীর সাথে সহবাস করা হালাল রেখেছেন। তবে রমজান মাসে সহবাসের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
লেখকের শেষ কথা
যেহেতু আমারা মুসলিম তাই আমাদের প্রত্যেককে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে যে রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে রোজা হবে নাকি এবং এই অবস্থাতে আমাদের কি করা উচিত। যেহেতু মাঝে মাঝেই স্বপ্ন দোষ হয় এবং সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া এটিতে কারণ হাত নেই তবে রোজা থাকা অবস্থায় যদি স্বপ্নদোষ হয় সে ক্ষেত্রে আমাদের রোজা হবে নাকি?
স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভেঙ্গে যাবে না বরং এই সময় আপনার উচিত আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং বেশি বেশি দোয়া পাঠ করা। তবে হ্যাঁ আপনি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কোন চিত্র কিংবা ছবি কল্পনা করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার রোজা ভেঙে যাবে তাই থাকা অবস্থাতে স্বপ্ন দোষ এর মতো কোনো চিত্র অথবা ছবি কখনো ভাবা যাবে না।
এছাড়াও আমরা আজকের এই পোষ্টের রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমাদের দৈনিক জীবন যাপনের ছোটখাটো কিছু ভুলের কারণে অনেক সময় আমাদের রোজা ভেঙ্গে যায়।
তাই রোজা ভঙ্গের কারণগুলো আসলে কি কি সেগুলো আমাদের জেনে রাখতে হবে। আপনি যদি রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি সেই বিষয়ে জানতে চান তাহলে ওপরে দেখুন আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি প্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি আপনার উত্তর পেয়ে গেছেন।