Info

দ্রুত সুস্থ হওয়ার দোয়া – সুস্থতার জন্য প্রার্থনা

দ্রুত সুস্থ হওয়ার দোয়া – সুস্থ জীবনের প্রত্যাশা সবাই করে। সুস্থ থাকলে নিজের লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। সুস্থতাই সুখ-শান্তির মূল। অসুস্থ হওয়ার আগে সুস্থতাকে মর্যাদা দেওয়ার কথা বলেছেন হযরত মুহাম্মদ (স.)। সুস্থ থাকতে আল্লাহর কাছে কীভাবে আবেদন করতে হবে তাও শিখিয়ে দিয়েছেন তিনি।

দুনিয়াতে সুস্বাস্থ্য, সুস্থতা, আমানতদারিতা, উত্তম চরিত্র ও সন্তুষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা যায়। আজকের এই সম্পন্ন পোষ্টজুড়ে সুস্থতার জন্য প্রার্থনা – দ্রুত সুস্থ হওয়ার দোয়া জেনে নেওয়া পাশাপাশি পরিবারের সুস্থতার জন্য দোয়া এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকার দোয়া জেনে নিব। তাহলে আসুন বেশি কথা না বাড়িয়ে সুস্থতার জন্য কিভাবে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হয় তা জেনে নেওয়া যাক।

দ্রুত সুস্থ হওয়ার দোয়া

প্রতিটি মানুষই চায় সুস্থ থাকতে। কিন্তু মানুষের জীবন সুস্থতা-অসুস্থতা মিলিয়ে। ফলে অসুস্থতা পেয়ে বসে নানা সময়ে। আর অসুস্থতা জীবনযাত্রা অস্থিতিশীল ও অসহনীয় করে তোলে। কেউ অস্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চায় না। তাই সুস্থ হতে কারো চেষ্টায় কমতি থাকে না।

দ্রুত সুস্থ হওয়ার দোয়া

অসুস্থ হলে ইসলাম প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে। পাশাপাশি রোগীকে অসুস্থতার দরুণ বিপুল সওয়াবের সুসংবাদও দিয়েছে।

কেউ অসুস্থ হলে, সুস্থতার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হয়। আল্লাহর কাছে রোগমুক্তির দোয়া করতে হয়। তার কাছে বলতে হয়, যেন তিনি সুস্থ করে দেন। মানুষ অসুস্থ হয়ে যখন দোয়া করে কিংবা অসুস্থ কারও জন্য দোয়া করে, তখন আল্লাহ তাআলা সুস্থ করে দেন।

অসুস্থ হলে পড়ার জন্য আল্লাহর রাসুল (সা.) একটি দোয়া শিখিয়েছেন। কেউ দোয়াটি পড়লে আল্লাহ তাআলা অসুস্থ ব্যক্তিকে দ্রুত সুস্থতা দান করেন।

আনাস বিন মালিক (রা.) বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এই দোয়া পড়ে অসুস্থ ব্যক্তিদের ঝাড়ফুঁক করতেন। দোয়াটি হলো-

اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبْ الْبَاسَ اشْفِهِ وَأَنْتَ الشَّافِي لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রাব্বান নাসি উজহিবাল বা’সি, ইশফিহি ওয়া আনতাশ-শাফি, লা শিফায়া ইল্লা শিফায়ুকা শিফায়ান লা ইউগাদিরু সাকমা।

অর্থ: হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক, কষ্ট দূরকারী। আমাকে আরোগ্য দিন, আপনি আরোগ্যকারী—আপনি ছাড়া কোনো আরোগ্যকারী নেই। এমন আরোগ্য দিন যেন কোনো রোগ না থাকে। (বুখারি, হাদিস : ৫৭৪২)

দুনিয়াতে সুস্বাস্থ্য, সুস্থতা, আমানতদারিতা, উত্তম চরিত্র ও সন্তুষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে এভাবে প্রার্থনা করা যায়-

اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْألُكَ الصِّحَةَ وَالْعِفَّةَ وَالْأمَانَةَ وَحُسْنِ الْخَلْقِ وَالرِّضَا بِالْقَدْر

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাছ ছিহ্হাতা ওয়াল ইফফাতা ওয়াল আমানাতা ওয়া হুসনিল খালক্বি ওয়াররিদা বিলক্বাদরি। (বায়হাকি, মুসনাদে বাজ্জার)

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার কাছে প্রার্থনা করছি সুস্বাস্থ্য, পবিত্রতা, আমানতদারীতা, উত্তম চরিত্র এবং তাকদিরের উপর সন্তুষ্টি থাকার। 

আপনারা চাইলে দ্রুত সুস্থ হওয়ার দোয়া জেনে নেওয়ার পাশাপাশি ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম ১০০ বার পড়লে কি হয় তা আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।

সুস্থতার জন্য প্রার্থনা

সুস্থতা ও অসুস্থতা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়। তাতে আনুগত্য ও নাফরমানির কোনো সম্পর্ক নেই। নবী-রাসুলরাও অসুস্থ হয়েছেন। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) সব পয়গম্বরের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। তিনিও কয়েকবার অসুস্থ হয়েছেন। তাকেও অসুস্থতার কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। কোনো অসুস্থতা আল্লাহর শাস্তি ও তার অসন্তুষ্টির কারণ বলা যাবে না। অসুস্থতা আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষাস্বরূপও হতে পারে। 

সুস্থতার জন্য প্রার্থনা

মুমিনের জন্য তার গোনাহর কাফফারাও হতে পারে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সত্যের নিকটবর্তী থাকো এবং সরল-সোজা পথ অবলম্বন করো। মুমিনের যে কষ্টই হোক না কেন, এমনকি তার গায়ে যদি কোনো কাঁটা বিঁধে বা সে কোনো বিপদে পতিত হয়- সবকিছুই তার গোনাহের কাফফারা হয়।’ – তিরমিজি: ৩০৩৮

অসুস্থতা দ্বারা মুমিন বান্দার স্তর উন্নত হয়। অসুস্থতাকে অশুভ নিদর্শন হিসেবে গ্রহণ করা উচিত নয়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারিম (সা.) বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ যার মঙ্গল চান তাকে দুঃখ-কষ্টে ফেলেন।’ -সহিহ বোখারি : ৫৬৪৫

সুস্থতা আল্লাহর নেয়ামত। আবার অসুস্থতার মাধ্যমে মুমিনদের পাপ মোচন হয়। সুস্থতার জন্য আল্লাহর দরবারে যেমন দোয়া করা উচিত তেমনি অসুস্থ হলেও তা থেকে পানাহ পাওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করা উচিত।

মহান আল্লাহ মানুষকে যেমন সুস্থ রাখেন, তেমনি রোগও দেন। আর এ থেকে পরিত্রাণ পেতে রোগ থেকে মুক্তির দোয়াও শিখিয়ে দিয়েছেন। অনেক সময় পরীক্ষা নেওয়ার জন্যও আল্লাহ রোগব্যাধি, বালা-মুসিবত দিয়ে থাকেন; যাতে আমরা আল্লাহকে ভুলে না যাই। 

আর বিপদে-আপদে আমরা আল্লাহকে কতটুকু মনে রাখি- সেটাও আল্লাহ দেখেন। রোগের চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার পাশাপাশি আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া, দোয়া করা। কোরআন মাজিদে রোগমুক্তির জন্য বর্ণিত আয়াতে শিফার মাধ্যমে আমরা রোগব্যাধি থেকে পরিত্রাণ লাভ করতে পারি। হাদিসে আছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.)-কে দেখতে গিয়ে তিনবার দোয়া করেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি সাদকে সুস্থ করে দিন।’ -সহিহ বোখারি : ৫৬৫৯

সেই সঙ্গে হাদিসে বর্ণিত দোয়াগুলোরও আমল করতে পারি। হাদিসে বর্ণিত একটি দোয়া হলো-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রাব্বান-নাসি মুজহিবাল বাসি, ইশফি আনতাশ-শাফি, লা শাফিয়া ইল্লা আনতা শিফায়ান- লা ইয়ুগাদিরু সাকামা।

অর্থ: হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক, কষ্ট দূরকারী। আমাকে আরোগ্য দিন, আপনি আরোগ্যকারী; আপনি ছাড়া কোনো আরোগ্যকারী নেই। এমন আরোগ্য দিন যেন কোনো রোগ অবশিষ্ট না থাকে।

হাদিসে এসেছে, হজরত আনাস বিন মালেক (রা.) বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) এই দোয়া পড়ে অসুস্থ ব্যক্তিদের ঝাড়-ফুঁক করতেন। –সহিহ বোখারি : ৫৭৪২

অন্য হাদিসে আরও ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) রোগী দেখে সাতবার এই দোয়া পাঠ করতেন-

উচ্চারণ: ‘আসয়ালুল্লাহাল আজিম, রাব্বাল আরশিল আজিমি আই-ইয়াশফিয়াকা।’

অর্থ: আমি মহান আল্লাহর কাছে- যিনি মহা আরশের প্রতিপালক তোমার সুস্থতা কামনা করছি।’ –সুনানে তিরমিজি : ২০৮৩

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার দোয়া

সুস্থতা বড় নেয়ামত। প্রবাদ আছে, ‘সুস্থতাই সকল সুখের মূল’। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘একজন ভগ্ন স্বাস্থ্যবান মুমিন থেকে স্বাস্থ্যবান মুমিন আল্লাহর নিকট শ্রেষ্ঠ ও প্রিয়।’ (মুসলিম: ২৬৬৪)। ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ‘এমন দুটি নেয়ামত আছে, যে বিষয়ে মানুষ ধোঁকার মধ্যে থাকে। তা হচ্ছে, সুস্থতা আর অবসর।’ (বুখারি: ৬৪১২)

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার দোয়া

হাদিসে বর্ণিত দুইটি নেয়ামতের কদর বুঝা যায় হারিয়ে গেলে। এর আগে মানুষ এর কদর বুঝতে চায় না। ইবাদতে মনোনিবেশের জন্য দেহ ও মনের সুস্থতার প্রয়োজন অনস্বীকার্য। যে কারণে ইসলামে সুস্থ থাকার উৎসাহ সৃষ্টি করা হয়েছে। নবী করিম (স.) বলেন, ‘মানুষকে সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতার চেয়ে শ্রেষ্ঠ নেয়ামত আর কিছু প্রদান করা হয়নি।’ (নাসায়ি: ১০৭২ )

সুস্থতার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করার শিক্ষা দেয় ইসলাম। হাদিসে শারীরিক সুস্থতার জন্য বিশেষ দোয়ার উল্লেখ রয়েছে। দোয়াটি হলো-  اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِي، اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي سَمْعِي، اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَصَرِي، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ ‘আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি সাম-ই, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাসারি, লা-ইলাহা ইল্লা আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমার দেহ সুস্থ রাখুন। হে আল্লাহ, আমাকে সুস্থ রাখুন আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে। হে আল্লাহ, আমাকে সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই।’ আবু দাউদ:  ৫০৯০)

আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি আমার পিতাকে বললাম, আব্বাজান, আমি আপনাকে প্রতিদিন ভোরে ও সন্ধ্যায় তিনবার বলতে শুনি যে আপনি এই দোয়া পাঠ করছেন। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে এ বাক্যগুলো দ্বারা দোয়া করতে শুনেছি। সেজন্য আমিও তাঁর নিয়ম অনুসরণ করতে ভালোবাসি। (আবু দাউদ:  ৫০৯০)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখুন। উল্লেখিত দোয়ার ওপর নিয়মিত আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

পরিবারের সুস্থতার জন্য দোয়া

হাদিসে এসেছে দোয়াই ইবাদাত। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় সৃষ্টি মানুষের কল্যাণে তাঁরই নিকট রোনাজারি করার জন্য পদ্ধতি শিখিয়েছেন। হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম জনমানবহীন ও খাদ্যবিহীন মরুভূমিতে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে রেখে যাওয়ার সময় আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন। সে দোয়া আল্লাহ তাআলার নিকট এতটাই পছন্দনীয় হয়েছিল, যা তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে এ জাতির জন্য তুলে ধরেছেন।

মুসলিম উম্মাহ যেন এ দোয়ার মাধ্যমে তাঁদের সন্তান-সন্ততি ও পরিবারের জন্য আল্লাহর নিকট কল্যাণ কামনা করতে পারে।  মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি অভিভাবকই নিজ নিজ পরিবারের জন্য দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ কামনায় কোরআনের গুরুত্বপূর্ণ এ দোয়াটি করবেন-

رَبَّنَا لِیُـقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ فَاجۡعَلۡ اَفۡئِدَۃً مِّنَ النَّاسِ تَهۡوِیۡۤ اِلَیۡهِمۡ وَارۡ زُقۡهُمۡ مِّنَ الثَّمَرٰتِ لَعَلَّهُمۡ یَشۡکُرُوۡنَ

উচ্চারণ: রাব্বানা- লিয়ুক্বি-মুস সালা-তা ফাঝআ’ল আ’ফই’দাতাম মিনান না-সি তাহ্‌ওয়ি- ইলাইহিম ওয়ারযুক্ব্‌হুম মিনাছ ছামারা-তি লাআ’ল্লাহুম ইয়াশকুরু-ন। (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৩৭)

অর্থ: হে আমার প্রতিপালক! তারা যাতে নামাজ প্রতিষ্ঠা করে। কাজেই তুমি মানুষের অন্তরকে তাদের প্রতি অনুরাগী করে দাও। আর ফল-ফলাদি দিয়ে তাদের জীবিকার ব্যবস্থা কর; যাতে তারা (আল্লাহ তাআলার) শুকরিয়া আদায় করতে পারে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সকল অভিভাবকের এ দোয়াকে কবুল করুন। প্রত্যেকের পরিবার-পরিজন ও সন্তান-সন্ততিকে ইবাদাত-বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন। সবাইকে উত্তম রিজিক দান করুন। সর্বোপরি শোকর-গুজার বান্দা হিসেবে কবুল করুন। আমিন।

মানসিকভাবে সুস্থ থাকার দোয়া

নবীজি মানসিক প্রশান্তি পেতে যে দোয়া করতেন সেই সম্পর্কে তুলে ধরা হলঃ

মানসিকভাবে সুস্থ থাকার দোয়া

মুমিন বান্দার বিপদ-আপদ লেগেই থাকে দুনিয়ায়। নানা ধরণের চিন্তা পেরেশানিতে দিন কাটে। অনেক মানুষ জানেই না সে কী জন্য টেনশন করছে। অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাকে। মানসিক প্রশান্তি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রশান্তি। এ প্রশান্তি পেতে আমলের বিকল্প নেই।

মানসিক প্রশান্তি পেতে নবীজি দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন। হজরত ইবনে উমর (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকাল সন্ধ্যায় নিয়মিত এ দোয়াটি পড়তেন।

 اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَ الْعَافِيَةَ فِى الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِى دِينِى وَدُنْيَاىَ وَأَهْلِى وَمَالِى اللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِى وَآمِنْ رَوْعَاتِى اللَّهُمَّ احْفَظْنِى مِنْ بَيْنِ يَدَىَّ وَمِنْ خَلْفِى وَعَنْ يَمِينِى وَعَنْ شِمَالِى وَمِنْ فَوْقِى وَأَعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِى.

বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফওয়া ওয়াল আফিয়াতি ফিদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাতি। আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফওয়া ওয়াল আফিয়াতি ফি দিনি ওয়া দুনিয়াই ওয়া আহলি ওয়া মালি। আল্লাহুম্মাজতুর আওরাতি ওয়া আমিন রাওয়াতি। আল্লাহুম্মাহ ফিজনি মিনবাইনি ইয়াদাই ওয়া মিন খলফি ওয়া আন ইয়ামিনি ওয়ান শিমালি ওয়া মিন ফাওকি। ওয়া  আউজু বিআজমাতিকা আন আগতালা মিন তাহতি।

অর্থ: হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই এবং দুনিয়া ও আখেরাতে প্রশান্তি চাই। হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই এবং আমার দীন, আমার দুনিয়া, আমার পরিবার পরিজন এবং আমার ধন-সম্পদের ব্যাপারে প্রশান্তি চাই। হে আল্লাহ, আমার সব গোপন দোষগুলোকে তুমি ঢেকে রাখ, এবং আমার সব ভয়ের স্থানে তুমি আমাকে নিরাপত্তা দান কর। 

হে আল্লাহ, তুমি আমাকে সামনে পেছনে ডানে বামে ও উপরে সর্বদিক দিয়ে রক্ষা কর। হে আল্লাহ, তোমার বড়ত্ব ও মহত্ত্বের উসিলায় আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই, আমি যেনো আমার নিচের দিক দিয়ে মাটিতে দেবে না যাই। (আবু দাউদ-৫০৭৬ ইবনে মাজাহ-৩৮৭১)

আমাদের শেষ মতামত

পরিশেষে বলব, প্রতিটি মানুষই চায় সুস্থ থাকতে। কিন্তু মানুষের জীবন সুস্থতা-অসুস্থতা মিলিয়ে। ফলে অসুস্থতা পেয়ে বসে নানা সময়ে। আর অসুস্থতা জীবনযাত্রা অস্থিতিশীল ও অসহনীয় করে তোলে। কেউ অস্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চায় না। তাই সুস্থ হতে কারো চেষ্টায় কমতি থাকে না।

তাই আমরা সকলেই বেশি বেশি মহান আল্লাহর নিকট আপনার আমার প্রতিটা মানুষের সুস্থতার জন্য  দোয়া প্রার্থনা করব ইনশাল্লাহ। আল্লাহ তাআলা মুসলিম সকল উম্মাহর দোয়াকে কবুল করুন। প্রত্যেকের পরিবার-পরিজন ও সন্তান-সন্ততিকে ইবাদাত-বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন। সবাইকে উত্তম রিজিক দান করুন। সর্বোপরি শোকর-গুজার বান্দা হিসেবে কবুল করুন। আমিন।

তো আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে দ্রুত সুস্থ হওয়ার দোয়া – সুস্থতার জন্য প্রার্থনা জানতে পেরেছেন। এই পোষ্টটি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও দ্রুত সুস্থ হওয়ার দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবে ধন্যবাদ।

Atif Abdullah

Atif Abdullah is a passionate writer and expert in technology, Information and News. With years of experience in Information, he enjoys sharing insightful and well-researched content that helps readers stay informed. Atif has a keen interest in digital trends and his writing reflects his deep understanding and analytical approach.
Back to top button