Notice

গণতন্ত্র কাকে বলে – গণতন্ত্র কত প্রকার ও কী কী

গণতন্ত্র কাকে বলে – গণতন্ত্র বলতে ব্যক্তি স্বাধীনতা কে বোঝানো হয়। স্বাধীনভাবে চলতে পারবে এবং যেকোনো কাজ করতে পারবে। গণতন্ত্র বলতে নিজের ইচ্ছে মত যাকে খুশি তাকে ভোট দেওয়ার অধিকার। গণতন্ত্র হলো জনগণের দ্বারা পরিচালিত জনগণের শাসন ব্যবস্থা।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের গুরুত্ব অনেক বেশি। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল লক্ষ্য ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, তার মূল ভিত্তি হলো গণতন্ত্র। বাংলাদেশের সংবিধানে গণতন্ত্রের কথা বলা হয়েছে এবং জনগণের অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

গণতন্ত্র কাকে বলে

গণতন্ত্র শব্দটির ইংরেজি হলো Democracy। Democracy শব্দটি গ্ৰিক শব্দ Demos এবং kratia দুটি শব্দ মিলে তৈরি। Demos এবং kratia শব্দ দুটির অর্থ হলো যথাক্রমে জনগণ এবং শাসন। বিশ্বে সর্বপ্রথম গণতন্ত্র সৃষ্টি হয়েছিল গ্রীসের একটি ছোট শহর থেকে। যার নাম ছিল এথেন্স।

📌আরো পড়ুন 👇

গণতন্ত্র হলো কোনো জাতি-রাষ্ট্রের বা কোনো সংগঠনের এমন একটি শাসন ব্যবস্থা বা পরিচালন‌ ব্যাবস্থা যেখানে নীতি নির্ধারণ বা সরকারি প্রতিনিধি নির্বাচনের সময় প্রত্যেকটি নাগরিকের সমান ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে। এবং সকল নাগরিকের অংশগ্রহণের সমান সুযোগ রয়েছে।

গণতন্ত্র শব্দটি শুনলেই আমরা মনে করি কোনো রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে এটি শুধু রাষ্ট্রের জন্যই নয় বরং যেকোনো সংস্থা বা সংগঠনের ক্ষেত্রেও হতে পারে। সমাজব্যবস্থা যেখানে বিরাজমান নেই, সেখানে শাসনপ্রথা গণতন্ত্র নামে পরিচিতি হলেও তা সম্পূর্ণরূপে গণতান্ত্রিক নয়। তবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে গণতন্ত্র বলতে আমরা এক প্রকার শাসন ব্যবস্থাকে বুঝি।

এর প্রতিধ্বনি আমরা শুনতে পাই আধুনিককালের শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ লর্ড ব্রাইসের সংজ্ঞায়। গণতন্ত্র সম্পর্কে লর্ড ব্রাইস বলেন, “যে শাসন প্রথায় জনসমষ্টির অন্তত তিন-চতুর্থাংশ নাগরিকের অধিকাংশের মতে শাসনকার্য পরিচালিত হয়, তাই গণতন্ত্র।

গণতন্ত্রে সকল নাগরিকের সমান অধিকার থাকে, এবং সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়। এটি একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে সংখ্যালঘুদের অধিকারও সুরক্ষিত থাকে।

লর্ড ব্রাইস এ প্রসঙ্গে বলেন, ঐ শাসনব্যবস্থাই গণতান্ত্রিক, যা (ক) জনসাধারণের ইচ্ছা, (খ) তাদের মঙ্গলামঙ্গল ও (গ) হিতকর্মের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে এবং (ঘ) যেখানে সাম্য ও স্বাধীনতা প্রাধান্য পায়।

বিয়াট্রীস ওয়েব (Beatrice Webb) ও সিডনি ওয়েব (Sidney Webb) আর এক ধাপ অগ্রসর হয়ে বলেছেন, “কোন নির্দিষ্ট এলাকায় সকল প্রাপ্তবয়স্ক অধিবাসীদের সংঘ যখন রাজনৈতিক আত্মশাসনের ক্ষমতা ও অধিকার ভোগ করে তখন তাকে রাজনৈতিক গণতন্ত্র বলা হয়।”

কিন্তু, গণতন্ত্র সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের সংজ্ঞাই সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয়, যদিও তা অধিকতর অস্পষ্ট। তাঁর মতে, “গণতন্ত্র হল, জনসাধারণের দ্বারা, জনসাধারণের কল্যাণের জন্যে পরিচালিত ও জনপ্রতিনিধিত্বমূলক শাসনব্যবস্থা” (“Government of the people, by the people and for the people”) । প্রেসিডেন্ট লিংকন আর ও বলেন, “জনসাধারণের সম্মতি ছাড়া তাদেরকে শাসন করবার অধিকার কারো নেই”। (“No man has a right to govern without other man’s constant”) ।

শাসনব্যবস্থা হিসেবে গণতন্ত্র বলতে এটাই বুঝায় যে রাষ্ট্রের সকল শ্রেণীর মানুষ সমভাবে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে, আইন পরিষদে সকল শ্রেণীর মতামত প্রতিফলিত হয় এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয় নিয়মিত নির্বাচন প্রতিযোগিতায়, রাজনৈতিক কার্যাবলীতে সকলের অংশগ্রহণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যক্তি স্বাধীনতার ভিত্তিতে গড়ে উঠা শাসনব্যবস্থাই রাজনৈতিক গণতন্ত্র বলা যায়।

অন্যদিকে সমাজব্যবস্থা হিসেবে গণতন্ত্র বলতে আমরা সেরূপ সামাজিক পরিবেশকে বুঝি যেখানে তীব্র অসাম্য অনুপস্থিত এবং সমতার ভিত্তিতে সকলে জনকল্যাণকর কার্যাবলীতে অংশগ্রহণ করে এবং সকলে সমাজের অপরিহার্য অংশ হিসেবে সুখ-সুবিধার অংশীদার হয়।

আবার অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে গণতন্ত্র সকলকে সমান সুযোগ দান করে, কাজ করবার অধিকার হতে কেউ বঞ্চিত নয় এবং সর্বোপরি সকলের সর্বনিম্ন প্রয়োজনীয় বস্তুর অভাব বোধ না হয়। অনেকের মতে, এই তিন ব্যবস্থা সু-সমন্বিত হলেই কেবল অকৃত্রিম ও অনাবিল গণতন্ত্র সম্ভব।

গণতন্ত্রের উপাদান

গণতন্ত্রের সুফল ও কুফল সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে জানতে পারবেন। গণতন্ত্রের উপাদান হলো স্বাধীনভাবে জনগণের চলাফেরার অধিকার। এবং যেকোন মত প্রকাশের অধিকার। আমাদের এই স্বাধীন দেশে গণতন্ত্রের স্বাধীনতার অধিকার অপরিসীম। গণতন্ত্রের উপাদান নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন
  • আইনের শাসন
  • মানবাধিকারের সুরক্ষা
  • সংবাদপত্রের স্বাধীনতা
  • নাগরিক সমাজের সক্রিয়তা
  • সহনশীলতা ও সমঝোতার মানসিকতা
  • সরকারের কাজের সমালোচনা করা
  • বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করা
  • অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া
  • গণতন্ত্রে নাগরিকের ভূমিকা

তো আশা করছি এই অংশ থেকে গণতন্ত্রের উপাদান কি কি তা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন গণতন্ত্র কত প্রকার ও কী কী সেই সম্পর্কে জেনে নেই।

গণতন্ত্র কত প্রকার ও কী কী?

গণতন্ত্র প্রধানত দুই প্রকার:

(ক) প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র (Direct Democracy)

আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার বা শাসনব্যবস্থা গঠন করা হয় তা হচ্ছে প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা। অর্থাৎ প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র বলতে বোঝায় এমন এক সরকারকে যেখানে দেশের সকল নাগরিক সরাসরি নির্বাচনে শাসনকার্যে অংশগ্রহণ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করে।

বর্তমানে রাষ্ট্রের পরিধি ও জনসংখ্যার আকৃতি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বেশ জটিল ও কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই বর্তমানকালে প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পৃথিবীর খুব একটা বেশি দেশে দেখা যায় না। তবে সুইজারল্যান্ডের কয়েকটি প্রদেশে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র প্রচলিত রয়েছে।

(খ) পরোক্ষ গণতন্ত্র

যে গণতন্ত্রে পরোক্ষভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ সরকার নির্বাচন করে তাকে পরোক্ষ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বলা হয়। অর্থাৎ পরোক্ষ গণতন্ত্র বলতে বোঝায় সেই ধরনের শাসনব্যবস্থা যেখানে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিগণ শাসনকার্য পরিচালনা করে। প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালনা করা হয় বিধায় এর অপর নাম প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র।

এ জাতীয় শাসনব্যবস্থায় জনগণ সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন না করে নিজ নিজ এলাকায় প্রতিনিধি নির্বাচন করে পরোক্ষভাবে রাষ্ট্রীয় কাজে অংশগ্রহণ করে থাকে। এ জন্যেই একে পরোক্ষ গণতন্ত্র বলা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রভৃতি রাষ্ট্রে এ ধরনের শাসনব্যবস্থা প্রচলিত আছে।

অন্যান্য প্রকারভেদ:

  • সামাজিক গণতন্ত্র (Social Democracy): অর্থনৈতিক সাম্য ও কল্যাণ রাষ্ট্রের ধারণা (যেমন: সুইডেন, নরওয়ে)।
  • উদারনৈতিক গণতন্ত্র (Liberal Democracy): ব্যক্তিস্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করে (যেমন: যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা)।
  • সংশ্লিষ্ট গণতন্ত্র (Participatory Democracy): নাগরিকদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।

গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য

গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এ পর্বে আমরা জানবো। গণতন্ত্র বলতে কী বোঝায় তা আগেই জেনেছি। গনতন্ত্র হলো এমন একটি শাসন ব্যবস্থা যা সকল সদস্যের সমান ভোটাধিকার থাকে।

গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য

গনতন্ত্রের জনক হলো এরিস্টটল। যিনি গ্ৰিক বিজ্ঞানী ও দার্শনিক। যিনি প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চালু করছেন। আর, আধুনিক গণতন্ত্রের জনক হচ্ছে জন লক। চলুন জেনে নিই গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলো। গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য:

প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার

গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলির মধ্যে অন্যতম একটি হলো প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার। এটি বর্তমান গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বিশেষ করে আয়তনে বড় এবং ব্যপক জনসংখ্যা রয়েছে এমন দেশ গুলোতে প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার বা পরোক্ষ গনতন্ত্রের সৃষ্টি হয়েছে।

জনমতের প্রাধান্য

গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সর্বদাই জনমতের প্রাধান্য দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে জনমতকে উপেক্ষা করা যায় না।

দায়িত্বশীল শাসন ব্যবস্থা

সরকার তার বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জনগণের কাছে দায়ী থাকবে।

বহুদলীয় ব্যবস্থা

গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক দল থাকে। জনগণের সর্বাধিক সমর্থন পাওয়া দলটি জয়লাভ করে।

আইনের শাসন

গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই আইনের চোখে সমান।

নির্বাচন ব্যবস্থা

এ ধরনের সমাজ ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি বাছাই করতে পারেন। এজন্য নির্বাচনকে গণতন্ত্রের বাহন বলা হয়।

স্বাধীন প্রচার মাধ্যম

স্বাধীন প্রচার মাধ্যমে স্বাধীনতা সুষ্ঠু জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি আশাকরি তা জানতে পেরেছেন। এইসকল বৈশিষ্ট্য গুলো গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় লক্ষ্য করা যায়। এ ধরনের শাসন ব্যবস্থায় জনগণ হলো রাস্ট্রের সকল ক্ষমতার উৎস।

গণতন্ত্রের সুফল ও কুফল

(ক) সুফল (Advantages):

  • জনগণের অংশগ্রহণ: নাগরিকরা শাসনব্যবস্থায় সরাসরি ভূমিকা রাখে।
  • স্বাধীনতা ও অধিকার সুরক্ষা: মৌলিক অধিকার সংরক্ষিত হয়।
  • জবাবদিহিতা: সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।
  • সামাজিক স্থিতিশীলতা: শান্তিপূর্ণভাবে মতবিরোধ নিষ্পত্তি।
  • অর্থনৈতিক উন্নয়ন: মুক্ত বাজার ও বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করে।

(খ) কুফল (Disadvantages):

  • ধীরগতির সিদ্ধান্ত: বহুপক্ষীয় আলোচনায় সময় লাগে।
  • সংখ্যাগরিষ্ঠের একনায়কত্ব: সংখ্যালঘুদের অধিকার হরণের ঝুঁকি।
  • দলীয় কোন্দল: রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংঘাত।
  • অযোগ্য নেতৃত্ব: জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে অদক্ষ নেতা নির্বাচিত হতে পারে।
  • পুঁজিবাদের প্রভাব: ধনী গোষ্ঠী রাজনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে।

গণতন্ত্রের চারটি স্তম্ভ কি কি?

গণতন্ত্রের চারটি স্তম্ভ রয়েছে। এ পর্বে আমরা জানবো গণতন্ত্রের চারটি স্তম্ভ কি কি। গণতন্ত্রের চারটি স্তম্ভ কি কি তা হলো: কার্যনির্বাহী বিভাগ, নির্বাচিত প্রতিনিধি বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং সংবাদ মাধ্যম।

১। কার্যনির্বাহী বিভাগ

কার্যনির্বাহী বিভাগ প্রশাসন পরিচালনা করেন। সংবিধানে তাদের ক্ষমতা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তারা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হন।

২। নির্বাচিত প্রতিনিধি বিভাগ

এই বিভাগের কর্মকর্তারা জনগণের মাধ্যমে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বাচিত হন। এই বিভাগের কর্মকর্তারা সংবিধানের মূল কাঠামোর উপর ভিত্তি করে আইন প্রণয়ন করেন।

৩। বিচার বিভাগ

দেশের আইন অনুযায়ী এরা দেশের সকল ধরনের বিচার কার্যসম্পাদন করেন।

৪। সংবাদ মাধ্যম

এই বিভাগের কর্মকর্তাদের দ্বারা দেশের এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্তে সকল খবরাখবর পৌঁছে দেওয়া হয়।

মৌলিক গণতন্ত্র বলতে কি বুঝায়

মৌলিক গণতন্ত্র (Basic Democracy) স্থানীয় পর্যায়ে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে। পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খান ১৯৫৯ সালে এই ধারণা চালু করেন, যেখানে স্থানীয় কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে শাসন বিকেন্দ্রীকরণের চেষ্টা করা হয়। এটি একটি সীমিত গণতান্ত্রিক মডেল, যা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন দেয়।

গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি

গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিচে উল্লেখ করা হলঃ

গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি

গণতন্ত্রের কতকগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কোন শাসনব্যবস্থা গণতান্ত্রিক কিনা তা এসব বৈশিষ্ট্যের মানদন্ডে বিচার করে সহজেই আমরা অনুধাবন করতে পারি।

  • প্রথমত, লক্ষ্য করতে হবে উক্ত শাসনব্যবস্থায় প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে সরকার গঠিত হয় কিনা;
  • দ্বিতীয়ত, নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সরকারকে পরিবর্তন করা যায় কিনা;
  • তৃতীয়ত, উক্ত ব্যবস্থায় দল গঠন, মত প্রকাশ ও সমালোচনার অধিকার স্বীকৃত হয়েছে কিনা;
  • চতুর্থত, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিকের স্বার্থরক্ষার সুবন্দোবস্ত রয়েছে কিনা;

জনসাধারণ এ আশ্বাস পেয়েছে কিনা যে, সুষ্ঠু বিচার ছাড়া তাদের অহেতুক বন্দীদশা ভোগ করতে হবে না, অথবা অন্য কোন শাস্তি ভোগ করতে হবে না। উল্লেখিত ব্যবস্থাসমূহের উপস্থিতি যে কোন ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক করতে সমর্থ।

এ চারটি উপাদানের সুসমন্বয়ে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তা গণতান্ত্রিক। সুতরাং গণতন্ত্রে মৌলিক কথা হচ্ছে- শাসন সংক্রান্ত ব্যাপারে শাসিতদের সম্মতি লাভ।

গণতন্ত্র একটি গতিশীল শাসনব্যবস্থা, যা নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করে এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে। যদিও এর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, তবুও এটি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য শাসনপদ্ধতি।

Atif Abdullah

Atif Abdullah is a passionate writer and expert in technology, Information and News. With years of experience in Information, he enjoys sharing insightful and well-researched content that helps readers stay informed. Atif has a keen interest in digital trends and his writing reflects his deep understanding and analytical approach.
Back to top button