Notice

ফজরের নামাজ কয় রাকাত – ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ম

ফজরের নামাজ কয় রাকাত – ফজরের নামাজ আল্লাহ তাআলা অত্যন্ত পছন্দ করে থাকেন। কেননা এই নামাজটি দিয়েই দিন শুরু হয়। এইজন্য এই নামাজ সম্পর্কে আপনার জানা খুবই প্রয়োজন। তাই ফজরের নামাজ কয় রাকাত ও কিভাবে পড়তে হয়? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

ফজরের নামাজ কয় রাকাত

অনেকেই ফজরের নামাজ সম্পর্কে জানতে চায়, ফজরের নামাজ কয় রাকাত? 

ফজরের নামাজ মহান আল্লাহ তা’লা খুবই পছন্দ করেন। ঘুম থেকে উঠে বান্দার এবাদত তিনি খুবই পছন্দ করে থাকেন। হাদীস শরীফেও রাসূল সাঃ এই নামাজের প্রতি গুরুত্ব বেশি দিয়েছেন। কেননা এই নামাজের মাধ্যমে দিন শুরু করা হয়, তাই চলুন হাদীসে কি বর্ণনা করা হয়েছে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত নবী করীম সাঃ বলেছেন, ‘নফল ও সুন্নত নামাজের মধ্যে কোন নামাজের এত গুরুত্ব ছিল না, ফজর নামাজের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের মতো।’ মুসলিম শরীফ

এ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে নফল এবং অন্যান্য সুন্নত নামাজ পড়া হয় সে ক্ষেত্রে যে সওয়াব পাওয়া যাবে। তার চেয়ে বেশি পাওয়া যাবে ফজরের নামাজের সুন্নত যদি কোন মুসলিম পড়ে থাকে। ফরজ নামাজ পড়লে মহান আল্লাহতালা বেশি খুশি হন। আল্লাহতালা এর ফজিলত আপনাকে বাড়িয়ে দিবে।

হযরত মুয়াজ ইবনে আনাস জুহানি রাঃ হতে বর্ণিত রাসূল সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ শেষ করল এবং সেই জায়গায় বসে থাকে এবং ভালো কথা বলে অথবা এর মাঝে দুই রাকাত ইশরাকের নামাজও পড়ে সে ক্ষেত্রে মহান আল্লাহতালা তার গুনা মাফ করে দিবেন। আবু দাউদ

হযরত মুসা রাঃ হতে বর্ণনা করেছেন রাসূল সাঃ বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুই ঠাণ্ডার সময় নামাজ পড়বে সে জান্নাতে প্রবেশ করার অনুমতি পাবেন।’ বুখারী শরীফ

এ হাদিসের ব্যাখ্যা বলতে দুই ঠান্ডা বলতে বুঝানো হয়েছে ফজর ও আসরের নামাজ কে বোঝানো ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ফজরের নামাজ যেহেতু ঘুম থেকে উঠে পড়তে হয়, অনেক কষ্টদায়ক এছাড়াও আসরের নামাজ যেহেতু কাজকর্ম করা হয় ব্যস্ততা থাকার কারণে অনেকেই নামাজটা মিস করে ফেলে। সেক্ষেত্রে এই দুটি নামাজের গুরুত্ব দিয়েছেন।

ফজরের নামাজ কয় রাকাতঃ এই নামাজ চার রাকাত, দুই রাকাত সুন্নত এবং দুই রাকাত ফরজ পড়তে হয়। তবে এই ফরজ নামাজের আগে যে সুন্নত পড়তে হয় এটা অবশ্যই পড়তে হবে। না হলে গুনাগার হতে হবে। তাই সর্বমোট ফজরের নামাজ চার রাকাত হয়। ফজরের নামাজ কয় রাকাত তা জেনে নেওয়ার পাশাপাশি তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত তা আমদের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।

ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ম 

প্রথমে নিয়ত করতে হবে নিয়তে বলতে হবে আমি কেবলামুখী হয়ে দুই রাকাত ফজরের ফরজ অথবা সুন্নত নামাজ পড়তেছি আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধবেন।

ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ম 

তবে এই ক্ষেত্রে যদি ফরজ নামাজ পড়েন সে ক্ষেত্রে ইমামের পিছনে কথাটা উল্লেখ করতে হবে। আর মহিলাদেরকে ইমামের পিছনে এই কথাটা বলতে হবে না।

তারপরে ছানা পড়তে হবে।

এরপরে সূরা ফাতেহা এবং অন্য একটি সূরা পড়া লাগবে।

এরপরে আল্লাহু আকবার বলে আবার রুকুতে চলে যাবেন রুকু থেকে ওঠার সময় বলতে হবে সামি আল্লাহু লিমান হামিদা এবং সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলবেন রাব্বানা লাকাল হামদ।

এরপর সেজদাতে চলে যাবেন, তাজবি পড়তে হবে তিনবার পাঁচবার সাতবার পড়তে পারেন।

দুই সেজদা শেষ করার পরে আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে যাওয়া লাগবে, এভাবে প্রথম রাকাত শেষ করতে হবে।

এরপরে আবার দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতেহা এবং এর সাথে আরও একটি সূরা পড়ে আগের মত রুকু সেজদা করবেন।

এরপরে তাশাহুদ, দরুদ শরীফ এবং দোয়া মাসুরা পড়ে করা সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবেন।

উপরের উল্লিখিত নিয়মে ফজরের দুই রাকাত সুন্নত এবং ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে। আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে নামাজ পড়েন তাহলে মহান আল্লাহ আপনাকে ইহকালে শান্তি দেবেন এবং আখেরাতে জান্নাত পাবেন ইনশাল্লাহ। ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ম তা জেনে নেওয়ার পাশাপাশি তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম  আমদের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।

ফজরের নামাজ কখন থেকে শুরু হয়

অনেকে জানতে চায় যে ফজরের নামাজ কখন থেকে শুরু হয়? চলুন, কোন সময়ে আপনি ফজরের নামাজ পড়বেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

ফজরের নামাজ কখন থেকে শুরু হয়

সুবহে সাদিক থেকে শুরু হয় এই নামাজ অর্থাৎ সুবহে সাদিক মূলত ওই সময়কে বলা হয় সূর্য ওঠার ১৫ থেকে ২০ মিনিট পূর্বে।

হাদীস শরীফে এই নামাজের সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই নামাজ প্রথম ওয়াক্তে অর্থাৎ একটু অন্ধকার থাকতে পড়া ভালো।

হযরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘রাসূল সাঃ ফজরের নামাজ যখন পড়তেন তখন নারীরা হালকা অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে বাড়িতে চলে যেতেন কিন্তু অনেকেই তাদেরকে চিনতে পারত না।’ বুখারী ও মুসলিম শরীফ

হযরত আবু মুসা রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘রাসূল সাঃ ফজরের নামাজ পড়েন তখন পার্শ্ববর্তী কোন লোকের চেহারা চিনতে পারা যায় না অথবা তার আশেপাশে কি আছে তা বোঝা যায় না।’ আবু দাউদ

হযরত আবু মাসুদ আনসারী রাঃ হতে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘রাসূল সাঃ ফজরের নামাজ হালকা অন্ধকারে পড়তেন। যদিও তিনি একবার ফর্সা হয়ে গেলে পড়েছিলেন কিন্তু এর পরবর্তীতে আর কখনো তিনি ফর্সা হয়ে গেলে এই নামাজ পড়েননি। বরং তিনি ইন্তেকালের পূর্ব পর্যন্ত ফজরের নামাজ হালকা অন্ধকারে পড়েছেন।’ আবু দাউদ

তবে অনেক ভোরে পড়ে যাবে না,ফজরের সময় নিশ্চিত না হয়ে ফজরের নামাজ পড়া যাবে না। তাড়াহুড়া করা যাবে না। তাই অন্ধকারের মধ্যেও নামাজ পড়া যাবে না। তবে হালকা অন্ধকারের মাঝে লম্বা কেরাত পড়া যেতে পারে।

হাদিসে আলোচনা করা হয়েছে যে মহানবী সাঃ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ফর্সা করে কখনো পড়েননি আলোকিত অবস্থায় সূর্য উঠে গেলে আর পড়ে নাই। সে ক্ষেত্রে আমাদেরও এই নিয়মে চেষ্টা করতে হবে। যেন একেবারে অন্ধকার না হয় আবার আলো যেন না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

ফজরের নামাজ কাজা হলে কখন পড়তে হবে

যদি কোন কারণে ফজরের নামাজ কাজা হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে কখন পড়বেন, সেটা জানার প্রয়োজন। তাই ফজরের নামাজ কাজা হলে কখন পড়তে হবে? 

ফজরের ফরজ নামাজ জামাতের সাথে না পড়লে আপনাকে সেটা কাজা নামাজ পড়ে নিতে হবে। সূর্য উদয়ের কিছুক্ষণ পরে এই কাজা নামাজ পোড়ে নেওয়া যায়। কিন্তু সূর্য উদয়ের সময় নামাজ পড়বেন না। সূর্য উদয়ের পর থেকে যোহরের আগ পর্যন্ত ফজরের কাজা নামাজ পড়তে পারবেন। তবে যত তাড়াতাড়ি আগে পড়তে পারেন ততই ভালো হবে।

ঘুম থেকে জাগ্রত যদি না হতে পারেন সেই ক্ষেত্রে এই নামাজ না পড়ার জন্য কাজা হয়ে যায়। এক্ষেত্রে কাজা নামাজ পড়া ওয়াজিব। কেননা রাসূল সাঃ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঘুমিয়ে থাকায় ফজরের নামাজ আদায় করতে ভুলে গেছে যখনই সে জাগনা হয়ে যাবে তখনই তার এই নামাজের কাফফারা দিতে হবে।’ মুসলিম শরীফ হাদিসঃ ৬৮৪

‘তবে ইচ্ছা করে ওয়াক্ত মতো নামাজ না পড়লে কবিরা গুনাহ হবে। প্রতিদিনই ভুল করা যাবে না, আপনাকে সচেতন থাকতে হবে যে নির্দিষ্ট সময় নামাজ পড়তে হবে। এছাড়া আপনার নামাজের প্রতি উদাসীন থাকা যাবে না।’ সূরা মাউন আয়াতঃ ৪-৫

ফজরের সুন্নত পড়তে না পারলে করণীয়

অনেকে ঘুম থেকে উঠতে হয়ত দেরি হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে সুন্নত পড়তে পারেন না। তাই ফজরের সুন্নত পড়তে না পারলে করণীয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

আপনি চেষ্টা করবেন সুন্নত নামাজ পড়তে কিন্তু যদি দেখেন যে সুন্নত পড়তে গেলে ইমামের সাথে ফরজ নামাজ পড়তে পারছেন না। সে ক্ষেত্রে সুন্নত ছেড়ে দিয়ে আপনাকে জামাতের সাথে ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে।

এই প্রসঙ্গে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ রাঃ বর্ণিত তিনি বলেছেন ফজরের জামাত শুরু হয়ে গেলেও অনেক সময় সাহাবীরা সুন্নত পড়ে নিতেন কিন্তু খেয়াল করতে হবে ফরজ নামাজ যেন দ্বিতীয় রাকাত হলেও পাওয়া যায়।

আর যদি সুন্নত পড়ে ইমাম সাহেবের সাথে দ্বিতীয় রাকাত পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে, সে ক্ষেত্রে সুন্নত না পড়ে জামাতের সাথে ফরজ নামাজ পড়াই ভালো। পরবর্তীতে এই সুন্নত নামাজ পড়ে নেওয়া যাবে। কেননা ফরজ নামাজের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যদি না পড়ে থাকেন তাহলে আপনাকে গুনাগার হতে হবে। কেননা সুন্নতের চাইতে ফরজ নামাজের গুরত্ব বেশি।

কারণ আবু হুরায়রা রাঃ বর্ণিত তিনি বলেছেন, রাসূল সাঃ বলেছেন, ‘তোমরা ফজরের সুন্নত ছেড়ে দিও না যদিও শত্রুরা তোমাদেরকে তাড়া দিয়ে থাকে।’ আবু দাউদ হাদিসঃ ১২৫৮

হযরত আয়েশা রাঃ বর্ণিত রাসূল সাঃ বলেছেন, ‘ফজরের ২ রাকাত সুন্নত যা পৃথিবীর সকল কিছুর চাইতেও সর্বোত্তম।’ মুসলিম শরীফ হাদিসঃ ৭২৫

আরো একটি হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে ‘নবী করীম সাঃ অন্যান্য ফরজ নামাজের প্রতি যেমন গুরুত্ব দিয়েছেন, তেমনি এই ফজরের সুন্নতের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন।’ বুখারী শরীফ হাদিসঃ ১১৬৩

যদি দেখেন সুন্নত নামাজ পড়তে গেলে আপনি ফরজ নামাজটা ইমামের সাথে পড়তে পারেন না পাওয়ার সম্ভাবনা নাই সে ক্ষেত্রে সুন্নত না পড়ায় ভালো জামাতে শরিক হয়ে আপনার সূর্য উদয়ের পরে সুন্নত নামাজ পড়ে নিতে হবে

কেননা আবু হুরায়রা রাঃ বলেন রাসুল সাঃ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের দুই রাকাত সুন্নত পড়ার সময় না পেলে, সে সূর্য ওঠার পর পড়তে পারবে।’ তিরমিজি শরীফ হাদিসঃ ৪২৩

এখানে এই হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে যে সুন্নত পড়ার পর ইমামকে তাশাহুত পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা সে ক্ষেত্রে আপনাকে খেয়াল করতে হবে। তাহলে আপনি এই সুন্নত পড়তে পারবেন না। তাহলে ফরজ নামাজ পড়বেন এরপর সূর্য ওঠার পরে সুন্নত পড়ে নিবেন।

ফজরের নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

ফজরের নামাজের প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে হাদিস ও কুরআনে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তাই ফজরের নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে চলুন বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে ফজরের নামাজের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। মহান আল্লাহ তা’আলা অত্যন্ত আনন্দিত হন যদি কোন বান্দা তার এই ফজরের নামাজ ঘুম থেকে উঠে পড়তে পারেন। তাই নামাজের ফজিলত এবং গুরত্ব রয়েছে।

সাধারণত সূর্য ওঠার আগ মুহূর্তে পড়া লাগে এজন্য বান্দারা নামাজের প্রতি একটু উদাসীন থাকে। অনেকে ঘুমিয়ে থাকে যার কারণে হয়তো নামাজটা পড়তে পারেনা। এজন্য এই নামাজের অত্যন্ত ফজিলত রয়েছে।

জুনদুব ইবনে আব্দুল্লাহ রাঃ বর্ণিত মহানবী সাঃ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তার দায়িত্ব নেবে।’ মুসলিম শরীফ হাদিসঃ ৬৫৭

আরো একটি হাদিসে ফজরের নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করল সে জান্নাতি মানুষ হিসাবে চিহ্নিত করা হলো।’ আবু দাউদ

আবু মুসা আশয়ারী রাঃ হতে বর্ণিত রাসূল সাঃ বলেছেন যে ব্যক্তি দুটি শীতল সময়ে নামাজ পড়লো সে যেন জান্নাতে প্রবেশ করার অনুমতি পেল। বুখারী ও মুসলিম শরীফ

এই নামাজ যদি কেউ পড়তে পারে তাহলে সে সারারাত নামাজ পড়ার সমান সওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি জামাতের সাথে এই নামাজ পড়বে সারারাত জেগে যে নামাজ পড়ার সওয়াব পাওয়া যাবে। মুসলিম শরীফ

এই নামাজ পড়া হলে কিয়ামতের দিন সে নূর দেখতে পাবে, যারা রাত্রিতে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ে তারা কিয়ামতের দিন আলোকিত হবেন। আবু দাউদ

সরাসরি জান্নাত পাবেন যদি কেউ এই নামাজ আদায় করবে এবং এই শীতলের সময় নামাজ আদায় করে থাকে। শীতল সময়ের নামাজ পড়া বুঝানো হয় ফজর ও আসরের নামাজ। বুখারী শরীফ

এই নামাজ পড়লে আল্লাহ তা’আলা রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন। কেননা অনেক কষ্টে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে যদি কেউ এই নামাজ পড়তে হয়।

লেখকের শেষ মতামত

পরিশেষে বলা যায় যে ফজরের নামাজ দিয়ে দিন শুরু করা হয় তাই এই নামাজের বরকত এবং ফজিলত রয়েছে। মহান আল্লাহ তা’আলা এই নামাজ পছন্দ করেন। কেননা বান্দারা এই সময় অনেক কষ্ট করে ঘুম থেকে উঠে এবাদত করে থাকে।

তাই ফজরের নামাজ কয় রাকাত – ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

Atif Abdullah

Atif Abdullah is a passionate writer and expert in technology, Information and News. With years of experience in Information, he enjoys sharing insightful and well-researched content that helps readers stay informed. Atif has a keen interest in digital trends and his writing reflects his deep understanding and analytical approach.
Back to top button