জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২১ প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২১ এখনো পূর্নাঙ্গ ভাবে প্রকাশিত না হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের নোটিশের মাধ্যমে আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ ইতিমধ্যে জানা গেছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বেশী শিক্ষার্থী নিয়ে পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতি বছর আট লক্ষাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স ও ডিগ্রি (পাসকোর্স)করার সুযোগ পায় জাতীয় বিশ্বিবদ্যালয়ের কল্যাণে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২১
এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের পর সেই বছরের শেষ দিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণত ভর্তির কার্যক্রম শেষ করে। তবে কোভিড – ১৯ মহামারীর বদৌলতে এবার সবকিছুই চলছে যেন ঢিমেতালে। নতুন বছরের চতুর্থ মাস চলে এলেও প্রকাশ হয়নি ভর্তি বিজ্ঞপ্তি। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্র অনুসারে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, অতি শীঘ্রই প্রকাশিত হবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২১।
আবেদনের যোগ্যতা
২০১৭/১৮ সালে মাধ্যমিক এবং ২০১৯/২০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় নিম্নে বর্ণিত গ্রেড পয়েন্ট পেয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
১) বিজ্ঞান ও বানিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ন্যুনতম জিপিএ ৩.০০ এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪র্থ বিষয় সহ ন্যুনতম জিপিএ ২.৫০ পেতে হবে।
২) মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ন্যুনতম জিপিএ ২.৫০ এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪র্থ বিষয় সহ ন্যুনতম জিপিএ ২.৫০ পেতে হবে।
৩) কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (ভোকেশনাল / বিজনেস ম্যানেজমেন্ট) থেকে উত্তীর্ণ এবং ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম জিপিএ ২.৫০ নিয়ে ভর্তি আবেদন করতে হবে।
তবে যে বিষয়ে অনার্স/ডিগ্রি করতে ইচ্ছুক, সে বিষয়ে অবশ্যই আলাদা ভাবে ৩.০০ গ্রেড পয়েন্ট থাকতে হবে উভয় পরীক্ষায়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গত কয়েক বছর ধরেই মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতেই আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের পছন্দের কলেজে আসন বরাদ্দ করে থাকে। তিনটি পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মেধাতালিকা তৈরী করা হয়।
একই বিষয় এবং একই কলেজে একাধিক আবেদনকারীর ফলাফল একই হলে ৪র্থ বিষয় সহ মাধ্যমিকের ৪০% ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ৬০% জিপিএ নিয়ে তুলনা করা হয়। সেক্ষেত্রেও একই হলে ৪০% ও ৬০% হারে পরীক্ষার প্রাপ্ত মোট নম্বরের তুলনা করা হয়। তারপরও যদি ফলাফল মিলে যায়, তাহলে আবেদনকারীদের মধ্যে যাদের বয়স তুলনামূলক কম, তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদনের নিয়ম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট www.nu.ac.bd/admissions ঠিকানায় গিয়ে Honours ট্যাবে Apply Now বাটনে ক্লিক করলে একটি ভর্তি ফরম পাওয়া যাবে। রোল, রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার সহ সকল তথ্য সতর্কতার সাথে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
সকল তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করলে শিক্ষার্থী কোন কোন বিষয়ে আবেদনের যোগ্য, তার একটি তালিকা দেখতে পাবে। পছন্দের বিষয় এবং কলেজের নাম সিলেক্ট করলে উক্ত কলেজে নির্দিষ্ট বিষয়ে কতজন ভর্তি হতে পারবে, তার পূর্নাঙ্গ তথ্যও প্রদর্শিত হবে। এ তালিকা থেকেই আবেদনকারীকে পছন্দের কলেজ এবং বিষয় বেছে নিতে হবে। কেউ চাইলে একাধিক বিষয়ও নিজের পছন্দের ক্রমে রেখে আবেদন করতে পারবে।
ফরম পূরণ শেষ হলে আবেদনকারীর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবির স্পষ্ট স্ক্যান কপি ১২০*১২০ পিক্সেল সাইজে রেখে আপলোড করতে হবে।
সঠিকভাবে সকল তথ্য, ছবি দিয়ে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর আবেদনকারী শিক্ষার্থীকে একটি রোল নম্বর এবং পিন দেওয়া হবে, যা ব্যবহার করে আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করা যাবে।
ডাউনলোড করা ফরমে সকল তথ্য ঠিক থাকলে তা প্রিন্ট আউট করে নীচে আবেদনকারীর নিজের সাক্ষর দিতে হবে। ফরমের সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সত্যায়িত নম্বরপত্র, রেজিষ্ট্রেশন কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি এবং প্রাথমিক আবেদন ফি বাবদ ২৫০ টাকা কাঙ্ক্ষিত কলেজে জমা দিতে হবে। ফরমের একাধিক প্রিন্ট আউট করে অন্য সকল কাগজপত্র এবং আবেদন ফি সহ একাধিক কলেজেও আবেদন করা যেতে পারে। তবে কোন ভাবেই দুই জায়গায় একই সাথে ভর্তি হওয়া যাবে না কিংবা পূর্বে কোথাও ভর্তি থাকলে আগে ভর্তি বাতিল করতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফলাফল
আবেদন যাচাই-বাছাই করার পর কলেজ কর্তৃক তৈরীকৃত মেধাতালিকায় থাকলে শিক্ষার্থীকে মোবাইলে টেক্সট মেসেজ করে জানানো হবে। এ ছাড়া ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড এবং মোবাইলে আসা ওটিপি ব্যবহার করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেও বিষয় অনুযায়ী মেধাতালিকা এবং অপেক্ষমান তালিকা দেখা যাবে। কেউ চাইলে মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে nu<space>athn<space>roll no টাইপ করে ১৬২২২ নম্বরে পাঠিয়েও ফলাফল জানতে পারবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফলাফল দেখুন
প্রথম মেধাতালিকা থেকে ভর্তির পর খালি আসন সাপেক্ষে দ্বিতীয় মেধা তালিকা এবং বিশেষ কোটায় ভর্তি করা হবে।
যে সকল আবেদনকারী মেধাতালিকায় আসবে না কিংবা আসলেও ভর্তি হবে না বা ভর্তি বাতিল করবে, তারা শুন্য আসন সাপেক্ষে পাঁচটি আলাদা কলেজে নির্দিষ্ট সময় পরে রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে আবেদন করে ভর্তি হতে পারবে তবে অবশ্যই সেক্ষেত্রে আবেদনকারীকে প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
শেষ কথা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের পর যদিও তথ্য ভুল থাকলে ফরম বাতিল করে দ্বিতীয়বার আবেদনের সুযোগ দেয়, তারপরও ভর্তি আবেদনে যাতে জটিলতায় পড়ে কেউ ভুল না করে ফেলে, সেজন্যই সহজ ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া জানানোর প্রচেষ্টা।