গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়ার কারণ বিস্তারিত জানুন

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়ার কারণ– গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া বা আন্দোলন সবার জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। গর্ভাবস্থার প্রতিটি পর্যায়ে, বিশেষ করে ২৫ সপ্তাহের সময়ে, মায়ের অনুভব করা এই নড়াচড়া অনেক কিছু জানাতে পারে।
এই নড়াচড়া যদি কমে যায়, তবে সেটি মায়ের জন্য একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া কম হলে করণীয় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা অত্যন্ত জরুরি।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়ার কারণ
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা গর্ভবতী মহিলা এবং চিকিৎসক উভয়ের জন্যই উদ্বেগের কারণ হতে পারে। বাচ্চার নড়াচড়া গর্ভাবস্থার স্বাস্থ্য ও বিকাশের একটি মূল সূচক, এবং এর কমে যাওয়া বিভিন্ন কারণের ইঙ্গিত দিতে পারে।
📌আরো পড়ুন 👇
নিচে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়ার সম্ভাব্য কারণগুলি বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. বাচ্চার ঘুমের চক্র
বাচ্চা গর্ভে থাকাকালীন সময়ে ঘুম এবং জাগরণের চক্র অনুসরণ করে। বাচ্চা যখন ঘুমায়, তখন তার নড়াচড়া কমে যায়। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং সাধারণত কিছু সময় পর বাচ্চা আবার নড়াচড়া শুরু করে। তবে যদি দীর্ঘ সময় ধরে নড়াচড়া না হয়, তাহলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
২. গর্ভাবস্থার পর্যায়
গর্ভাবস্থার শেষের দিকে, বিশেষ করে ৩৬ সপ্তাহের পর, জরায়ুর মধ্যে জায়গা কমে যায়। এর ফলে বাচ্চার নড়াচড়া কিছুটা কমে যেতে পারে। তবে নড়াচড়া সম্পূর্ণ বন্ধ হওয়া উচিত নয়। যদি নড়াচড়া হঠাৎ কমে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
৩. প্লাসেন্টাল সমস্যা
প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল বাচ্চার অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহের জন্য দায়ী। যদি প্লাসেন্টায় কোনো সমস্যা হয়, যেমন প্লাসেন্টাল ইনসাফিসিয়েন্সি (Placental Insufficiency), তাহলে বাচ্চার অক্সিজেন এবং পুষ্টির সরবরাহ কমে যেতে পারে। এর ফলে বাচ্চার নড়াচড়া কমে যেতে পারে। এটি একটি গুরুতর অবস্থা এবং দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন।
৪. অ্যামনিওটিক ফ্লুইডের পরিমাণ কমে যাওয়া
অ্যামনিওটিক ফ্লুইড বাচ্চাকে জরায়ুর মধ্যে সুরক্ষা প্রদান করে এবং নড়াচড়া করতে সাহায্য করে। যদি অ্যামনিওটিক ফ্লুইডের পরিমাণ কমে যায় (অলিগোহাইড্রামনিওস), তাহলে বাচ্চার নড়াচড়া কমে যেতে পারে। এটি বাচ্চার বিকাশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন।
৫. মায়ের শারীরিক অবস্থা
মায়ের শারীরিক অবস্থাও বাচ্চার নড়াচড়াকে প্রভাবিত করতে পারে। যদি মা ডিহাইড্রেটেড হন বা রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, তাহলে বাচ্চার নড়াচড়া কমে যেতে পারে। পর্যাপ্ত পানি পান এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ এই সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
৬. ফিটাল ডিসট্রেস
ফিটাল ডিসট্রেস (Fetal Distress) একটি গুরুতর অবস্থা, যেখানে বাচ্চা জরায়ুর মধ্যে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। এর ফলে বাচ্চার নড়াচড়া কমে যেতে পারে বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফিটাল ডিসট্রেসের অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে রয়েছে বাচ্চার হৃদস্পন্দনের অস্বাভাবিকতা। এই অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন।
৭. মায়ের ওষুধের প্রভাব
কিছু ওষুধ বা শক্তিশালী ব্যথানাশক মায়ের শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে, যা বাচ্চার নড়াচড়া কমিয়ে দিতে পারে। যদি মা কোনো ওষুধ গ্রহণ করেন, তাহলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
৮. বাচ্চার বৃদ্ধি এবং বিকাশের সমস্যা
যদি বাচ্চার বৃদ্ধি এবং বিকাশে কোনো সমস্যা হয়, যেমন ইন্ট্রাউটেরাইন গ্রোথ রেস্ট্রিকশন (IUGR), তাহলে বাচ্চার নড়াচড়া কমে যেতে পারে। এটি একটি গুরুতর অবস্থা এবং চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা প্রয়োজন।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে কিছু স্বাভাবিক এবং কিছু গুরুতর হতে পারে। যদি গর্ভবতী মহিলা বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়া অনুভব করেন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। চিকিৎসক আল্ট্রাসাউন্ড, নন-স্ট্রেস টেস্ট (NST), বা অন্যান্য পরীক্ষার মাধ্যমে বাচ্চার অবস্থা পরীক্ষা করতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করতে পারেন। এটি মা এবং বাচ্চা উভয়ের জন্যই নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া কখন বোঝা যায়
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া বা ফিটাল মুভমেন্ট (Fetal Movement) একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা গর্ভবতী মা এবং চিকিৎসক উভয়ের জন্যই গর্ভাবস্থার স্বাস্থ্য ও বিকাশ পর্যবেক্ষণের একটি মূল সূচক। সাধারণত, গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া প্রথম অনুভব করা যায় গর্ভধারণের ১৮ থেকে ২৫ সপ্তাহের মধ্যে। তবে এটি গর্ভবতী মহিলার শারীরিক অবস্থা, গর্ভের অবস্থান, এবং পূর্বের গর্ভধারণের অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে।
প্রথমবার গর্ভধারণে বাচ্চার নড়াচড়া
যেসব মহিলারা প্রথমবার গর্ভধারণ করেন, তারা সাধারণত ১৮ থেকে ২৪ সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চার নড়াচড়া অনুভব করতে শুরু করেন। প্রথম দিকে এই নড়াচড়া খুবই মৃদু এবং হালকা হতে পারে, যা অনেক সময় গ্যাস বা পেটের অন্যান্য সংবেদন হিসাবে ভুল হতে পারে। প্রথম দিকে এই নড়াচড়াকে “কিক” বা “ফ্লাটার” হিসাবে বর্ণনা করা হয়, যা ধীরে ধীরে আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
পূর্বের গর্ভধারণের অভিজ্ঞতা থাকলে
যেসব মহিলারা আগে গর্ভধারণ করেছেন, তারা সাধারণত প্রথমবারের তুলনায় কিছুটা আগেই বাচ্চার নড়াচড়া অনুভব করতে পারেন। এটি সাধারণত ১৬ থেকে ২২ সপ্তাহের মধ্যে হতে পারে। পূর্বের অভিজ্ঞতার কারণে তারা বাচ্চার নড়াচড়া চিনতে পারেন এবং তা আগেই অনুভব করতে সক্ষম হন।
বাচ্চার নড়াচড়ার ধরন
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে বাচ্চার নড়াচড়া খুবই হালকা এবং অনিয়মিত হতে পারে। তবে গর্ভাবস্থার ২৮ থেকে ৩২ সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চার নড়াচড়া আরও স্পষ্ট এবং নিয়মিত হয়ে ওঠে। এই সময়ে বাচ্চার বৃদ্ধি এবং শক্তির বৃদ্ধির কারণে নড়াচড়া আরও শক্তিশালী এবং ঘন ঘন হতে পারে। গর্ভাবস্থার শেষের দিকে, বাচ্চার নড়াচড়া কিছুটা কমে যেতে পারে, কারণ জরায়ুর মধ্যে জায়গা কমে যায়, তবে নড়াচড়া সম্পূর্ণ বন্ধ হওয়া উচিত নয়।
বাচ্চার নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ
গর্ভাবস্থার ২৮ সপ্তাহের পর থেকে চিকিৎসকরা সাধারণত বাচ্চার নড়াচড়া পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দেন। এটি বাচ্চার স্বাস্থ্য ও বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। যদি বাচ্চার নড়াচড়া হঠাৎ কমে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। এটি ফিটাল ডিসট্রেস (Fetal Distress) বা অন্যান্য জটিলতার লক্ষণ হতে পারে।
২৫ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া কম হলে করণীয়
গর্ভাবস্থার ২৫ সপ্তাহে বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা গর্ভবতী মহিলা এবং চিকিৎসক উভয়ের জন্যই উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এই সময়ে বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, এবং এর সঠিক ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নিচে ২৫ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়ার সম্ভাব্য কারণ, করণীয় এবং চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। তবে আমরা তার আগে ২৫ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়ার কারণ জানবো।
১. বাচ্চার ঘুমের চক্র: বাচ্চা গর্ভে থাকাকালীন সময়ে ঘুম এবং জাগরণের চক্র অনুসরণ করে। বাচ্চা যখন ঘুমায়, তখন তার নড়াচড়া কমে যায়। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং সাধারণত কিছু সময় পর বাচ্চা আবার নড়াচড়া শুরু করে। তবে যদি দীর্ঘ সময় ধরে নড়াচড়া না হয়, তাহলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
২. গর্ভাবস্থার পর্যায়: ২৫ সপ্তাহে বাচ্চার নড়াচড়া এখনও অনিয়মিত হতে পারে। এই সময়ে বাচ্চার নড়াচড়া কিছুটা কমে যেতে পারে, বিশেষ করে যদি বাচ্চা ঘুমিয়ে থাকে বা মায়ের শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হয়।
৩. প্লাসেন্টাল সমস্যা: প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল বাচ্চার অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহের জন্য দায়ী। যদি প্লাসেন্টায় কোনো সমস্যা হয়, যেমন প্লাসেন্টাল ইনসাফিসিয়েন্সি (Placental Insufficiency), তাহলে বাচ্চার অক্সিজেন এবং পুষ্টির সরবরাহ কমে যেতে পারে। এর ফলে বাচ্চার নড়াচড়া কমে যেতে পারে। এটি একটি গুরুতর অবস্থা এবং দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন।
৪. অ্যামনিওটিক ফ্লুইডের পরিমাণ কমে যাওয়া: অ্যামনিওটিক ফ্লুইড বাচ্চাকে জরায়ুর মধ্যে সুরক্ষা প্রদান করে এবং নড়াচড়া করতে সাহায্য করে। যদি অ্যামনিওটিক ফ্লুইডের পরিমাণ কমে যায় (অলিগোহাইড্রামনিওস), তাহলে বাচ্চার নড়াচড়া কমে যেতে পারে। এটি বাচ্চার বিকাশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন।
৫. মায়ের শারীরিক অবস্থা: মায়ের শারীরিক অবস্থাও বাচ্চার নড়াচড়াকে প্রভাবিত করতে পারে। যদি মা ডিহাইড্রেটেড হন বা রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, তাহলে বাচ্চার নড়াচড়া কমে যেতে পারে। পর্যাপ্ত পানি পান এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ এই সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
৬. ফিটাল ডিসট্রেস: ফিটাল ডিসট্রেস (Fetal Distress) একটি গুরুতর অবস্থা, যেখানে বাচ্চা জরায়ুর মধ্যে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। এর ফলে বাচ্চার নড়াচড়া কমে যেতে পারে বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফিটাল ডিসট্রেসের অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে রয়েছে বাচ্চার হৃদস্পন্দনের অস্বাভাবিকতা। এই অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন।
৭. মায়ের ওষুধের প্রভাব: কিছু ওষুধ বা শক্তিশালী ব্যথানাশক মায়ের শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে, যা বাচ্চার নড়াচড়া কমিয়ে দিতে পারে। যদি মা কোনো ওষুধ গ্রহণ করেন, তাহলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
৮. বাচ্চার বৃদ্ধি এবং বিকাশের সমস্যা: যদি বাচ্চার বৃদ্ধি এবং বিকাশে কোনো সমস্যা হয়, যেমন ইন্ট্রাউটেরাইন গ্রোথ রেস্ট্রিকশন (IUGR), তাহলে বাচ্চার নড়াচড়া কমে যেতে পারে। এটি একটি গুরুতর অবস্থা এবং চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা প্রয়োজন।
তো আশা করছি ২৫ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়ার কারণ জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, ২৫ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া কমে গেলে করণীয় কি তা জেনে নেওয়া যাক।
১. চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা: যদি গর্ভবতী মহিলা বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়া অনুভব করেন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। চিকিৎসক বাচ্চার অবস্থা পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন, যেমন আল্ট্রাসাউন্ড, নন-স্ট্রেস টেস্ট (NST), বা বায়োফিজিক্যাল প্রোফাইল (Biophysical Profile)।
২. বাচ্চার নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ করা: গর্ভবতী মহিলাদের উচিত বাচ্চার নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ করা। এটি করার একটি সাধারণ পদ্ধতি হলো “কিক কাউন্ট” (Kick Count)। এই পদ্ধতিতে মা একটি নির্দিষ্ট সময় (সাধারণত ২ ঘণ্টা) ধরে বাচ্চার নড়াচড়া গণনা করেন। যদি এই সময়ে বাচ্চার নড়াচড়া ১০ বার বা তার বেশি না হয়, তাহলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
৩. পর্যাপ্ত পানি পান করা:ডিহাইড্রেশন বাচ্চার নড়াচড়া কমিয়ে দিতে পারে। তাই গর্ভবতী মহিলাদের উচিত পর্যাপ্ত পানি পান করা। দিনে কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
৪. বিশ্রাম নেওয়া: কখনও কখনও মায়ের শারীরিক অবস্থা বাচ্চার নড়াচড়াকে প্রভাবিত করতে পারে। যদি মা ক্লান্ত বা চাপে থাকেন, তাহলে বাচ্চার নড়াচড়া কমে যেতে পারে। তাই গর্ভবতী মহিলাদের উচিত পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া এবং চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করা।
৫. ওষুধের প্রভাব পরীক্ষা করা: যদি মা কোনো ওষুধ গ্রহণ করেন, তাহলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কিছু ওষুধ বাচ্চার নড়াচড়া কমিয়ে দিতে পারে, তাই চিকিৎসক প্রয়োজন হলে ওষুধ পরিবর্তন বা বন্ধ করার পরামর্শ দিতে পারেন।
৬. নিয়মিত প্রি-ন্যাটাল চেক-আপ: গর্ভাবস্থায় নিয়মিত প্রি-ন্যাটাল চেক-আপ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই চেক-আপের মাধ্যমে চিকিৎসক বাচ্চার বৃদ্ধি এবং বিকাশ পর্যবেক্ষণ করতে পারেন এবং কোনো সমস্যা থাকলে তা দ্রুত শনাক্ত করতে পারেন।
২৫ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা গর্ভবতী মহিলা এবং চিকিৎসক উভয়ের জন্যই উদ্বেগের কারণ হতে পারে। বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে কিছু স্বাভাবিক এবং কিছু গুরুতর হতে পারে। যদি গর্ভবতী মহিলা বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়া অনুভব করেন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
চিকিৎসক আল্ট্রাসাউন্ড, নন-স্ট্রেস টেস্ট (NST), বা অন্যান্য পরীক্ষার মাধ্যমে বাচ্চার অবস্থা পরীক্ষা করতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করতে পারেন। এটি মা এবং বাচ্চা উভয়ের জন্যই নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া বোঝার উপায়
অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে গর্ভধারণ করার প্রথম মাসেই বাচ্চার নড়াচড়া শুরু হয়ে থাকে। এটি বাচ্চার পেটের ভেতরে হালকা ঝাঁকুনির মতো অনুভূতি তৈরি করে। এটি গর্ভকালের দ্বিতীয় মাসে আরও উজ্জ্বল হয় এবং শিশু মায়ের পেটে হালকা মুদুলে মুদুলে নড়াচড়া করতে থাকে। গর্ভকালের তিন যোজনে, শিশু পেটের ভেতরে আলতোভাবে ঘুরছে বলে মনে হতে পারে।
এই ঘুরণি শিশুর মুদুলে সৃষ্টি করে এবং এটি মায়ের পেটের সাথে ইকোভেনিয়েন্ট সম্পর্ক গড়ে তোলে। এই ধারণাটি অপূর্ণ তবে শিশু গর্ভে বৃদ্ধি হয়ে থাকার সাথে সাথে অনেকটি স্বাভাবিক অবস্থান হতে থাকে।
গর্ভকালের প্রস্থান সাথে, শিশু পেটের ভেতরে লাথি কিংবা খানিকটা ঝাঁকুনির মতো অনুভূতি তৈরি করতে থাকে। এই অবস্থা শিশুর পেটের উঠানোর প্রস্থানে অংশগ্রহণ করতে সাহায্য করতে পারে এবং শিশুর শারীরিক উন্নতি ও কল্যাণের চিহ্ন হতে পারে।
গর্ভের মাস গুলি অতিক্রম করার সাথে সাথে শিশুর নড়াচড়া বা বিকাশ হয় এবং তার শরীরের প্রতি সততা অনুভূতি হয়। এখানে শিশু আরও চমৎকার মুদুলে ঘুরতে থাকে এবং মা তার শরীরের ভিতরে তার আদম্য স্থান সহ সকল চিন্হ অনুভব করতে পারে। গর্ভকালের মাধ্যমে শিশুর উদ্যম ও বৃদ্ধি তার সাথে সাথে বাড়ছে। এটি সামগ্রিকভাবে শিশুর শারীরিক ও মানসিক উন্নতির সূচনা করতে সাহায্য করতে পারে, যা শিশুর জীবনের আগাম দিকে পৌঁছতে সাহায্য করে।
শিশুর পেটের ভেতরে লাথি কিংবা খানিকটা ঝাঁকুনির অনুভূতি গর্ভের দুর্বলতা বা শিশুর প্রস্থানের চিহ্ন হতে পারে, এটি সাধারিতা হতে পারে। এই প্রকার অনুভূতি মায়ের শারীরিক পরিবর্তন এবং শিশুর উন্নতির চিহ্ন হতে পারে, যা স্বাভাবিক এবং সুস্থ বাচ্চার মৌল্য করতে সাহায্য করে। গর্ভের দুর্বলতা অনুভূতি করতে পারে, তবে এটি সাধারিতা অবস্থা হতে পারে এবং অধিকাংশ সময়ে কোনও সমস্যা হয় না।
লেখকের শেষ মতামত
এই ছিল আজকের গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়ার কারণ কি সেই সম্পর্কিত সকল তথ্য। এখানে সংক্ষেপে বিস্তারিত জানাতে চেষ্টা করেছি। এর বাইরেও আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকি।
তো বন্ধু আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টটি পড়ে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়ার কারণ কি তা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এরপরও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। আর্টিকেলটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও গর্ভাবস্থায় বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়ার কারণ কি সেই সম্পর্কে জানতে পারবে। ধন্যবাদ।