Notice

তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল

“তাহাজ্জুদ” হচ্ছে আরবি শব্দ। যার অর্থ রাত জাগার মাধ্যমে অথবা ঘুম ত্যাগ করে নামাজ পড়া। একে কিয়ামুল লাইলও বলা হয়ে থাকে। এটি একটি ঐচ্ছিক ইবাদত যা ফরজ নামাজের মত বাধ্যতামূলক নয়। এটি সম্পূর্ণ ফরজ নামাজের থেকে আলাদা। কিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুতের নামাজ একান্ত নিজের জন্য।

আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন এবং সাহাবীদেরকে ও পড়ার জন্য উৎসাহিত করতেন।

তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল

তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত ও নফল সম্পর্কে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন যে কোন আমল আল্লাহর বান্দা গণ অনুসরণ করলেই তার সুন্নাহ হিসেবে বিবেচিত হবে। তাছাড়া ফরজ ছাড়া যত ইবাদাত রয়েছে সবই নফল ইবাদতের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।

তাই মহান আল্লাহতালা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে ফরজ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। আর এছাড়া যত সালাত রয়েছে তা সবকিছুই নফল ও অতিরিক্ত। তাছাড়া রাসুলল্লাহ সাল্লাল্লাহু সালাম আরো বলেছেন যে সুন্নত হচ্ছে দুই প্রকার। একটা হচ্ছে সেই সুন্নাহ যার ওপর গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়েছে।

আর অন্য আরেকটি অতিরিক্ত সুন্নাহ হিসেবে যে সুন্নাহ প্রমাণিত হয়েছে সেট হচ্ছে তাহাজ্জুদ। এটি মূলত এই পর্যায়ের সালাদ। তাহলে এতক্ষণে আপনি হয়তো নিশ্চয় বুঝতে পারছেন যে তাহাজ্জুদ নামাজ নফল। কেননা এটি ফরজ বা ওয়াজিব নয়। আর যেহেতু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সালাম আদায় করেছেন তাই এটি সুন্নত।

তাহলে অবশ্যই বোঝা যাচ্ছে যে তাহাজ্জুদ নামাজ নফল ইবাদত। আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কখনো তাহাজ্জুদ নামাজ চার রাকাত পড়তেন আবার কখনো ছয় রাকাত পড়তেন। আবার মাঝেমধ্যে তিনি ৮ রাকাত ও ১০ রাকাত করেও পড়তেন।

তাহাজ্জুদের নামাজ হচ্ছে মূলত সুন্নত। এর কারণ হচ্ছে আমাদের বিশ্বনবী রাসূল (সাঃ) বলেছেন যে আমার যে কোন আমল অনুসরণ করলেই তা সুন্নাহ। ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ছাড়া অন্যান্য বাকি নামাজ নফল ইবাদতের মধ্যে পড়ে। আল্লাহ তা’আলা ৫ ওয়াক্ত নামাজকে ফরজ করেছেন। এছাড়া যতরকম নামাজ রয়েছে সবই নফল বা অতিরিক্ত। রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাত দুই প্রকার।

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

তাহাজ্জুতের নামাজ অন্যান্য নামাজের মতই। তবে এর কোনও বাধা ধরা নিয়ম নেই, যে এই নামাজ কত রাকাত পড়তে হবে। আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন হিসাব দেননি। অর্থাৎ এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, এই নামাজ আপনার যত রাকাত ইচ্ছা পড়তে পারবেন।

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

তবে সাধারনত তাহাজ্জুদ নামাজ নফল নামাজের আওতাভুক্ত ধরা হয়ে থাকে। তাই এই নামাজ একবারে দুই রাকাতের বেশি পড়া যাবে না।

  • আল্লাহু আকবার’ (তাকবীরে তাহরীমা) বলে নিয়ত করা।
  • স্বাভাবিক অন্যান্য নামাজের মত ছানা পড়া।
  • তারপর ‘আউজুবিল্লা হিমিনাশ শাইতানির রাজিম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ পড়ার পর সূরা ফাতিহা পড়া।
  • সূরা ফাতিহা পড়ার পর কুরআন থেকে যেকোনো সূরা পাঠ করা।স্বাভাবিক নামাজের মত রুকু ও সিজদা করা তবে রুকু ও সেজদা সময় নিয়ে করা উত্তম।
  • এরপর দ্বিতীয় রাকাত ঠিক একইভাবে আদায় করতে হবে।
  • দ্বিতীয় রাকাত শেষ হলে শেষ বৈঠকে বসতে হবে। এবং তাশাহুদ দুরুদ শরীফ এবং তারসাথে দোয়া মাসুরা পড়ে, সালাম ফিরানোর মাধ্যমে নামাজ শেষ করতে হবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ সূরা ফাতিহা পড়ার পর কুরআন থেকে যেকোনো সুরা পড়তে পারবেন। তবে সূরা কেরাত যত দীর্ঘ বা লম্বা করতে পারবেন, ততই উত্তম হবে। কারণ আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সব সময় তাহাজ্জুদ নামাজের সূরা কেরাত অনেক দীর্ঘ এবং লম্বা করতেন।

মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের পড়ার নিয়ম আলাদা কোন কিছুই নেই। পুরুষরা যেভাবে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করবে ঠিক একই ভাবে মহিলাদেরকেও তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তে হবে। মূল কথা হলো আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, যেভাবে তাহাজ্জুদ এর নামাজ পড়তেন, আমরা তাঁর উম্মত হিসেবে নারী ও পুরুষ উভয়ই নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুসরণ করে তাঁর মত করে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়বো ইনশাল্লাহ।

অনেক মহিলারা ভ্রান্ত ধারনা নিয়ে তাহাজ্জুতের নামাজ আদায় করে। যেগুলো করা সুন্নত বিরোধী। আমরা কখনই নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরোধী বা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যে কাজ করেননি সে কাজ অনুযায়ী করবো না। তাহলে সুন্নতের খেলাফ হয়ে যাবে। বিশেষ করে গ্রামের মহিলারা একটু কম জানে এই বিষয়গুলো। কারণ সঠিকভাবে বলার কেউ না থাকার কারণে এমনটা ঘটে। তাই এটা ভাবা যাবেনা যে, মহিলাদের জন্য তাহাজ্জুদের নামাজের অন্য কোন নিয়ম রয়েছে।

মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম জেনে নেওয়ার পাশাপাশি আপনারা চাইলে তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের এই বিষয়ে আমাদের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত

তাহাজ্জুদ নামাজ হোক অথবা অন্যান্য যে কোন নামাজি হোক, সবাই মনে করে নামাজের নিয়ত না করলে নামাজ হবে না। এই ধারণাটি ভুল। কারণ নিয়ত সম্পূর্ণ মনের ব্যাপার। আপনি যখন নামাজ পড়ার জন্য ওযু করেন তখনই আপনার নিয়ত হয়ে যায়। এছাড়াও আপনি যদি আলাদাভাবে নিয়ত পড়তে চান!

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত

সেক্ষেত্রে কোন রকম সমস্যা নেই,পড়তে পারেন। তবে অনেকেই মনে করেন নিয়ত না করলে নামাজ হবে না করেই সালাত আরম্ভ করে দেয়, এরপর যখন মনে পড়ে যে তিনি নামাজের নিয়ত করতে ভুলে গেছেন, তখন তিনি নামাজ ছেড়ে দিয়ে আবার নতুন করে নামায শুরু করে। আসলে এই কাজটি করা একদমই ঠিক নয়।

নামাজে নিয়ত করা অত্যাবশ্যকীয় কোন কিছু নয়। আপনার নামাজ পড়ার জন্য আলাদাভাবে নিয়তের প্রয়োজন নেই। কারণ আপনি যখন নামাজ পড়বেন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তখনই অটোমেটিক আপনার নিয়ত হয়ে গিয়েছে। আশা করছি আপনারা আমার কথাগুলো বুঝতে পেরেছেন।

তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত

অনেকেই মনে করেন নামাজের নিয়ত না করলে নামাজ হবে না, ধারণাটি ঠিক তবে পদ্ধতিটি ঠিক নয়। নিয়ত সম্পূর্ণ একটি ব্যক্তির মনের ব্যাপার। নির্দিষ্ট কোন শব্দগুচ্ছ দ্বারা নিয়ত করা বাধ্যতামূলক নয়। তাই মনে, মনে যদি দুই রাকাত তাহাজ্জুদের নিয়ত করেন, তাহলেই তা নিয়ত হয়ে যাবে। তবে আপনি চাইলে আরবিতে এভাবে নিয়ত করতে পারেন;

বাংলা নিয়ত:

অথবা বাংলায় নিয়ত করতে পারেন, আমি আল্লাহর ওয়াস্তে কেবলার দিকে মুখ করিয়া তাহাজ্জুদের দুই রাকাত নামাজ আদায় করিতেছি আল্লাহু আকবার।

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও সময়

নিয়ম:-

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম অন্যান্য নামাজের মতই। তবে অন্যান্য নামাজের যেমন রাকাতের সংখ্যা রয়েছে, তেমন কোন সংখ্যা তাহাজ্জুদ নামাজে নেই। তবে তাহাজ্জুদ নামাজ হল নফল নামাজ। তাই এই নামাজ দুই রাকাত করে পড়তে হয়। দুই রাকাত করে আপনার যত রাকাত ইচ্ছা আপনি করতে পারেন।

সময়:-

সাধারণত তাহাজ্জুদের নামাজ করার উত্তম সময় হচ্ছে মধ্যরাতে। অর্থাৎ ঘুম থেকে উঠার পর নামাজ পড়া সবচেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ। এশার নামাজ পড়ার পর ফজরের আযান এর আগ পর্যন্ত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা যায়। তবে সবচেয়ে বেশি উত্তম হলো এশার নামাজ পড়ার পর ঘুমিয়ে পড়া এবং মধ্য রাতে ঘুম থেকে উঠে পাক-পবিত্র হয়ে ওযু করে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করে নামাজ আদায় করা।

তাহাজ্জুতের নামাজ অন্যান্য নামাজের মতই। তবে এই নামাজ সাধারনত নফল নামাজ। এটি একান্ত ব্যক্তিগত নামাজ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, আমরা ফরজ নামাজ আদায় করি আল্লাহতালা জন্য এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য সুন্নত নামাজ আদায় করি।

আর আমাদের নিজেদের জন্য নফল নামাজ আদায় করতে হয়। আপনার মনের যত ইচ্ছা এবং চাওয়া-পাওয়া রয়েছে আপনি এই তাহাজ্জুতের নামাজের মাধ্যমেই আল্লাহর কাছে তা চাইতে পারবেন। তাহাজ্জুদ নামাজের রুকু সিজদা অনেক দীর্ঘ বা লম্বা করা উত্তম। এর পাশাপাশি সুরা-কেরা যত লম্বা করা যায় ততই ফজিলত রয়েছে।

কারণ আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সব সময় তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন এবং তাহাজ্জুদ নামাজের সূরা কেরাত ও রুকু সেজদা অনেক দীর্ঘ করতেন।

তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত

তাহাজ্জত নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে। আপনি যদি নিয়মিত তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করেন এবং আল্লাহ তাআলার কাছে আপনার মনের সকল আরজি তুলে ধরেন, তাহলে আশা করা যায় ৪০ দিনের মাথায় আপনার সেই আরজি অথবা আল্লাহর কাছে চাওয়া সেই প্রার্থনা অবশ্যই কবুল হবে।

তবে অনেকের মধ্যেই ভুলভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। যে তাহাজ্জুদ নামাজ একা একা পড়তে হয় এবং অন্ধকারে পড়তে হয়। এছাড়াও আরো ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করলে জিন আসে ইত্যাদি, ইত্যাদি। এই সকল ধারনা একদম ভুল ধারণা।

কারণ তাহাজ্জুতের নামাজ পরলে এসব কিছুই হয়না। আর তাহাজ্জুদ নামাজ একা-একাই যে পড়তে হবে এমন কোন কথা নেই এবং অন্ধকারেও যে করতে হবে তারও কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই। আপনি চাইলে আলোতেও পড়তে পারবেন। তবে এই নামাজ পড়ার সময় অন্য কারো অসুবিধা করা যাবে না। অন্য কারো অসুবিধা না করে ধীরেসুস্থে লম্বা কেরাতের সাথে রুকু সেজদা দীর্ঘ করে এই নামাজ পড়তে হবে।

ফজরের নামাজের আগে আগে আল্লাহ তায়ালা প্রথম আসমানে নেমে আসেন এবং তার বান্দাদের সমস্ত আর্জি শোনেন। কার কি চাওয়া পাওয়া, কে হতাশাগ্রস্থ? সবকিছুই তিনি প্রথম আসমানে এসে শুনতে থাকেন। এই সময় যদি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দুই চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে কিছু চাওয়া হয়, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা সেই চাওয়া পাওয়া পূরণ করে দেন।

তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সঠিক কোন রাকাত বলে যাননি। আপনার যত রাকাত ইচ্ছা আপনি তত রাকাতেই তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে সর্বনিম্ন ২ রাকাত আদায় করতে হবে। সাধারণত তাহাজ্জুদ নামাজ দুই রাকাত করে আদায় করতে হয় দুই রাকাত করে আপনি যত রাকাত খুশি করতে পারবেন।

তবে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদের নামাজ সাধারণত ৮ রাকাত পড়তেন। এবং বাকি তিন রাকাত বিতের সালাত আদায় করে মোট ১১ রাকাত নামাজ আদায় করতেন। আপনি চাইলে এটি করতে পারেন। আর যদি আপনি চান আরো বেশি পড়বেন সেক্ষেত্রে আপনি সেটাও করতে পারবেন।

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা তাহাজ্জুদ নামাজের রাকাত নিয়ে অনেক রকমের কথা বলে থাকেন। কেউ কেউ বলেন আট রাকাত, কেউ কেউ বলেন ১০ রাকাত, কেউ বলেন ২০ রাকাত। আসলে এটি কোন রাকাত সংখ্যার উপর ভিত্তি করে গঠিত কোন নামাজ নয়। আপনি চাইলে ১০০ রাকাতও পড়তে পারবেন, সেটা আপনার বিষয়। আবার আপনি চাইলে দুই রাকাত পড়তে পারবেন।

তাই তাহাজ্জুদ নামাজের রাকাত সংখ্যা নিয়ে ঝগড়া বিবাদ না করে, আপনার যেমন ও যত ইচ্ছা পড়ার পড়তে পারে। তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত জেনে নেওয়ার পাশাপাশি আপনারা চাইলে শবে কদরের নামাজ কত রাকাত এই বিষয়ে আমাদের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।

সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQs)

তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদার দোয়া

তাজুদের নামাজের সিজদায় আলাদা কোন দোয়া নেই। আপনি চাইলে যেকোনো দোয়াই করতে পারেন। তবে অবশ্যই সেজদার সময় অন্যান্য নামাজে সেজদার সময় যে তাজবি গুলো পড়ে করা হয়! সেগুলো আগে পড়ে নেবেন। তারপর যা ইচ্ছা চাওয়ার পদুয়া করার করতে পারেন।

তাহাজ্জুদ নামাজের পর জিকির

তাহাজ্জুদ নামাজের পর জিকির করতে পারেন, আলহামদুলিল্লাহ সুবহানাল্লাহ, আল্লাহু আকবার।

তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া কবুল হয়?

হ্যাঁ। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে আপনি আল্লাহ তাআলার কাছে যা চাইবেন আল্লাহ তাআলা আপনাকে তাই দিবেন।

তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল?

তাহাজ্জুতের নামাজ হল নফল নামাজ অনেকেই এটিকে সুন্নত নামাজ হিসেবে গণ্য করে আসলে সেটি ভুল।

তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত

বাংলায় নিয়ত করতে পারেন, আমি আল্লাহর ওয়াস্তে কেবলার দিকে মুখ করিয়া তাহাজ্জুদের দুই রাকাত নামাজ আদায় করিতেছি আল্লাহু আকবার।

তাহাজ্জুদ নামাজের সূরা

তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য কোন স্পেশাল সূরা নেই। আপনি যে কোন সূরা মিলিয়ে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারবেন।

তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত পড়তে হয়?

তাহাজ্জুতের নামাজ কোন রাকাতের উপর ভিত্তি করে নয় আপনি যত রাকাত ইচ্ছা তত রাকাতই পড়তে পারেন আপনি চাইলে আট রাকাত করতে পারেন আবার চাইলে দুই রাকাতও পড়তে পারেন আবার চাইলে ১০ রাকাতও পড়তে পারেন অথবা ২০ রাকাতও পড়তে পারেন।

তাহাজ্জুদ নামাজের মোনাজাত কখন?

তাহাজ্জুদ নামাজের মোনাজাত সাধারণত দুই রাকাত পর পর করতে পারেন। আবার চাইলে ফজরের আগে একবারে তাহাজ্জুতের নামাজ শেষ করে তারপরে দোয়া করতে পারেন।

লেখকের শেষ মতামত

তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল, সম্পর্কে আশাকরি সবাই একটি বিস্তারিত ধারনা পেয়েছেন। আমি যথাসম্ভব আপনাদেরকে সঠিক একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এতে যদি আমার ভুল ভ্রান্তি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর আমার পরামর্শ যদি আপনার বিন্দুমাত্র সন্দেহ থেকে থাকে,তাহলে আমি উপরে একটি ভিডিও দিয়ে রেখেছি এই ভিডিও টি দেখে নিতে পারেন।

সেখানে বিস্তারিতভাবে ভালো ভাবে তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল ও তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম সম্পর্কে সুন্দরভাবে বোঝানো হয়েছে সেটি দেখে নিতে পারেন। আর যদি আমার এই পোস্ট আপনাদের ভালো লেগে থাকে! তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে দিতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ সবাইকে।

Atif Abdullah

Atif Abdullah is a passionate writer and expert in technology, Information and News. With years of experience in Information, he enjoys sharing insightful and well-researched content that helps readers stay informed. Atif has a keen interest in digital trends and his writing reflects his deep understanding and analytical approach.
Back to top button