Notice

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২১

প্রতি বছরের ধারা অনুযায়ী সবকিছু ঘটতে থাকলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২১ প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল গত বছরের জুলাই-আগস্টের মধ্যেই। তবে কোভিড – ১৯ মহামারীর কবলে পড়ে পৃথিবীর অন্য সব কিছুর মতো পিছিয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমও। অবশেষে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারীর ২৪ তারিখে চবি কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

সমুদ্র, পাহাড় আর সবুজের সমোরোহ চট্টগ্রাম অঞ্চল। ব্যতিক্রম নয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসও। শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে বিশাল এক ক্যাম্পাস, পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণা কর্মে যে বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রথম সারির। গবেষণায় আগ্রহী প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে তীর্থস্থানের মতো।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২১

দীর্ঘ অপেক্ষার পর গত ফেব্রুয়ারী মাসের ২৪ তারিখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০-২১ সেশনে নতুন ছাত্র ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, এপ্রিলে ৫ তারিখ থেকে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম শুরুর কথা ছিল।

কিন্তু কোভিড – ১৯ মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশে সংক্রমণ এবং মৃত্যু পুনরায় বেড়ে যাওয়ায় সরকার দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণার পরপরই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এপ্রিলের ৩ তারিখে ভর্তি সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে।

পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে পুনরায় সকল কার্যক্রম শুরু ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আবেদনের যোগ্যতা

যদিও পূর্বে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা এইচএসসি’র পর প্রথম বছরে পছন্দের বিষয়ে সুযোগ না পেলে দ্বিতীয় বছর পুনরায় চেষ্টা করতে পারতো, এখন আর সে সুযোগ নেই। ২০১৭/১৮ সালে এসএসসি এবং শুধুমাত্র ২০২০ সালে এইচএসসি পাশ করা শিক্ষার্থীরাই ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে। অবশ্য  ইউনিট ভেদে আবেদনের জন্য নিম্নোক্ত গ্রেড পয়েন্ট অবশ্যই থাকতে হবে,

এ ইউনিট – ন্যুনতম জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায়, উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় সহ মোট জিপিএ হতে হবে ন্যুনতম ৭.৫০।

বি ইউনিট – ন্যুনতম জিপিএ ২.৭৫ থাকতে হবে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায়, উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় সহ মোট জিপিএ হতে হবে ন্যুনতম ৬.৫০।

বি১ সাব ইউনিট – ন্যুনতম জিপিএ ৩.২৫ থাকতে হবে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায়, উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় সহ মোট জিপিএ হতে হবে ন্যুনতম ৭.০০।

সি ইউনিট – ন্যুনতম জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায়, উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় সহ মোট জিপিএ হতে হবে ন্যুনতম ৭.৫০।

ডি ইউনিট – ন্যুনতম জিপিএ ৩.২৫ থাকতে হবে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায়, উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় সহ মোট জিপিএ হতে হবে ন্যুনতম ৭.০০।

ডি১ সাব ইউনিট – ন্যুনতম জিপিএ ২.৫০ থাকতে হবে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায়, উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় সহ মোট জিপিএ হতে হবে ন্যুনতম ৬.০০।

আবেদন করার নিয়ম

প্রথমেই ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২১ ‘ ভালো করে পড়ে একটা পরিষ্কার ধারণা নিয়ে নেয়া উচিৎ সকল শিক্ষার্থীর। শুরুতে কিছুটা জটিল মনে হলেও নিম্নে উল্লেখিত ধাপগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করে সহজেই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে বলে আশা করা যায়।

* প্রথমে http://admission.cu.ac.bd লিংকে গিয়ে ‘Apply Now’ বাটনে ক্লিক করলে ভর্তি ফরমটি প্রদর্শিত হবে।

*ভর্তি ফরমে আবেদনকারীর এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার রোল নং, রেজিঃ নম্বর, পাশের সাল এবং শিক্ষা বোর্ডের নাম দিয়ে সাবমিট করলে আবেদনকারীর সার্টিফিকেটে থাকা সকল ব্যক্তিগত তথ্য স্ক্রিনে একটি ফরমের মধ্যে চলে আসবে। তবুও একবার পড়ে সকল তথ্য সঠিক কিনা যাচাই করে নেয়া যেতে পারে।

*সব কিছু ঠিক থাকলে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর একটি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ফরমাল ছবির স্ক্যান কপি উল্লেখিত পিক্সেল সাইজে কনভার্ট করে আপলোড করতে হবে। পিক্সেল সাইজ ঠিক করার জন্য যে কোন অনলাইন ফটোশপ সাইট ব্যবহার করা যেতে পারে। ছবি আপলোডের আগে অবশ্যই ছবিটি স্পষ্ট এবং চেহারা বোঝা যায় কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।

ছবি আপলোড করে সাবমিট করলেই ভর্তি আবেদনের প্রথম ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন হবে।

ভর্তি আবেদনের দ্বিতীয় ধাপে যেসব ইউনিটে ভর্তি আবেদন করতে পারবে তার তালিকা দেখানো হবে। তালিকা থেকে পছন্দের ইউনিটে ক্লিক করে ‘Apply’ বাটনে গেলেই পেমেন্ট অপশন পাওয়া যাবে।

‘Private Key’ অপশন ব্যবহার করে যে কোন মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমের (বিকাশ/রকেট/নগদ) পেমেন্ট অপশন ব্যবহার করে আবেদনকারী ভর্তি পরীক্ষার ফি প্রদান করতে পারবে।

সকল কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন করার পর সকল তথ্য সম্বলিত একটি ফরম দেখাবে। নীচে এডমিট কার্ড ডাউনলোডের অপশনও থাকবে, এডমিট কার্ডটি পিডিএফ ফরম্যাটে ডাউনলোড করে সাদা কাগজে দুই কপি প্রিন্ট আউট করে নীচে আবেদনকারীর নিজের সাক্ষর করতে হবে।

এডমিট কার্ডের দুই কপিই ভর্তি পরীক্ষার দিন নিয়ে যেতে হবে। সাথে সত্যায়িত এইচএসসি পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন কার্ডের ফটোকপি এবং দুই কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবিও নিতে হবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ফলাফল 

পূর্ব ঘোষিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২২ জুন থেকে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে সকল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ভর্তি আবেদন  স্থগিত হওয়ায় পরবর্তীতে পরীক্ষার তারিখও পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সর্বোচ্চ পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যেই সাধারণত ফলাফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। ফলাফল প্রকাশের পরপরই প্রথমে মেধাতালিকা থেকে এবং পরবর্তীতে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে অপেক্ষমান তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে।

সাক্ষাৎকারের পরই উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে। 

শেষ কথা 

বিজ্ঞপ্তি পড়ে যদিও ভর্তি প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট জটিল মনে হলেও আসলে যে তেমন কঠিন কোন কাজ নয়, ঘরে বসে নিজে নিজেই করে ফেলা সম্ভব ইন্টারনেট আর স্মার্টফোন হাতে থাকলেই, সেটা জানানোর জন্যই সহজ ভাষ্যে সকল প্রক্রিয়া ব্যখ্যা করার এই প্রচেষ্টা।

আশা করা যায়, সকলেই সঠিক ভাবে ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। ভর্তিচ্ছু সকল শিক্ষার্থীদের আসন্ন ভর্তি পরীক্ষার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।

admin

We are here to help Help Students Who Looking For Information About Integrated (Combined) Admission Circular, Requirement, Seat Number, Online Application process and Admission. This Website Information Collect From official Notice and Others Sources.
Back to top button